Small journey

ছোট ছোট ঢেউ জুড়েই সুনামীর সৃষ্টি হয়

Learn photoshop in Bengali

গ্রাফিক্সের জন্য যে কয়েকটি প্রোগাম আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ফটোশপ। তাই ফটোশপ শুরু করার আগে জানা জরুরী ফটোশপ কি?

What is Photo shop?

Adobe Photo shop, or simply Photo shop, is a graphics editing program developed and published by Adobe Systems. এ সম্বন্ধে আমরা বিস্তারিত Wikipedia থেকে জানতে পারি। লিংক http://en.wikipedia.org/wiki/Adobe_Photoshop.

এখন আমরা প্রথমেই জানবো ফটোশপের Basic টুলগুলো কি?


ফটোশপের যে টুলগুলো মূলত: ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হলো:

১.Marquee tool (M)
২.Move tool (V)
৩.Lasso tool (L)
৪.Magic wand tool (W)
৫.Crop tool (C)
৬.Slice tool (K)
৭.Healing brush (J)
৮.Brush (B)
৯.Clone stamp (S)
১০.Air brush (Y)
১১.Gradient tool (G)
১২. Eraser tool (E)
১৩. Path selection (A)
১৪.Pen tool (P)
১৫. Text tool (T)
১৬. Eyedropper (I)

আমরা ধারাবাহিক ভাবে এই Tool গুলোর ব্যবহার শিখবো।

প্রথমে আমরা শিখবো Marquee tool (M)। Marquee tool আসলে বিভিন্ন ধরনের সিলেকশন বা শেপ তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন: স্কয়ার, রাউন্ডেড, গোলাকার/ বৃত্তাকার ইত্যাদী। এটিকে সংক্ষেপে M দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি টুলস্ এর শর্টকার্ট কমান্ড জানা থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়। তারচেয়েও বড় কথা এটা আপনার মূল্যবার সময়কে বাঁচাতে সাহায্য করবে। প্রফেশনাল হতে হলে শর্টকার্ট কমান্ড জানা খুবই দরকারী।



স্কয়ার শেপ তৈরীর জন্য Rectangular Marquee tool এবং গোলাকার/ বৃত্তাকার শেপ তৈরীর জন্য Elliptical Marquee Tool ব্যবহার করা হয়।

কিভাবে সিলেকশন করা হয়?



পিঁপড়ের সারির মত সাদা-কালো ড্যাশ চিন্হগুলো দ্বারা সিলেক্ট করা বোঝা যায়। আমরা যদি ফটোশপের মেন্যু বারে লক্ষ্য করি তাহলে দেখবো এখানে বেশ কিছু অপশন আছে। আমরা এগুলো দ্বারা সিলেকশনে এ্যাড অথবা বাদ দিতে পারি। লক্ষ্য করুন :


এখানে প্রথমটি অর্থ্যাৎ Create a New Selection নতুন সিলেকশনের জন্য।


দ্বিতীয়টি Add to a Selection সিলেকশনে নতুন কিছু যোগ করার জন্য।


তৃতীয়টি Subtract from Selection সিলেকশন থেকে কোন অংশ বাদ দেবার জন্য।


এবং চর্তুথটি Intersect with Selection সিলেকশনের সাথে সমন্বয় ঘটানোর জন্য।




এর পর আছে Feather option। Feather ব্যাকগ্রাউন্ডের Pixel এর সাথে সিলেকশনের Pixel গুলোর মধ্যে মসৃণ ভাবে সমন্বয় ঘটায়। আর Anti-aliased option টি রাউন্ডেড সিলেকশের পিক্সেল গুলোকে মসৃণ করে।






আমরা যদি পারফেক্ট বৃত্ত তৈরী করতে চাই তাহলে আমাদের Shift key চেপে Elliptical Marquee Tool সিলেক্ট করে ড্রাগ করতে হবে। এছাড়াও স্কয়ার শেপ তৈরীর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অর্থ্যাৎ Rectangular Marquee Tool সিলেক্ট করে Shift key চেপে ড্রাগ করতে হবে।






আজকের টিপস্ :

