Some say in ice.
From what I've tasted of desire
I hold with those who favour fire.
But if it had to perish twice,
I think I know enough of hate
To say that for destruction ice
Is also great
And would suffice.
Robert Frost
Labels: ভাললাগে
Labels: ভাললাগে
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতে
মুগ্ধ ললিত অশ্রুগলিত গীতে।
পঞ্চশরের বেদনামাধুরী দিয়ে
বাসর রাত্রি রচিব না মোরা প্রিয়ে!
ভাগ্যের পায়ে দূর্বল প্রাণে ভিক্ষা যেন না যাচি ।
কিছু নাই ভয়, জানি নিশ্চয় - তুমি আছ, আমি আছি ।।
ঊড়াব উর্ধ্বে প্রেমের নিশান দূর্গম পথমাঝে
দুর্দম বেগে, দু:সহতম কাজে।
রুক্ষ দিনের দু:খ পাই তো পাব,
চাই না শান্তি, সান্ত্বনা নাহি চাব।
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি, ছিন্ন পালের কাছি,
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব - তুমি আছ, আমি আছি।।
দুজনের চোখে দেখেছি জগৎ, দোঁহারে দেখেছি দোঁহে -
মরুপথতাপ দুজনে নিয়েছি সহে।
ছুটি নি মোহন-মরীচিকা-পিছে-পিছে,
ভুলাই নি মন সত্যেরে করি মিছে -
এই গৌরবে চলিব এ ভবে যতদিন দোঁহে বাঁচি।
এ বাণী , প্রেয়সী , হোক মহীয়সী _ তুমি আছ, আমি আছি ।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভালবাসার অনেক রকম হয়, অনেক ধরন হয়। কিছু সর্ম্পকের কোন নাম থাকেনা। কিছু ভালবাসার কোন ধরন থাকেনা । তারপরও দুটি মানুষ দুটি মানুষের জন্য কষ্ট পায় । আমার খুব প্রিয় একটা কবিতা । প্রথম প্যারার শেষের চরণ দুটো বুকে বড্ড বেশি বাজে ........
ভাগ্যের পায়ে দূর্বল প্রাণে ভিক্ষা যেন না যাচি ।
কিছু নাই ভয়, জানি নিশ্চয় - তুমি আছ, আমি আছি ।।
Labels: ভাললাগে
মা গো শুনছো তুমি ? আমি তোমার খোকা।
ভাবছো বুঝি ভুল শুনেছো , এতই কি আর সোজা !
খোকা আমি , তোমার খোকা, আসছি তোমার কোলে
রাত ছাড়িয়ে দুই প্রহরে ভাসবো বুকের জলে।
কুয়োর পাড়ে যেওনা কো তুলতে স্নানের জল
পেটটাতে ঠিক চালান দিয়ো রঙিন যত ফল।
আরো খেয়ো শাক-সবজী, মাছ-মাংস, ডিম
মুখের হাসি চাই ই চাই, হয়না যেন মলিন।
নিয়মিত চেক আপ করো হয়না যেন ভুল,
টিকাগুলো না নাও যদি সব হবে ভন্ডুল।
ভারী জিনিস তুলবে না মা, থাকবে নাকো বসে,
ছোট ছোট ব্যস্ততায় সময় কাটাও শেষে।
নিয়ম মেনে ঠিক মত সব করো যদি কাজ.
তবেই আমি আসবো জেনো কাল অথবা আজ।
হাত-পা ছেড়ে খেলবো আমি তোমার আচঁল ছুয়েঁ
এই যা আসল কথাই বলতে গেছি ভুলে,
প্রশিক্ষিত দাই-মা আর রক্ত রেডি চাই,
লক্ষী ঘরটায় পয়সাগুলোয় একটু দিও ঠাঁই।
ওমা তুমি আস্তে চলো, নয়তো বিপদ হবে
কাদায়-জলে পড়লে মাগো তখন কি হবে?
( মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমাদের মেয়েদের অবনতির জন্য , নির্যাতনের জন্য পুরুষের পাশাপাশি আমরাও সমান ভাবে দায়ী। কাল একটা ঘটনা শুনলাম। প্রসব ব্যাথা শুরু হয়েছে চারদিন আগে। হাসপাতালে তো নেয়নি উল্টো প্রসবের পর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছে। ফলস্রুতিতে জীবন থেকে অকালে ছুটি নিতে এতটুকুও দেরী হয়নি। পৃথিবীতে জন্ম হলো আরেকটা মাতৃহীন শিশুর। এ অপরাধের দায়ভার কে নেবে ?
