Small journey

ছোট ছোট ঢেউ জুড়েই সুনামীর সৃষ্টি হয়

..................

What a house that I build in the void ?????????

Good-night

Good-night? ah! no; the hour is ill
Which severs those it should unite;
Let us remain together still,
Then it will be good night.

How can I call the lone night good,
Though thy sweet wishes wing its flight?
Be it not said, thought, understood --
Then it will be -- good night.

To hearts which near each other move
From evening close to morning light,
The night is good; because, my love,
They never say good-night.

Shelly

I arise from dreams of thee

রাত্রিটা বিষন্ন। বিষন্ন প্রকৃতি আর মগজের কোষগুলো ...............


I arise from dreams of thee
In the first sweet sleep of night,
When the winds are breathing low,
And the stars are shining bright
I arise from dreams of thee,
And a spirit in my feet
Has led me -- who knows how? --
To thy chamber-window, sweet!

The wandering airs they faint
On the dark, the silent stream, --
The champak odors fall
Like sweet thoughts in a dream,
The nightingale's complaint,
It dies upon her heart,
As I must die on thine,
O, beloved as thou art!

O, lift me from the grass!
I die, I faint, I fall!
Let thy love in kisses rain
On my lips and eyelids pale,
My cheek is cold and white, alas!
My Heart beats loud and fast
Oh! press it close to thine again,
Where it will break at last!


Shelly

তুমি যেখানেই যাও

তোমাকে যখন দেখি তার চেয়ে বেশি দেখি
যখন দেখিনা
শুকনো ফুলের মালা যেরকম বলে দেয়
সে এসেছে
চড়ুই পাখিরা জানে
আমি কার প্রতীক্ষায় বসে আছি
এলাচের দানা জানে
কার ঠোঁট গন্ধময় হবে-
তুমি ব্যস্ত, তুমি একা , তুমি অন্তরাল ভালবাসো
সন্ন্যাসীর মত করে হাহাকার করে উঠি
দেখা দাও, দেখা দাও,
পরমুর্হুতেই ফের চোখ মুছি
হেসে বলি
তুমি যেখানেই যাও সঙ্গে আছি !

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "তুমি যেখানেই যাও " কবিতার শেষ কিছু লাইন।

............

নিদ্রার তরঙ্গের মধ্যে
আমি তোমার কাছে এলাম
তোমার কটিদেশ পর্যন্ত
বরফে নিমজ্জিত।
তুমি তোমার বাহু দুটি বাড়িয়ে দিলে
স্বপ্নের বিচূর্ণতায় আমি পানি হয়ে
তোমার কাছে এলাম ।


লাইনগুলো কার ঠিক মনে নেই। তবে হাইস্কুলে পড়ার সময়ে পড়া এটুকু মনে আছে। পুরনো সেই ডায়রীটা নাড়তে নাড়তে হঠাৎ মনে হলো একেও ভাসানোর সময় এসেছে। মষ্তিস্কের কোষগুলো গরম হয়ে উঠছে আর সে আগুনে পুড়ছে শিরা-কোষ-উপশিরা ..........

নিমন্ত্রণ

ছোটবেলায় একটা অভ্যাস ছিল বড় আপুদের বাংলা বইয়ের যত গল্প কবিতা পড়া। পাঠ্যপুস্তক আর কোরআন হাদীসের বাইরে আর কোন বই পড়ার সুযোগ পাইনি কোনদিন। বইকেনা-বইপড়াকে মনে করা হতো চরম বিলাসিতা। লুকিয়ে বন্ধুদের কাছ থেকে বই আনতাম। প্রাইমারী পর্যন্ত এ সুযোগটা ছিলনা।বড় বোনদের পাঠ্য বই-ই ছিল সম্বল। যখন রংপুর থেকে ঢাকায় শিফট করলাম। স্কুলে বই পাবার সুযোগ পাওয়া গেল। লাইব্রেরী-বন্ধুরা। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল পড়ার সুযোগ বের করা। আমার একটা বদঅভ্যাস হলো যতক্ষণ শেষ না হয় ততক্ষণ মনটা আনচান করে কখন শেষ করবো। ফলে ঘনঘন বকা-ঝাড়ি সবই চলতে থাকতো । তবুও কেউ থামাতে পারেনি। সেই ছোটবেলা থেকে আজ অব্দি যখন যেখানে গেছি চোখ থাকতো শুধু একটি দিকে তাদের বাড়িতে কি কি বই আছে । অবশ্য আরেকটা জিনিসের প্রতি লোভ ছিল মজার মজার খাবার :C


এই কবিতাটা স্কুলে থাকার সময়ে পড়তাম, আজো পড়ি কোন কোন অবসরে ................

তুমি যাবে ভাই - যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;
মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,
মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়,
তুমি যাবে ভাই - যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,

ছোট গাঁওখানি- ছোট নদী চলে, তারি একপাশ দিয়া,
কালো জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া;
ঘাটের কিনারে আছে বাঁধা তরী
পারের খবর টানাটানি করি;
বিনাসুতি মালা গাথিছে নিতুই এপার ওপার দিয়া;
বাঁকা ফাঁদ পেতে টানিয়া আনিছে দুইটি তটের হিয়া।

তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে, ছোট সে কাজল গাঁয়,
গলাগলি ধরি কলা বন; যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়।
সরু পথ খানি সুতায় বাঁধিয়া
দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,
বনের হাওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়,
বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি, মায়া আর মমতায়!

তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে - নরম ঘাসের পাতে
চম্বন রাখি অধরখানিতে মেজে লয়ো নিরালাতে।
তেলাকুচা - লতা গলায় পরিয়া
মেঠো ফুলে নিও আঁচল ভরিয়া,
হেথায় সেথায় ভাব করো তুমি বুনো পাখিদের সাথে,
তোমার গায়ের রংখানি তুমি দেখিবে তাদের পাতে।

তুমি যদি যাও আমাদের গাঁয়ে, তোমারে সঙ্গে করি
নদীর ওপারে চলে যাই তবে লইয়া ঘাটের তরী।
মাঠের যত না রাখাল ডাকিয়া
তোর সনে দেই মিতালী করিয়া
ঢেলা কুড়িইয়া গড়ি ইমারত সারা দিনমান ধরি,
সত্যিকারের নগর ভুলিয়া নকল নগর গড়ি।

তুমি যদি যাও - দেখিবে সেখানে মটর লতার সনে,
সীম আর সীম - হাত বাড়াইলে মুঠি ভরে সেই খানে।
তুমি যদি যাও সে - সব কুড়ায়ে
নাড়ার আগুনে পোড়ায়ে পোড়ায়ে,
খাব আর যত গেঁঢো - চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,
হাসিয়া হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব দুইজনে।

তুমি যদি যাও - শালুক কুড়ায়ে, খুব - খুব বড় করে,
এমন একটি গাঁথিব মালা যা দেখনি কাহারো করে,
কারেও দেব না, তুমি যদি চাও
আচ্ছা না হয় দিয়ে দেব তাও,
মালাটিরে তুমি রাখিও কিন্তু শক্ত করিয়া ধরে,
ও পাড়াব সব দুষ্ট ছেলেরা নিতে পারে জোর করে;

সন্ধ্যা হইলে ঘরে ফিরে যাব, মা যদি বকিতে চায়,
মতলব কিছু আঁটিব যাহাতে খুশী তারে করা যায়!
লাল আলোয়ানে ঘুঁটে কুড়াইয়া
বেঁধে নিয়ে যাব মাথায় করিয়া
এত ঘুষ পেয়ে যদি বা তাহার মন না উঠিতে চায়,
বলিব - কালিকে মটরের শাক এনে দেব বহু তায়।

খুব ভোর ক’রে উঠিতে হইবে, সূয্যি উঠারও আগে,
কারেও ক’বি না, দেখিস্ পায়ের শব্দে কেহ না জাগে
রেল সড়কের ছোট খাদ ভরে
ডানকিনে মাছ কিলবিল করে;
কাদার বাঁধন গাঁথি মাঝামাঝি জল সেঁচে আগে ভাগে
সব মাছগুলো কুড়ায়ে আনিব কাহারো জানার আগে।

ভর দুপুরেতে এক রাশ কাঁদা আর এক রাশ মাছ,
কাপড়ে জড়ায়ে ফিরিয়া আসিব আপন বাড়ির কাছ।
ওরে মুখ - পোড়া ওরে রে বাঁদর।
গালি - ভরা মার অমনি আদর,
কতদিন আমি শুনি নারে ভাই আমার মায়ের পাছ;
যাবি তুই ভাই, আমাদের গাঁয়ে যেথা ঘন কালো গাছ।

যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।
ঘন কালো বন - মায়া মমতায় বেঁধেছে বনের বায়।
গাছের ছায়ায় বনের লতায়
মোর শিশুকাল লুকায়েছে হায়!
আজি সে - সব সরায়ে সরায়ে খুজিয়া লইব তায়,
যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গায়।

তোরে নিয়ে যাব আমাদের গাঁয়ে ঘন-পল্লব তলে
লুকায়ে থাকিস্, খুজে যেন কেহ পায় না কোনই বলে।
মেঠো কোন ফুল কুড়াইতে যেয়ে,
হারাইয়া যাস্ পথ নাহি পেয়ে;
অলস দেহটি মাটিতে বিছায়ে ঘুমাস সন্ধ্যা হলে,
সারা গাঁও আমি খুজিয়া ফিরিব তোরি নাম বলে বলে।

কবর

এস.এস.সি'র পাঠ্য বইয়ে ছিল। প্রথম লাইনদুটো খুব মনে পড়ে


এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত।
এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে
ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।

বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি।
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
সন্ধাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে!
হেস না­ হেস না­ শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে,
দাদি যে তোমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে!
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, এতদিন পরে এলে,
পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখিজলে।
আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।

তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের, শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি,
গণিয়া গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক,
আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ।

এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না।
সেই ফালগুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি।
ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম বাছা শোও,
সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কী জানিত কেউ?
গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
তুমি যে কহিলা বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?
তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে!

তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দুহাতে জঢ়ায়ে ধরি,
তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিতে সারা দিনমান ভরি।
গাছের পাতার সেই বেদনায় বুনো পথে যেতো ঝরে,
ফালগুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো-মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়া যেতে গেঁয়ো পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।

ঊদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধারে ঘরে পথ পেয়েছিল খুজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, বাছারে যাই,
বড় ব্যথা র’ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, যাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গন্ড ভিজায়ে নয়ন­জলে,
কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণ­ব্যথার ছলে।

ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল­ আমার কবর গায়
স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।
সেই যে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরু­ছায়,
গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়।
জোনকি­মেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, রহমান খোদা! আয়;
ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়!