-পারফেক্ট স্কয়ার বা সার্কেল এর জন্য ফিক্সড এ্যাসপেক্ট রেশিও (fixed-ratio) ১:১।
-Crtl+D চাপলে ডিসিলেক্ট হবে, Ctrl+A চাপলে সর্ম্পূণ ডকুমেন্ট সিলেক্ট হবে এবং লেয়ারের উপর Ctrl+ Click করলে ইমেজ সিলেক্ট হবে।
-Crtl+Backspace চেপে কালার Fill করা যায়।
- কি-বোর্ডে D চাপলে ফোরগ্রাউন্ড কালার কালো এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কালার সাদা হবে। আর X চাপলে ফোরগ্রাউন্ড কালার সাদা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কালার কালো হবে।

আমার সাম্প্রতিক সংলাপ

"পোকা"

পোকারা পাতা খায়
আমরাও পাতা খাই,
তবে কি আমরা পোকা?
কেঁচো মাটি খুঁড়ে চলে
আমরা খুঁড়ে চলি সততার আবরণ,
ঘুষের পাত্রে হাত ধুয়ে
সততাকে খুঁড়ে চলি অনবরত,
পৃথিবী অনুর্বরা হয়,
আমরা ফুলে ফেঁপে দ্বিগুণ হয়ে উঠি।
কীটনাশক খেয়ে খেয়ে
পোকারা আরো শক্তিশালী হয়,
আর আমরা ধীরে ধীরে পরিণত হই
পোকাতে.........

দু:খবিলাস

"দু:খবিলাস"


শরতের মেঘ খেলা করে আমার দু'চোখে
গলে যায়, ঝরে যায়, পড়ে যায়...
ভেসে যায়, আসে যায়, নিভে যায়,
দু:খ বিলাসী আমি...........................।।

আজ আমার চোখ ভেসে যায়, বুক ভেসে যায়, মুখ ভেসে যায়,
আজ আমার মন ভেসে যায়, গান ভেসে যায়, প্রাণ ভেসে যায়,
আজ আমার হৃদয় হাওয়ায় পাল তুলে যায় ঘাটের মাঝি,
আজ আমি রিক্ত হাতে , শূন্য ঘাটে শুধুই চেয়ে থাকি,
আজ আমি নি:স্ব বুকে , স্বপ্ন চোখে ভোরের পাতা আঁকি,
আজ আমার মনের কোণের গহীন বনে শুধুই মাতামাতি,
আজ আমি হাওয়ার দোলা, খেলার মেলা,অভিনয়ের গান,
তাই কি বুঝি ছিনিয়ে নিলে আমার শূণ্য প্রাণ?"

এলোমেলো

"এলোমেলো"


মাটিতো মা , মেয়ে নয় কেন?
মেয়েরাই তো মা হয়,
জন্ম দেয়, বড় করে.....
জননী জন্মভূমি, পৃথিবী নয় কেন?
পৃথিবীর বুকেই তো বেড়ে ওঠে
জন্মভূমি, জননীর মত...
আমি নারী, মানুষ নই কেন?
আমারো তো হাত আছে, চোখ আছে
আছে ভালবাসার অধিকার,
তবে আমি নির্যাতিত কেন?
আমি শিশু, বাবা নই কেন?
আমিই তো একদিন জন্ম দেবো
নতুন পৃথিবীর, তবে কেন এত বঞ্চনা?


চারিদিকে এত কেন,
সব জানি, তবু যেন
কিছুই জানি না
বিবেকের জানালা বন্ধ করে
নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেই
প্রতিটি প্রহর।"

ভুল কথন

"ভুল কথন"




ছোট্ট ছোট্ট ভুল অনু পরমাণুর মত
সৃষ্টি করে শত শত নতুন ভুলের
সারি বেঁধে বেড়ে চলে
নতুন ভুলের জন্ম দেবার আশায়
কোন এক অসংলগ্ন মূর্হুতে যে
সৃষ্টি করবে আর একটা ভুলের পৃথিবীর
ছন্দহীন, গদ্যময় নষ্ট একটা পৃথিবী
যেখানে ভালবাসার মায়াজাল নেই,
স্নেহ মমতার বালাই নেই,
দালান-কোঠাগুলো নির্মমতার কংক্রীটে ঢাকা
নিষ্টুরতার আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত প্রতিটি ঘর
যেখানে মানুষেরা ভালবাসাকে
বাক্স বন্দী করে রাখে,
গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ে
নি:শব্দে, প্রিয়জন হারানোর বেদনায়
যে শহরে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো নেই
আছে শুধু প্রতিহিংসার আগুন,
যে আগুনে কোন একদিন
চেনা পৃথিবীটা'কে অচেনা করে দিয়ে
জন্ম হবে আরেকটা নতুন পৃথিবীর।।