কবি হবার জন্য কবিতা লেখা নয়, মাথার মধ্যে যে কথারা ঘোরাফেরা করে তারা ঠিকমত ঘুমাতে দেয়না বলেই ঝেড়ে ফেলা। এর বেশি কিছু নয়। অতএব কারো চোখে যদি আচমকা পড়েই যায় নাক সিঁটকাবেন না। এটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত ব্লগ)
Labels: আমার কবিতা
দু:খকে স্বীকার করো না, সর্বনাশ হয়ে যাবে।
দু:খ করো না , বাঁচো, প্রাণ ভরে বাঁচো।
বাঁচার আনন্দে বাঁচো। বাঁচো , বাঁচো এবং বাঁচো।
জানি মাঝে মাঝেই তোমার দিকে হাত বাড়ায় দু:খ
তার কালো লোমশ হাত প্রায়শই তোমার বুক ভেদ করে
চলে যেতে চায়, তা যাক, তোমার বক্ষ যদি দু:খের
নখরাঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়, যদি গল গল করে রক্ত ঝরে
তবু সেই দু:খের হাতকে প্রশয় দিও না।
তার সাথে করমর্দন করোনা, তাকে প্রত্যাখান করো।
অনুশোচনা হচ্ছে পাপ দু:খের নিপূণ ছদ্মবেশ
তোমাকে বাঁচাতে পারে আনন্দ । তুমি তার হাত ধরো,
তার হাত ঘরে নাচো, গাও, বাঁচো, স্ফুর্তি করো।
দু:খকে স্বীকার করোনা, মরে যাবে।
যদি মরতেই হয় আনন্দের হাত ধরে মরো। সেই ভালো,
বলো দু:খ নয়, আনন্দের মধ্যে আমার জন্ম,
আনন্দের মধ্যেই আমার মৃত্ব্যু, আমার অবসান।
নির্মলেন্দু গুণ
Labels: ভাললাগে
তোমাকে যখন দেখি তার চেয়ে বেশি দেখি
যখন দেখিনা
শুকনো ফুলের মালা যে রকম বলে দেয়
সে এসেছে
চড়ুই পাখিরা জানে
আমি কার প্রতিক্ষায় বসে আছি
এলাচের দানা জানে
কার ঠোঁট গন্ধময় হবে
তুমি ব্যস্ত, তুমি একা, তুমি অন্তরাল ভালবাসো
সন্ন্যাসীর মত হাহাকার করে উঠি
দেখা দাও, দেখা দাও,
পরমুর্হুতেই ফের চোখ মুছি
হেসে বলি,
তুমি যেখানেই যাও সঙ্গে আছি !
সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়
Labels: ভাললাগে
তুমি কি শুনতে পাও হৃদয়ের ক্ষরণ আমার?
বুক পকেটে মিয়োনো কাগজের নোট,
কাপড়ের প্রাচীর, মাটিতে মোড়ানো
ঘামে ভেজা শরীরের চামড়া ভেদ করে
আর একটু এগিয়ে গেলে হৃদপিন্ডের দেশ থেকে
বৃষ্টির মত টুপটাপ ঝরে পড়ে তোমার প্রত্যাখান,
নিলয়ের আকাঁবাকাঁ পথ বেয়ে দু:স্বপ্নের মত উবে যায়
গাংচিল ভালবাসা,
কাকেদের ধূসর ঈষৎ খয়েরী ডানায় ,
ঘাসেদের নরম বুকে, ধানগাছের মত রুক্ষ অবয়বে
খসখস করে বেজে চলে রাগ-ক্ষোভ-ঘৃণা,
নোনা জল আরো নোনা হয়,