এখানে তোর বুজির কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে।
এত আদরের বুজিরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, দাদু যেন কাল এসে
দুদিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
শ্বশুর তাহার কশাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিছে ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরাণে বাজিবে মরণ­বীণ!
কী জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়েছি দেখে যাও দাদু! ধীরে।

ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেহ ভালো,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে উঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়।
আমার বু­জীর তরেতে যেন গো বেস্ত নসিব হয়।

হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু, সাত বছরের মেয়ে,
রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কী জানি ভাবিত সদা,
অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা!
ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
তোমার দাদির ছবিখানি মোর হদয়ে উঠিত ছেয়ে।
বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।

একদিন গেনু গজনার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে।
সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে।
কী জানি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গেছে।
আপন হস্তে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি,
দাদু! ধর­ধর­ বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
এইখানে এই কবরের পাশে আরও কাছে আয় দাদু,
কথা কস নাকো, জাগিয়া উটিবে ঘুম­ভোলা মোর যাদু।
আস্তে আস্তে খুঁড়ে দেখ দেখি কঠিন মাটির তলে,

ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিয়ে ঘন আবিরের রাগে,
অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সুকরুণ সুরে,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূরে।
জোড়হাত দাদু মোনাজাত কর, আয় খোদা! রহমান।
ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যু­ব্যথিত প্রাণ।

যাবার দিন



যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই -
যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই।
এই জ্যোতিসমুদ্র মাঝে যে শতদল পদ্ম রাজে
তারি মধু পান করেছি, ধন্য আমি তাই।
যাবার দিনে এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই।।

বিশ্বরূপের খেলাঘরে কতই গেলেম খেলে,
অপরূপকে দেখে গেলেম দুটি নয়ন মেলে।
পরশ যাঁরে যায় না করা সকল দেহে দিলেন ধরা,
এইখানে শেষ করেন যদি শেষ করে দিন তাই -
যাবার বেলা এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই।।

সঞ্চয়িতা থেকে প্রিয় একটি কবিতা তুলে দিলাম । আমার বইটার ছবি
:C


ফটোশপ টিউটোরিয়াল : ওয়াটার রিফ্লেকশন

সজল'কে প্রথম দেখি বিজ্ঞানমেলায়। স্টলের এককোণায় বসা, হৃদয়ের সবটুকু মনযোগ ঢেলে দিয়েছে স্ক্রীনের উপর। আমার উপর চোখ পড়তেই আলতো করে মুখ সরিয়ে নিল। দ্বিতীয় দিন ক্যাফেটেরিয়ায়। উদাস উদাস চোখদুটো কফির কালো মগে নিবদ্ধ। কোন দিকে কোন খেয়াল নেই। তারপর থেকে যখনই সজলকে দেখেছি সবসময়ই একা। যেন চারপাশের সবকিছু থেকে পালাতে চায়। মনটা যেন কেমন করে উঠলো। একদিন নিজে থেকেই পরিচিত হলাম। কদিন থেকে সজলের দেখা নেই।সে নাকি খুব ব্যস্ত। আমি ভেবে পাইনা এত কি ব্যস্ততা সজলের। নাকি আমাকে এড়াতে চায়। একদিন ওর একরুমমেটের কাছে জানতে চাই সজলের কথা । শুনে ওর রুমমেটতো হেসেই কুটিকুটি। ও সজল :C , বলেই গড়াগড়ি। তারপর একসময় হাসি থামিয়ে বলে, চশমিস্ট কিছুই করেনা । ঘন্টার পর ঘন্টা পিসির সামনে বসে থাকে। ছবি দ্যাখে , সিনেমনা না কিন্তু (সিনেমা) :ttt: । মানে ? আমি অবাক হয়ে জানতে চাই । কিন্তু সে আর কিছুই বলতে নারাজ। একমগ কফির বিনিময়ে এর বেশি নাকি কিছু বলা যাবে না। টপ সিক্রেট। বেশি আগ্রহ হলে আমি যেন গিয়ে দেখে আসি। কি আর করা গেলাম সজলদের মেসে। রুমে ঢোকার আগে কি মনে করে দরজার ফাঁক দিয়ে চেয়ে দেখি সজল মুখ ভার করে পিসির সামনে বসে আছে। সামনে গাঁদাখানেক মেয়ের ছবি। আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে। ছি: সজল এমন, নিজেকে ধিক্কার দেই। কেন যে এসেছিলাম। পরক্ষণেই সামলে নেই নিজেকে। যাইহোক এসে যখন পড়েছি তখন দেখি না পানি কতদূর গড়ায়। অনিচ্ছাসত্বেও সজলের নাম ধরে ডাকি। দু'তিনবার ডাকার পরও সজলের সাড়া মেলেনা। আমার বেশ খারাপ লাগে। কেমন অনাকাঙ্খিত মনে হয় নিজেকে । চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসে। আস্তে সরে পড়ার চেষ্টা করি। ফিরে আসবো, মনে হলো কে যেন পেছন থেকে আমার ব্যাগটা টেনে ধরেছে। ফিরে যাচ্ছো যে ? বুঝেছি, এসো আমার সাথে ।কাজের সময় চশমিস্ট কানে কিছুই শোনেনা " বলে একরকম জোর করেই আমাকে রুমের ভেতর নিয়ে যায়। আমি অবাক হয়ে দেখি সজলের পিসির স্ক্রীন জুড়ে যে ছবিগুলো আছে তাতে আমারও ছবি আছে। কি করছো তুমি আমার ছবি দিয়ে ? :e :m( আমি চিৎকার করে উঠি । আমার চোখের দিকে না তাকিয়ে অপরাধীর মত সজল বলে ওঠে , তুমি সেদিন বলছিলে তুমি পানিতে নামতে ভয় পাও । তাই ভাবলাম তোমার ছবিটা একটু রিটাচ ............ :sssss:



আজকের টিউটোরিয়াল :