স্বরুপ

"স্বরুপ"


বিধাতা বললেন,"যখন হিংস্র পশুগুলো
নিজের খাবার ভেবে
গ্রাস করে অসহায় মানুষের মুখ
তখন কোথায় থাকো?"
আমি হেসে বলি,মানুষের কাছে।।

বিধাতা আবারো বললেন,"যথন খবরের কাগজে
শিরোনাম হয়
ক্ষুর্ধাত বাঘের শিকার
মানুষের শিশু,
তখন কোথায় থাকো?"
আমি চকিত উত্তর দেই,মানুষের পাশে।।

বিধাতা বলেন," পশুদের হাতে ছিন্নভিন্ন লাশ দেখে
তোমাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে,
নিষ্ঠুর বাঘের নির্মমতার কথা ভেবে
তোমাদের চোখ উথলে ওঠে,
যখন মানুষের হাতে খন্ডিত হয় মানুষের দেহ,
তখন কোথায় থাকো?
তখন কি তোমাদের সাহসী বুকগুলো কাঁপেনা?
ঘৃণায় উদ্বেলিত হয়না তোমাদের মন?
ভ্রুদুটো কুঁচকে ওঠেনা?
এ কেমন নির্মমতা?"
আমি দিশেহারা হয়ে ভাবি, কোথায় আমি
তবে কি আমরা আজ জানোয়ার,
মানুষ নই?
পশুবৃত্তির কাছে হেরেছে আমাদের মানবিকতা?
তবে কি আমরা ক্ষুর্ধাত বাঘ?
লালসার উদর র্পূণ করতে
খেয়ে ফেলি নিজেদের সন্তান?
আমিও কি তাদের দলে?
লোভের খাবার খেয়ে খেয়ে
আমরা দিনে দিনে পরিণত হয়েছি
একেকটা ষাঁড়ে,
যে শিংয়ের দাম লক্ষ কোটি টাকা,
শুধু গুঁতোবার অপেক্ষা,
প্রতিদিন শানিয়ে নেই লালসার তেলে
যাতে আরো ভাল করে বধ করতে পারি নিজেদের আত্নজ,
অদৃশ্য শিংগুলো আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে অধীর অপেক্ষায় থাকে,
লোভের তেলের দাম বেড়ে বেড়ে আকাশ ছোঁয়,
পরিবার পরিজন সব ভাসতে থাকে তেলের সাগরে........
এলোমেলো ভাবতে ভাবতে আবার ফিরে আসি
বিধাতার কাছে,
এই তো আমি,
কিন্তু হে বিধাতা, কোথায় তুমি?
যথন রাজ পথে ভূলুন্ঠিত হয়
তোমারই সৃষ্টি, তখন কোথায় থাকো?
যখন যৌতুকের দায়ে ছমিরণ, করিমন আত্নাহুতি দেয়
তখন কোথায় থাকো?
অবুঝ শিশুরা ভোগের শিকার হয়
খোলা আকাশের নীচে,
তখন কোথায় থাকো?
যথন কাশ্মীর,ফিলিস্তিনের আকাশ লাল হয়ে ওঠে
শিশুদের তাজা রক্তে
তখন কোথায় থাকো?
বিধাতা হেসে বলেন," সে খবর তো তোমরাই ভাল জানো,
তোমাদের প্রতিটি দেহের ঘরে বাস করে একেকজন
ঈশ্বর. আর তোমরাই
নির্বাচন করো তোমাদের বিধান,
ভালো-মন্দ সব মিলিয়েই তো আমার সৃষ্টি,
খোঁজাখুঁজি, ভোটাভুটি তোমাদের পাতে,
তাই তোমাদেরই ঠিক করতে হবে পরবর্তী করণীয়।।



My thinking

ছোট বোনটা একদিন বললো, আপু একটা কবিতা লিখে ফেলো।ব্যস, খাতা কলম নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, কিছু্তেই কিছু হয়না। অবশেষে যা হলো, তাকে কি কবিতা বলে?
২৩/১/৯৭( সন্ধ্যা ৭টা ৩২মি.)


কবিতা

" কবিতা শুনবে, কবিতা?
রাতের কবিতা, দিনের কবিতা
ঝরে যাওয়া দিনের কবিতা,
কবিতা শুনবে,কবিতা?