চোখের নদী সাতঁরে দীর্ঘশ্বাসেরা
আঙ্গুলে, কব্জিতে, শিরায় শিরায় যেন ফিসফিস করে বলে যায় -
ক্ষুর্ধাতের গ্রাসের মূল্য অপরিসীম,
তারচেয়েও দুষ্পাপ্য নির্ভেজাল ভালবাসা,
পৃথিবীর সমস্ত ব্যাংক এ্যাকাউন্ট মর্টগেজ রেখেও
নিবৃত্ত হয়না ভালবাসার ক্ষুধা ।
আজকাল কোথাও লিখতে ইচ্ছে হয়না। তাই ফেসবুকে তুলে দিলাম। নইলে কথারা মাথার মধ্যে ঘুরছিলো :(
লিংক :http://www.facebook.com/inbox/?drop&ref=mb#/note.php?note_id=166610420999
Labels: আমার কবিতা
দাদা চলে গেল ভাবলাম এখনো ঢের পথ বাকি
বুড়ো মানুষ বেঁচে থেকেই বা কি হতো,
খামোখা পৃথিবীর জঞ্জাল বাড়ানো,
অপরের পিঠে বোঝা ।।
দাদী’কে চোখে দেখিনি, নানা নানী দুজনেই
পৃথিবীর বুকে আমার প্রথম আবির্ভাবের আগে হয়তো বা একআধবার
আকাশের ঠিকানায় কথা হয়েছে,
কি জানি মনে করতে পারিনা,
বড় হয়ে বুঝেছি তারা চলে যায়,
সময় হয়েছে যাবার।।
যেদিন বাবা চলে গেলেন, চোখ তুলে দেখলাম
মাথার উপর ছাদের মত মা আছে,
এখনো অনেক সময়,
তারপর সেও একদিন...............
কবরের উপর কান পেতে চুপিচুপি বলি,
মাগো, শুনতে কি পাও?
চারপাশে ফের দেখি কেউ যাবার অপেক্ষায় আছে কিনা।।
প্রিয় বন্ধু সজল, ভার্সিটির এক ইয়ার জুনিয়র সেই মেয়েটা
যার কালো চুলে আমার ভালবাসারা দোল খেতো বাতাসের মত,
দুজনে ছুটতে গিয়ে চাপা পড়লো ট্রাকের তলায়,
মনে মনে বললাম, অপরের ভালবাসা দু’পায়ে দললে এমনই হয়।।
মুদি দোকানের মালিকটা, পাশের বাড়ির ভদ্রলোক,
নতুন ভাড়াটের সদ্য জন্মানো শিশুটা সব একে একে
চলে গেলে ভাবলাম
জন্মিলেই মরিতে হইবে, অতি পুরাতন ফিলসফি,
যেদিন গিন্নীও যাই বলে আর ফিরলো না, বুঝলাম
এবার বুঝি সময় হলো,
যেদিন খোকা চলে গেল সেদিন বুঝলাম
অনেক আগেই যাওয়া উচিত ছিল, বড্ড দেরী করে ফেলেছি।।
(কিছুদিন আগে লাইনগুলো ঘুরে ফিরে মাথার মধ্যে আসছিল। ঝেড়ে ফেললাম )
Labels: আমার কবিতা
তোমার মুখের পাশে কাঁটাঝোপ একটু সরে এসো
এ পাশে দেয়াল , এত মাকড়সার জাল!
অন্য দিকে নদী , নাকি ঈর্ষা ?
আসলে ব্যস্ততাময় অপরান্হে ছায়া ফেলে যায় বাল্যপ্রেম
মানুষের ভিড়ে কোন মানুষ থাকে না
অসম্ভব নির্জনতা, চৌরাস্তায় বিহবল কৈশোর
এলোমেলো পদক্ষেপ, এতদিন পর তুমি এলে ?
তোমার মুখের পাশে কাঁটাঝোপ, একটু সরে এসো!
সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়
Labels: ভাললাগে
Labels: দিনপঞ্জী
মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে সব ভুলে যাই । খানিকক্ষণ চোখ মেলে আশেপাশে তাকাই সিনেমার নায়িকার মত। আমি কে, কোথায় ছিলাম, এখানে কেন ইত্যাদী প্রশ্নগুলো একে একে বিনেসুতোর মালার মত মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। তারপর অনেকটা সময় পার করে স্মৃতিরা বেড়ানো শেষ করে ক্লান্ত হয়ে মাথার বিছানায় শুয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে সব মনে পড়তে থাকে। কখনো কখনো ভুল বাংলা বলি। উদাহরণের ফুল ফোটালেই গণধোলাই খেতে হবে। তবুও চুপিচুপি একটু লিখে যাই " হালেদা-খাসিনা, মুড়-গুড়ি, আশাক,বাশিল " ইত্যাদী তদ্যাতী। বেশকিছুদিন আগে টিভিতে একটা এ্যাড দেখলাম। ফেয়ার এ্যান্ড লাভলীর এ্যাড, আমি বলি হাই । এ্যাড দেখেতো আমি হেসেই কুটি কুটি। হাই' এর ঠেলায় উপর তলার ভুঁড়ি ভূগর্ভে বিলীন হয়ে গেলো। আমি ভাবি শক্তিটা আসলে কোথায় সৌন্দর্য্যে নাকি সৌন্দর্য্যের অধিকারিনীর? সুন্দর হলেও মানুষ অনেক সময় ভালবাসে না। আবার খুব পচা দেখতে কেউ তাকেও ভালবাসে মনপ্রাণ উজাড় করে। তাহলে শক্তি টা কোথায় সৌন্দর্য্যে না ভালবাসায়? না মনের জোর যা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়? কি সে? এতসব ভাবনার গাড়ি ছুটিয়ে অবশেষে ক্লান্ত হয়ে যাই। ক্লান্তিতে ভর করে Take care...........
কিছুদিন আগে আমার Take care রোগে ধরলো। সারাক্ষন কানের কাছে কে যেন ফিসফিস করে বলে Take care, Take care। আমি দৌড়ে ছুটে যাই, লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়িদের বুক ভাঙ্গি। কানের কাছে ফিসফিস শব্দ হয় Take care, Take care, Take care। এ্যাডের গল্পটা মনে পড়ে যায়। হয়তো কখনো পড়তে ভুলে গেছি, কে যেন বলে , মেঘলা, তুমি আজ পড়তে বসোনি। পরক্ষণেই এক মগ কফি খেয়ে পড়তে বসে যাই। দাতঁ ব্রাশ করতে দেরী হয়ে গেছে। কানের কানে বেজে ওঠে Take care, Take care, Take care। ছুটে ব্রাশ করে আসি। চিরুনীর সাথে চুলেদের খুব একটা দেখা হয় না। ভেজা চুলে এলোমেলো, এলোমেলো আবার ভিজে ওঠা। শুকিয়ে যায়, রোদ ওঠে ,বর্ষা নামে, আবার রোদ। তবুও চিরুনীর না আসা । এমনি করেই কাটে। চুলের নদীতে ঢেউ তোলে Take care। আমি আয়নায় নিজেকে দেখি চিরুনীর সাথে সখ্যতায়.........
তিনদিন পর পরীক্ষা। কিছুতেই মন বসছে না। তপ্ত দুপুরেও ঘুমে জড়িয়ে আসে দু'চোখ। বইয়ের পাতারা ছুটির দরখাস্ত নিয়ে বসে থাকে। আমি মাথাটাকে বালিশে এলিয়ে সে দরখাস্তে দস্তখত দেই। ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যাই। ঘুম ভেঙ্গে মনে পড়ে না কিছুই। কানের কাছ থেকে প্রিয় শব্দটা দূরে, অনেক দূরে সরে যায়। কোথায় আছে Take care?
Labels: দিনপঞ্জী
এখন দিন গিয়েছে। অন্ধকার হয়ে আসে। একদিন এই পথকে মনে হয়েছিল আমারই পথ, একান্তই আমার ; এখন দেখিছি , কেবল একটি বার মাত্র এই পথ দিয়ে চলার হুকুম নিয়ে এসেছি, আর নয়।
নেবুতলা উজিয়ে সেই পুকুরপাড়, দ্বাদশ দেউলের ঘাট, নদীর চর, গোয়ালবাড়ি, ধানের গোলা পেরিয়ে- সেই চেনা চাউনি, চেনা কথা, চেনা মুখের মহলে আর একটি বারও ফিরে গিয়ে বলা হবে না" এইযে ! এ পথ যে চলার পথ, ফেরার পথ নয়।"
আজ ধূসর সন্ধ্যায় একবার পিছন ফিরে তাকালুম ; দেখলুম, এই পথটি বহু বিস্মৃত পদচিন্হের পদাবলী, ভৈরবীর সুরে বাঁধা।
যতকাল যত পথিক চলে গেছে তাদের জীবনের সমস্ত কথাকেই এই পথ আপনার একটি মাত্র ধূলি রেখায় সংক্ষিপ্ত করে একেঁছে ; সে একটি রেখা চলেছে সূর্যোদয়ের দিক থেক সূর্যাস্তের দিকে এক সোনার সিংহদ্বার থেকে আর এক সোনার সিংহদ্বারে।
( লেখক লুৎফর রহমান না ফজলুল করিম ঠিক মনে নেই। তবে দুজনের একজন অবশ্যই।কথাগুলো আমার খুব প্রিয়। পড়তে পড়তে মন ভাল হয়ে যায়। আর একটা প্রশ্ন জাগে, জীবন-মৃত্ব্যুর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আমরা কে , কতটুকু এর সঠিক বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরেছি । ধ্বংসের জন্যেই কি সৃষ্টি ?)