এখন আমরা শিখবো কিভাবে ফটোশপে ওয়াটার রিফ্লেকশন দিতে হয় ।


প্রথমে একটি ইমেজ নিন। এবার ইমেজটির একটি কপি করুন। এজন্য আপনি Layer- Duplicate layer কমান্ডটি ব্যবহার করতে পারেন অথবা Ctrl + J চাপুন।

ছবি

এবার ক্যানভাসে আরো স্পেস বাড়ানোর জন্য Image- Canvas size এ ক্লিক করুন। এবং নিচের কমান্ডটি দিন। এতে আপনার ইমেজের সমপরিমাণ স্পেস যোগ হবে।

ছবি

এবার কপি করা লেয়ারটিকে Vertically flip করতে হবে। এজন্য লেয়ারটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় কমান্ড দিন Edit- Transform - Flip Vertical ।
ছবি

এবার Move (M) টুল সিলেক্ট করে ইমেজটি নিচের দিকে ড্রাগ করে নামিয়ে আনুন। আপনি যদি Shift চেপে ড্রাগ করেন তাহলে স্ট্রেট হবে।

ছবি

নতুন আরেকটি লেয়ার নিন। Fill color (G) সিলেক্ট করে #ffffff কালার দ্বারা ফিল করুন। অর্থ্যাৎ লেয়ারটিকে সাদা রং করুন।
ছবি

এবার Filter-Sketch-Halftone Pattern কমান্ড দিন এবং নিচের সেটিংস ফলো করুন।

ইমেজটি দেখতে এমন হবে।
ছবি

এবার Filter-Blur-Gaussian Blur রেডিয়াস ৪.০ সেট করুন। মনে রাখবেন আপনার ইমেজের রেজুল্যুশন যত বেশি হবে রেডিয়াস তত বাড়াতে হবে।
ছবি
নতুন আরেকটি ডকুমেন্ট তৈরী করুন এবং এই লাইন লেয়ারটিকে সেভ করুন। এবার আগের ডকুমেন্ট থেকে লাইন লেয়ার ডিলিট করে দিন।

এবার Layer 1 এবং Background layer কে কপি করে মার্জ করুন। শর্ট কার্ট কমান্ড হলো Shift+Ctrl+Alt+E । অথবা প্রথমে Ctrl+J চেপে কপি করে নেবেন। তারপর Ctrl+E চেপে মার্জ করে নেবেন । মার্জ করার জন্য অবশ্যই সবসময় উপরের লেয়ারটি সিলেক্ট করতে হবে।

ছবি


এবার লেয়ারটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় নিচের সেটিংস দিন Filter-Distort-Displace কমান্ড দিন।

ছবি

ছবি

Layer 1 কে hide করুন।
ছবি
এবার Layer 2 কে Mask যোগ করুন ।
ছবি

ছবি

এবার Filter-blur-Gaussian Blur কমান্ড দিন। Layer-New adjustment layer এ ক্লিক করুন এবং Hue/Saturation এ নিচের সেটিংস দিন।

ছবি

ছবি

এবার Hue/Saturation layer এর অপাসিটি কমিয়ে দিন। এখন ইমেজটি দেখতে এমন হবে
ছবি

আপনি চাইলে এতে Motion blur এ্যাড করতে পারেন। নিচের সেটিংসগুলো দিন
ছবি


ব্যাস হয়ে গেল ।
ছবি


আজকের টিপস :

দ্রুত সিলেকশনের জন্য : Deselect = Ctrl + D
Reselect = Ctrl +Shift + D
Inverse = Ctrl + I
দুটো লাইনের মধ্যে সংযোগের জন্য Shift+ Alt+ Drag
সিলেকশন থেকে বাদ দেয়ার জন্য Shift+ Drag

আমাদের প্রযুক্তিতে প্রকাশিত। লিংকটা এখানে http://forum.amaderprojukti.com/viewtopic.php?f=57&t=3732&st=0&sk=t&sd=a

.................

নেপোটিজম আজকাল সবখানে। যেদিকেই তাকাই ক্ষমতার ছড়াছড়ি। ছোট্ট যে শিশু যার মুখের গহবরে সদ্য জন্ম নিচ্ছে কচি কচি দুধদাঁত সেও প্রবল আক্রোশে চেপে বসে চামড়ার নরম বিছানায়। অনেক , অনেক দিন আগে একটা মানুষ যার প্রতিটি কথা আমার কাছে আদেশের মত, এমনকি দীর্ঘশ্বাসটুকু, বলেছিল,

"do u write blog?could u please give me the link?I like blogging....." তারিখটা ২৩/৭/২০০৮।

মানুষের স্বভাবের একটা দিক আছে। কবি আহসান হাবীবের কথায় বলতে হয় " তার স্বভাব কাঙাল, ফেরাতে পারে না কথা"। আমিও ফেরাতে পারিনা কথা। নেটের অনেক ঠিকানায় ঘুরলাম,জানলাম। কিছু করার চেষ্টাও করলাম। দেখলাম নেপোটিজম এখানেও। আবার এমনও আছে কিছু লোক কোন কারণ ছাড়াই দোষ খুঁজতে থাকে। মানুষ তার নিজের সম্পত্তিতে যা খুশি করতেই পারে। আমি সাধারন মানুষ। ফোরাম, ব্লগের কোন এডমিনও নই, সমন্বয়ক, উপদেষ্টা .......ইত্যাদী কিছুই নই। একটা মানুষ যে হাজারটা সূর্যডোবা শেষে ফিরে না আসলেও কেউ খুঁজবে না কোথাও সে হারালো। কখনো কেউ জানবেও না কেন সে হারালো, কিসের নেশায়। তবে সত্যিই আশ্চর্য্য লাগে যখন দেখি এসব ফোরাম বা ব্লগের প্রশাসন পর্যায়ে যারা আছেন তারা যদি নিজেদের সর্দি হলেও নতুন টপিক পোস্ট করেন তবে ফোরাম ভারী হয়না। তাদের জিভ দেখানো ইমোটিকনও দারুন প্রয়োজনীয় , মূল্যবান । অথচ আমরা যারা সাধারণ তাদের ... ওদের দোষ দিয়ে আর কি লাভ। সবখানেই কিছু ঘোলা জল থাকে। অন্যের দোষ না খোঁজাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও আমি বোকা, তথাপি ক্ষান্ত দিলাম।

ভাল থেকো ফেসবুক, ভাল থেকো ফোরাম, ভাল থেকো ব্লগ,ভাল থেকো সচলেরা।

জীবনানন্দের "
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ " কবিতাটা আজ খুব, খুব মনে পড়ছে ..........


অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশী আজ চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজও মানুষের প্রতি,
এখনও যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাহাদের হৃদয়।

সোনালী কাবিন

আজ আমি সত্যিই ক্লান্ত .........:(



আর আসবো না বলে দুধের ওপরে ভাসা সর
চামোচে নিংড়ে নিয়ে চেয়ে আছি। বাইরে বৃষ্টির ধোঁয়া
যেন সাদা স্বপ্নের চাদর
বিছিয়েছে পৃথিবীতে।

কেন এতো বুক দোলে? আমি আর আসবো না বলে?
যদিও কাঁপছে হাত তবু ঠিক অভ্যেসের বশে
লিখছি অসংখ্য নাম চেনাজানা
সমস্ত কিছুর।

প্রতিটি নামের শেষে, আসবো না।
পাখি, আমি আসবো না।
নদী আমি আসবো না।
নারী, আর আসবো না, বোন।

আর আসবো না বলে মিছিলের প্রথম পতাকা
তুলে নিই হাতে।
আর আসবো না বলে
সংগঠিত করে তুলি মানুষের ভিতরে মানুষ।
কথার ভেতরে কথা গেঁথে দেওয়া, কেন?
আসবো না বলেই।
বুকের মধ্যে বুক ধরে রাখা, কেন?
আর আসবো না বলেই।

আজ অতৃপ্তির পাশে বিদায়ের বিষণ্ণ রুমালে
কে তুলে অক্ষর কালো, ‘আসবো না’
সুখ, আমি আসবো না।
দুঃখ, আমি আসবো না।
প্রেম, হে কাম, হে কবিতা আমার
তোমরা কি মাইল পোস্ট না ফেরার পথের ওপর?

———————————–


আল মাহমুদ

স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল



পুরনো পকেট থেকে উঠে এল কবেকার শুকনো গোলাপ |
কবেকার ? কার দেওয়া ? কোন্ মাসে ? বসন্তে না শীতে ?
গোলাপের মৃতদেহে তার পাঠযোগ্য স্মৃতিচিহ্ন নেই |

স্মৃতি কি আমারও আছে ? স্মৃতি কি গুছিয়ে রাখা আছে
বইয়ের তাকের মত, লং প্লেইং রেকর্ড-ক্যাসেটে
যে-রকম সুসংবদ্ধ নথীভুক্ত থাকে গান, আলাপচারীতা ?

আমার স্মৃতিরা বড় উচ্ছৃঙ্খল, দমকা হাওয়া যেন
লুকোচুরি, ভাঙাভাঙি, ওলোটপালটে মহাখুশি
দুঃখেরও দুপুরে গায়, গাইতে পারে, আনন্দ-ভৈরবী |

আকাঙ্খার ডানাগুলি মিশে গেছে আকাশের অভ্রে ও আবীরে
আগুনের দিনগুলি মিশে গেছে সদ্যজাত ঘাসের সবুজে
প্রিয়তম মুখগুলি মিশে গেছে সমুদ্রের ভিতরের নীলে |

স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল, দুহাজার বছরেও সব মনে রাখে
ব্যাধের মতন জানে অরণ্যের আদ্যোপান্ত মূর্তি ও মর্মর |
অথচ কাল বা পরশু কে ডেকে গোলাপ দিল কিছুতে বলবে না |

পুর্ণেন্দু পত্রী

কৃষ্ণকলি

রবীন্দ্রনাথ কেন যে মেঘরংয়া ছেলেদের ব্যাপারে কিছু লিখলো না :(


কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলাদিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিলনা তার মোটে,
মুক্তবেণী পিঠের 'পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে
ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে
কুটির হতে ত্রস্ত এল তাই।
আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু
শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

পূবে বাতাস এল হঠাত্‍‌ ধেয়ে,
ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা,
মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
আমার পানে দেখলে কিনা চেয়ে,
আমি জানি আর জানে সেই মেয়ে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

এমনি করে কাজল কালো মেঘ
জ্যৈষ্ঠমাসে আসে ঈশান কোণে।
এমনি করে কালো কোমল ছায়া
আষাঢ়মাসে নামে তমাল-বনে।
এমনি করে শ্রাবণ-রজনীতে
হঠাত্‍‌ খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
মাথার পরে দেয়নি তুলে বাস,
লজ্জা পাবার পায়নি অবকাশ।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো
ছোট ঘাসফুলের জন্যে
একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো চৈত্রের বাতাসে
উড়ে যাওয়া একটি পাঁপড়ির জন্যে
একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
দোয়েলের শিসের জন্যে
শিশুর গালের একটি টোলের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো কারো চোখের মণিতে
গেঁথে থাকা একবিন্দু অশ্রুর জন্যে
একফোঁটা রৌদ্রের জন্যে