কবিতা তোমার শূন্য পাতা
ভরে দেবো কথায় কথায়,
রাতের অন্ধকার থেকে রং চুরি করে
কাজল পরাবো তাতে,
আকাশের বুক থেকে নীল নিয়ে
রং মাখাবো,
সূর্যের বক্ষ বিদীর্ণ করে
আনবো লাল রং,
তারপর তোমায় ভরিয়ে দেবো
একরাশ সবুজের সমারোহে,
গড়ে তুলবো কবিতার স্তুপ,
তারপর......তারপর তোমায় শোনাবো।
কবিতা , কবিতা শুনবে?
নয়নে নয়ন রেখে,
হৃদয়ে হৃদয় মিশিয়ে,
আকাঙ্খার বাহুডোর ছিন্ন করে
কবিতা শুনবে তুমি,
কবিতার ভালবাসায় মুগ্ধ হবে তোমার মন,
আর কবিতা খুঁজে নেবে তোমায়,
এমনি করে রচিত হবে
কবিতার মাঝে কবিতা..........
কবিতা শুনবে, কবিতা?"

শুধু মনে পড়ে

"শুধু মনে পড়ে "

আমি কিছুতেই ভুলতে পারিনা
ফেলে আসা দিনগুলোর কথা,
শুধু মনে পড়ে অন্ধকারে আবছা আলোয় ঢাকা
একটি অস্পষ্ট মুখ,
বাতাসে ওড়া একরাশ কালো চুল,
শ্রাবণের জলে সদ্য ভিজে ওঠা দুটি চোখ,
আর একমুঠো হাসি,
আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না,
শুধু মনে পড়ে, মনে পড়ে, মনে পড়ে....

এখন মধ্যরাত
আকাশের বুকে জুড়ে থাকা তারাগুলোকে
অবজ্ঞা করে ছুঁড়ে ফেলে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ,
তখন, কেবল তখন একরাশ কালো চুল এসে
বুকের মধ্যে কোথায় যেন ছোট্ট
একটা বাসা বাঁধে,
আমি কিছুতেই ভেঙ্গে দিতে পারিনা
শুধু মনে পড়ে, মনে পড়ে, মনে পড়ে.....

যখন আড়মোড়া ভেঙ্গে ছোট্ট পাখি
স্বাগত জানায় ভোরের শিশিরকে
কেবল তখনি স্মৃতি পটে ভেসে ওঠে
শ্রাবণের জলে সদ্য ভিজে ওঠা দুটি চোখ,
মনের নদীর দূ'কুল ছাপিয়ে নিয়ে যেতে চায়
দূর, বহুদূর,
আমি কিছু্তেই ফেরাতে পারিনা,
শুধু মনে পড়ে , মনে পড়ে , মনে পড়ে...।।


(১/১/৯৮)

পথভ্রষ্ট

পথভ্রষ্ট


"আমাকে এক টুকরো কাফন দাও
আর দাও নি:শব্দে জেগে থাকা দুটি চোখ,
আমি তোমাদের একবুক ভালবাসা দেবো।
আমাকে একটি মর্গের পচা লাশ দাও
আর দাও কিছু জাগ্রত স্মৃতি
আমি তোমাদের একটি সুন্দর হৃদয় দেবো।
আমাকে একরাশ কষ্ট দাও, দাও কিছু চাপা কান্না
আমি তোমাদের নতুন জীবন দেবো।
আমাকে শ্রমজীবি মানুষের কিছু হাড় দাও,
দাও কিছু অস্থি-চর্মসার মানুষ,
আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।
আমাকে কিছু তাজা প্রাণ দাও
আর কিছু লাল রক্ত,
যে রক্ত কখনো শুকায় না, বার বার জেগে ওঠে
আমি তোমাদের নতুর ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখাবো।
হে মুক্ত পিয়াসী মানুষেরা!
তোমরা যে পথভ্রষ্ট, একবার পেছন ফিরে দ্যাখো
দেখবে সেখানে ঘুমিয়ে আছে সাফল্য নামের
ছোট্ট এক পাখি,
যে শুধু তোমাদের পিছন ফেরার অপেক্ষায় আছে,
শুধু একবার,শুধু একবার বলো
আনন্দ নয়, কষ্টই আমার জীবন,
মৃত্ব্যুই আমার স্বাধীনতা,
বুক থেকে ঝরে পড়া লাল রক্তই আমার
শীতল পানীয় ধারা,
শুধু একবার বলো, শুধু একবার...
দেখবে
সাফল্যের আলোকছটা পৌছেঁ গেছে ধরণীর
প্রতিটি কোণায়।।