Labels: ভাললাগে
তুমি প্রতিবার আমাকে দাও আগের বারের চেয়েও বেশী। যত বেদনা নিয়েই বিদায়ের সময়টা আসুক না কেন, পথে যেতে যেতে ভাবি তুমি যে আনন্দ দিয়েছ এর বেশী আসছে বার কি দেবে ? তবু তুমি দাও, প্রতিবারেই দাও, বেশী করে দাও, উজাড় করে দাও। কি দাও তুমি? আমি অনেক বার ভেবেছি। উত্তর পাইনি।
"কত না হস্ত চুমিলাম আমি অক্ষমালার মত,
কেউ খুলিল না কিস্মতে ছিল আমার গ্রন্থি যত ।"
(দস্ত-ই-হর্-কসরা ব্ সানে সবহৎ বুসীদম্ চি সূদ
হীচ্ কস্ ন্ কশওদ আখির অক্ দয়ে কারে মরা )
ইরানী শের ।
( হৃদয় আকুল করা এই কথার বৃষ্টি যার মনের আকাশ কাঁপিয়ে ঝরেছিল সে শবনম এর। জানি না সে কখনো বাস্তবে ছিল কি না কিন্তু কল্পনার জাল বুনে সৈয়দ মুজতবা আলী যা সৃষ্টি করেছিলেন তা সত্যিই অতুলনীয় )
Labels: ভাললাগে
আমার ভালবাসার কোন জন্ম হয়না
মৃত্ব্যু হয়না
কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়না
শরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম ,
আমার কেউ নাম রাখেনি, তিনটে
চারটে ছদ্মনামে
আমার ভ্রমণ মর্ত্যধীমে
আগুন দেখে আলো ভেবেছি, আলোয় আমার
হাত পুড়ে যায়
অন্ধকারে মানুষ দেখা সহজ ভেবে ঘূর্ণিমায়ায়
অন্ধকারে মিশে থেকেছি
কেউ আমাকে শিরোপা দেয়, কেউ দু’চোখে হাজার ছি ছি
তবুও আমার জন্ম-কবচ ভালোবাসাকে ভালোবেসেছি
আমার কোন ভয় হয় না
আমার ভালোবাসার কোন জন্ম হয় না, মৃত্ব্যু হয় না।
সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়
Labels: ভাললাগে
দিন যায়, রাত যায়। রাত যায়, দিন যায়।
আবার নতুন করে দিন আসে, রাত আসে।
আমি সময়ের চরের উপরে পা রেখে দাঁড়াই ।
কাল হবে, এই স্বপ্নিল বিশ্বাস ছড়াই বীজের মতো,
শষ্যরিক্ত উষর মাটিতে নবায়ন করি ভালবাসা।
ঘুমোতে যাবার আগে জানালার পর্দা তুলে দিয়ে
আকাশের মুখখানি দেখি । বড় মায়া জাগে বুকে ।
কে কাকে সান্ত্বনা দেবে ? আকাশও কি সুখী ?
মধ্যাকর্ষণ ভেদ করে আমাদের ব্যথা ও বেদনা
মহাশূন্যে মেশে, যেন দুটি দু:তপ্ত ব্যথিত হৃদয়।
আজ তো কিছুই হলো না, কাল হবে এই ভেবে
আমি ও আকাশ জড়াজড়ি করে সুখে নিদ্রা যাই।
নির্মলেন্দু গুণ
Labels: ভাললাগে
Copyright 2009 -
Small journey
Blogspot Theme Design by: Ray Creations, HostingITrust.com Tested by Blogger Templates