আমি সম্ভবতখুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
এক কণা জ্যোৎস্নার জন্যে
এক টুকরো মেঘের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো টাওয়ারের একুশ তলায়
হারিয়ে যাওয়া একটি প্রজাপতির জন্যে
এক ফোঁটা সবুজের জন্যে

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে
খুব ছোট দুঃখের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে
একটি ছোটো দীর্ঘশ্বাসের জন্যে
একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।


হুমায়ুন আজাদ




যে টেলিফোন আসার কথা

কবিতাটা পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো :(

যে টেলিফোন আসার কথা সে টেলিফোন আসেনি।
প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতে
সূর্য ডোবে রক্তপাতে
সব নিভিয়ে একলা আকাশ নিজের শূন্য বিছানাতে।
একান্তে যার হাসির কথা হাসেনি।
যে টেলিফোন আসার কথা আসেনি।

অপেক্ষমান বুকের ভিতর কাঁসরঘন্টা শাখেঁর উলু
একশ বনের বাতাস এসে একটা গাছে হুলুস্থুলু
আজ বুঝি তার ইচ্ছে আছে
ডাকবে আলিঙ্গনের কাছে
দীঘির পাড়ে হারিয়ে যেতে সাঁতার জলের মত্ত নাচে।
এখনো কি ডাকার সাজে সাজেনি?
যে টেলিফোন বাজার কথা বাজেনি।

তৃষ্ণা যেন জলের ফোঁটা বাড়তে বাড়তে বৃষ্টি বাদল
তৃষ্ণা যেন ধূপের কাঠি গন্ধে আঁকে সুখের আদল
খাঁ খাঁ মনের সবটা খালি
মরা নদীর চড়ার বালি
অথচ ঘর দুয়ার জুড়ে তৃষ্ণা বাজায় করতালি
প্রতীক্ষা তাই প্রহরবিহীন
আজীবন ও সর্বজনীন
সরোবর তো সবার বুকেই, পদ্ম কেবল পর্দানশীন
স্বপ্নকে দেয় সর্বশরীর, সমক্ষে সে ভাসে না।
যে টেলিফোন আসার কথা সচরাচর আসে না।

পুর্ণেন্দু্ পত্রী

যাত্রাভঙ্গ

হাত বাড়িয়ে ছুইনা তোকে মন বাড়িয়ে ছুই
দুইকে আমি এক করিনা এক কে করি দুই
হেমের মাঝে শুইনা যবে প্রেমের মাঝে শুই
তুই কেমন করে যাবি?
পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া, আমাকে তুই পাবি
তবুও তুই বলিস যদি যাই
দেখবি তোর সম্মুখে পথ নাই
তখন আমি একটু ছোব
হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর বিদায় দুটি পায়ে
তুই উঠবি আমার নায়ে? আমার বৈতরণির নায়ে
নায়ের মাঝে বসবো বটে নায়ের মাঝে শোব
হাত দিয়েতো ছোবনা মুখ, দুঃখ দিয়ে ছোব।

নির্মলেন্দু গুণ

Friend

Art thou abroad on this stormy night
on thy journey of love, my friend?
The sky groans like one in despair.

I have no sleep tonight.
Ever and again I open my door and look out on
the darkness, my friend!

I can see nothing before me.
I wonder where lies thy path!

By what dim shore of the ink-black river,
by what far edge of the frowning forest,
through what mazy depth of gloom art thou threading
thy course to come to me, my friend?

Rabindronath Tagore

Stoping by Woods on a Snowy Evening

দিনগুলো তার মত করেই যাচ্ছে আর আমি আমার মতই আছি। একটা কাজ শুরু করেছিলাম অনেকদিন আগে,শেষটা কিছুতেই নামাতে পারছিনা। অথচ মানুষ হিসেবে এখনো অনেক কিছু করার বাকি রয়ে গেছে। ফ্রস্টের শেষের লাইনগুলো পড়লে বুকের ভেতরটা হিম হয়ে আসে , miles to go before I sleep.........
Whose woods these are I think I know.
His house is in the village, though;
He will not see me stopping here
To watch his woods fill up with snow.
My little horse must think it queer
To stop without a farmhouse near
Between the woods and frozen lake
The darkest evening of the year.

He gives his harness bells a shake
To ask if there is some mistake.
The only other sound's the sweep
Of easy wind and downy flake.
The woods are lovely, dark and deep,
But I have promises to keep,
And miles to go before I sleep,
And miles to go before I sleep.

Robert Frost

গুচ্ছ কবিতা

মাঝে মাঝে ছেলেমানুষী কবিতা ভাললাগে। কদিন ধরে কার্নেগীর রচনাসমগ্র পড়তে পড়তে মন বিষন্ন হয়ে উঠেছে। আজ হঠাৎ রুদ্র'র কবিতা মনে পড়ছে -


১.

থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক

একলা থাকার খুব দুপুরে

একটি ঘুঘু ডাকুক



২.

দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা

বুঝতে কেন পাচ্ছো না ছাই

মানুষ আমি, যন্ত্র না!



৩.

চোখ কেড়েছে চোখ

উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক।

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্

কার প্রতীক্ষায় আছো


( প্রতিটি মানুষের জীবনেই বোধহয় এমন কিছু সময় আসে যখন অতিপ্রিয় জীবনটাও অর্থহীন মনে হয়।বি.বি.এ পড়ার সময়ে একদিন এক ইয়ারমেট প্রশ্ন করেছিল ," কেন দীপ জ্বেলে রাখি? কেন আশায় বুক বেঁধে রাখি ?" কোন সদুত্তর দিতে পারিনি। জীবনের অনেক অধ্যায় আছে যার পরিসমাপ্তি নেই। জীবনের অনেক চাওয়া আছে যার বাস্তবতা নেই। জীবনের অনেক গল্প আছে যার পরিণতি নেই। তবুও সময় তার মত করেই বয়ে যায় আর অনেকের মত আমিও কাল হবে এই প্রতীক্ষায় আরেকটা কালের অপেক্ষায় থাকি।৩৬৫ সূর্যডোবা মানে অনেকটা সময়। এক একটা সূর্যস্নানের সাথে স্রষ্টা চাইলে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু সব জীবনে গতি আসেনা। সব স্বপ্ন সূর্যওঠা দেখতে পায়না ।মাঝরাতে আচমকা জেগে উঠেই এলোমেলো লাগছে। কবির কথার রেশ ধরে নিজেকেই প্রশ্ন করি ,বলো, কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী, ঘুমহীন? )



বলো, কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী?

আমার ভেতরে নিশিদিন অগণিত শিশু

পাঠশালা যায় আসে বানায় রঙিন স্বপ্ন কবিতার বই

নিপুণ বাঁধাই জরিমোড়া।

নিশিদিন আমার ভেতরে শব্দ নিয়ে লুফোলুফি হয়

কৌতুক জলসায় মাতে গ্রাম্যবধুরা লোকালয়ে, স্বার্থপর

পারিনি তাদের আমি পরাতে এখনো কোনো

সুনিপুন পোশাক-আশাক, পারিনি দুলাতে আজো

কর্ণমূলে লোভনীয় কোনো মণিহার।



কার প্রতীক্ষায় কাটে বেলা? আমার আকাশে ওঠে

অগণিত জ্বলজ্বলে তারা, ওঠে চাঁদ মধ্য-রজনীতে

কোনোদিন ঢেলে দেয় জোৎস্না ঘরময়,

কুয়াশায় ভিজে বুক নাভিমূলে কোমল-কোমল পেলবতা

আড়ষ্ট কপোল-জোড় ভেজাই আদরে নির্দ্বিধায়,

বুলাতে পারিনি তবু পরিত্যক্ত শিয়রে তাদের

কোনোদিনও মোমের আঙুল।



বলো কার প্রতীক্ষায় হে আমার শব্দাবলী গনগনে

জাগ্রত শিশুর কান্না শুনে কাটাও রজনী অবিশ্রাম?

ভেতরে আমার নিশিদিন পদধ্বনি বেজে ওঠে কার,

কার নিত্য আগমন আমাকে ভুলিয়ে রেখে বেশ

নিয়মিত ঘর-গেরস্থালী সাজায় আদরে,বলো

কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী

ঘুমহীন?

বিমল গুহ

প্রতিদান

( সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ শরীরটা বিদ্রোহ করে উঠলো।কিছুতেই ঘুম আসছে না। ভাঙ্গাচোরা শরীরের ভারে ম্রিয়মান মগজের কোষ থেকে থেকে থেকে ভেসে আসছে কিছু চরণ । এস.এস.সি'র বাংলা বইয়ে ছিল। তারই পুরোটা তুলে দিলাম আকাশের ঠিকানায় )


আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

যে মোরে করিল পথের বিবাগী;
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি;

দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হরেছে মোর;
আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর।

আমার এ কুল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কুল বাঁধি,
যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি;

যে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ,
আমি দেই তারে বুক ভরা গান,

কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম ভর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

মোর বুকে যেবা কবর বেঁধেছে আমি তার বুক ভরি,
রঙ্গীন ফুলের সোহাগ-জড়ানো ফুল-মালঞ্চ ধরি।

যে মুখে সে কহে নিঠুরিয়া বাণী,
আমি লয়ে সখী তার মুখখানি,

কত ঠাঁই হতে কত কি যে আনি সাজাই নিরন্তর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

জসীমউদ্দীন

আমিও শোকার্ত

আমিও শোকার্ত । দ্যাখো কালো ফিতে এঁটেছি জামায়
সযত্নে। আমার কন্ঠ বার বার হাহাকার তোলে, আহা
মৃত্ব্যুর এমন
নগ্নরুপ জীবনে দেখিনি।
আমিও শোকার্ত। তাই পথ চলতে কখনো উদাস
দু'চোখ আকাশে রাখি,
অফিসে অথবা
ঘরের চায়ের ঠাটে
ক্লান্ত ঠোঁট অলস চুমুক কেঁপে ওঠে কখনো কখনো ।

আমিও শোকার্ত তাই আর্তের সেবায়
যখন যাদের দেখি অগ্রসর
অপার উৎসাহ দেই অনায়াসে
" এসো , খোদা হাফেজ : তোমরাই
তোমাদের আত্নদানে জানি
সারাদেশে জ্বেলে যাবে গৌরবের শিখা !
আমি এই শোকের মিছিলে সঙ্গী বটে, তবে
যখন অসহ্য হয়
শুধু শোক যখন আমার
অস্তিত্বকে ঢেকে দেয়
তখন কেবল
তখন কেবল এই কালো ফিতে বড় ..বড়, আরো বড় করে
একটি বড় কাফন বানাই
শোকের কাফন।
সারা শোক কাফনে আবৃত করি এবং ঘুমাই
শান্ত হয়ে। যেমন দেখেছি
মৃতের গলিত শব শ্বেত বস্ত্রে নিজেকে লুকিয়ে
লোকালয় আর সব কোলাহল থেকে
দূরে সরে নিশ্চিন্তে ঘুমায়।


আহসান হাবীব

প্রিয়তমাসু

খুব প্রিয় একটি কবিতা, আকাশের ঠিকানায় তুলে দিলাম যদি কারো ভাললেগে যায় ..........

তোমার দু'হাতে ফুল তুলে দেবো এই ছিল সাধ
হাতে নিয়ে হাত আংটি পরাবো এই ছিল সাধ
তুমি শুধু বলো , ফুল নয় , চাই ভাত , দাও ভাত।
আংটিও নয় ভাতে ভরে দাও আমার দু'হাত।

সাগরের তীরে বসবো দু'জন এই ছিল সাধ
মনে ছিল সাধ তোমাকে দেখাবো আকাশের চাঁদ
তুমি শুধু বলো সাগর চাইনা
আকাশের চাঁদ কি হবে আমার
একটি পাতার ঘর তুলে দাও রাতে ঘুমোবার।

মনে ছিল সাধ গজোমতি হার
পরিয়ে তোমায় ঘরে নিয়ে যাবো,
তুমি বলো , দাও ছেঁড়া কাঁথা ছুঁড়ে লজ্জা বাঁচাবো।
মনে সাধ ছিল ময়ুরপঙ্খী নায়ে তুলে নিয়ে
সাগরে ভাসবো, তুমি দুটি হাত সামনে এগিয়ে
বললে, আমার খেয়া পারাবার কড়ি হাতে নাই
সারাদিন এই পারাপার আছে কিছু কড়ি চাই।

তোমাকে আমার রানী করে নেবো এই সাধ ছিল
তোমাকে আমার ঘরণী বানাবো এই সাধ ছিল
মনে সাধ ছিলো সঙ্গিনী হবে সখের মেলায়
তুমি মেতে গেলে কালো অঞ্চলে ভাত
কুড়োবার মরণ খেলায়।


আহসান হাবীব

একবার বলেছি তোমাকে

কবিতাটার প্রথম চার লাইন খুবই প্রিয় । সত্যিই তো একবার যা বলেছি তা কি ফেরানো যায় ? নাকি ফেরানো উচিত ? আমি বলি, ভালবাসার অপর পিঠেও ভালবাসা আছে।



"একবার বলেছি তোমাকে আমি ভালোবাসি
একবার বলেছি তোমাকে আমি , তোমাকেই ভালবাসি।
বলো
এখন সে কথা আমি ফেরাবো কেমনে !
আমি একবার বলেছি তোমাকে ....
এখন তোমাকে আমি ঘৃণা করি।
এখন তোমার
দৃষ্টির কবলে এলে ক্ষতস্থান জ্বলে জ্বলে ওঠে।
তোমার সান্নিধ্যে এলে তুমি উষ্ণ নাভিমূল থেকে
বাতাসে ছড়াও তীব্র সাপিনীর তরল নিশ্বাস।
আমি যতবার ছুটতে যাই , তোমার দৃষ্টির বাইরে যেতে চাই, তুমি
দু'চোখে কী ইন্দ্রজাল মেলে রাখো ! আমি ছুটতেও পারি না
আমি ফেরাতে পারি না কথা
আমি একবার বলেছি, তোমাকে ....

সম্রাজ্ঞীর বেশে আছো । নতজানু আমি
দাসানুদাসের ভঙ্গী করপুটে, দেখি
তোমার মুখের রেখা অবিচল, স্হির জঙ্ঘা তোলে না টন্কার,
তুমি পবিত্রতা পবিত্রতা বলে
অস্পষ্ট চীৎকার করো , তুমি
কেবলি মালিন্য দেখো, অশ্লীলতা ক্রমান্বয়ে ঘৃণা
ক্রোধ বাড়ে, উত্তেজনা বাড়ে
নামে উষ্ণ জলস্রোত। তুমি
এইভাবে প্রবল ঘৃণায়
আমাকে ভাসিয়ে দিয়ে অহন্কার রাখতে চাও অটুট। তবুও
পৃথিবীতে আছে কিছু মানুষের অবস্থান, তারা
অপমানে ধন্য হয়
উপেক্ষায় ঋজু ;
তারা স্বভাব - কাঙাল ! যদি
একবার বলে তবে ফেরাতে পারে না। আমি
ফেরাতে পারি না । আমি
একবার বলেছি, তোমাকে আমি ভালোবাসি।


ভালোবাসা, ভালোবাসা, ভালোবাসা !
ভালোবাসা ! সে কেমন, কোন দ্রীপ স্বর্গীয় প্রতাপ
যার মৃত্ব্যু ন্ই
জন্মান্তর নেই ?


আহসান হাবীব

Me

Me

About this blog

Hello

This is Fahmida. You may imagine me as a five feet white ball. Completed MBA in Management . ভাললাগে গ্রাফিক্সের টুকিটাকি। শখ ছিল ফটোগ্রাফার হবো কিংবা সাংবাদিক। হইনি কিছুই। পেশায় ব্যাংকার। জন্ম উত্তর বঙ্গে। বসবাস দক্ষিণে। মাঝে মাঝে এক আধটু প্যাঁচাই। যদিও আমার লেখালেখির হাতেখড়ি আপ্র (http://forum.amaderprojukti.com/memberlist.php?mode=viewprofile&u=1094) থেকে তারপরও মাঝে মাঝে প্রথম আলো ব্লগেও মাঝেমাঝে ঢুঁ মারি। নিক আঁধার http://prothom-aloblog.com/users/base/adhar/p1 । আজকাল সচলদের অতিথি হতে ভাল লাগে। নিক অমাবস্যা। ইদানীং টিউরোটিয়াল বিডি'তে লেখার চেষ্টা করছি। গান শোনা, কবিতা পড়তে ভালবাসি। ভালবাসি ব্লাক কফি আর সিলেটের চা-পাতা । এক কথায় Im busy for nothing :)


লাইসেন্স:Licence
by-nc-nd (Creative Commons)

My Blog List