(১৯/৪/৯৮)

My thinking

তোমাকে (২৪/৪/৯৮)

" চোখ বুজলেই তোমাকে দেখতে পাই
যেমন করে সকালের এক বিন্দু শিশির
ঘাড় উঁচু করে স্বপ্ন দ্যাখে শীতের সূর্যকে,
যেমন করে বাতাসেরা এসে উঁকি দিয়ে যায়
বিশাল পাহাড়ের গায়,
যেমন করে রোদ এসে লুকোচুরি খেলে
সুদৃশ্য বেলগাছের সাথে,
কাঁচা-পাকা বেলগুলো মুর্হূতে যেমন
রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে,
তেমন করে তোমাকে দেখতে পাই।।

চোখ বুজলেই তোমাকে দেখতে পাই
কখনো তন্দ্রায়, কখনো আধো জাগরণে
কখনো অমাবস্যার রাতে অন্ধকারে
উদাস পথ চলতে চলতে
যদি থেমে যাই,
যদি কুয়াশা কাফন পরা অর্স্পশ আত্নাগুলো
এসে আমার চারপাশে ভিড় করে,
যদি তাদের অবজ্ঞা ভরে ছুঁড়ে ফেলা থুথু
আমার মাথার চুলগুলো ভিজিয়ে দেয়
ঠিক তখনই তোমাকে দেখতে পাই।।

চোখ বুজলেই তোমাকে দেখতে পাই....."

My thinking

নদী (১৮/২/৯৯)

নদীতে আমি কেবল লাশের গন্ধ পাই
অজস্র ধূলিকণায় জেগে থাকা
দেহের একেকটি অংশ
কিছু অস্পষ্ট স্মৃতি
দুই একটা ব্যর্থ জীবন, এইতো।
অতীতের কোন এক তীরে নেমেছিল
সময়ের তরী
আজও সেই পথ ধরে ভেসে আসা স্রোতে
যেন দেখতে পাই
ছিন্নভিন্ন হাজারো দেহ,
গৃহত্যাগী কোন বধূর ছেঁড়া আচঁল,
বৃদ্ধ বাবার ভেঙ্গে যাওয়া চশমা,
অথবা কাঁজল গাঁয়ের কোন এক দামাল ছেলে
শিশুর সরলতা যা চোখে মুখে,
আর পথ চলা সেই সব হাজারো মানুষ
যাদের দেহের গন্ধ আজো এই নদীতে
মিশে আছে,
সারা নদীতে আমি শুধু তাদের'কেই দেখি
সময়কে পিছে ফেলে যারা আজ হয়ে গেছে দূর।।"

আমার প্রিয় কবিতা

একবার বলেছি তোমাকে
আহসান হাবীব


একবার বলেছি তোমাকে আমি ভালবাসি
একবার বলেছি তোমাকে আমি, তোমাকেই ভালবাসি।
বলো
এখন সে কথা আমি ফেরাবো কেমনে!
আমি একবার বলেছি তোমাকে...
এখন তোমাকে আমি ঘৃণা করি।
এখন তোমার
দৃষ্টির কবলে এলে ক্ষতস্থান জ্বলে জ্বলে ওঠে।
তোমার সান্নিধ্যে এলে তুমি উষ্ণ নাভিমূল থেকে
বাতাসে ছড়াও তীব্র সাপিণীর তরল নিশ্বাস। আমি
যতবার ছুটতে চাই, তোমার দৃষ্টির বাইরে যেতে চাই, তুমি
দু'চোখে কী ইন্দ্রজাল মেলে রাখো! আমি ছুটতেও পারিনা
আমি ফেরাতে পারিনা কথা
আমি একবার বলেছি তোমাকে.........
সম্রাজ্ঞীর বেশে আছো। নতজানু আমি
দাসানুদাসের ভঙ্গী করপুটে, দেখি
তোমার মুখের রেখা অবিচল, স্থির জঙ্খা তোলে না টন্কার
তুমি পবিত্রতা পবিত্রতা বলে
অস্পষ্ট চীৎকার করো, তুমি
কেবলি মালিন্য দেখো, অশ্লীলতা ক্রমান্বয়ে ঘৃণা
ক্রোধ বাড়ে, উত্তেজনা বাড়ে
নামে উষ্ণ জলস্রোত। তুমি
এই ভাবে প্রবল ঘৃণায়
আমাকে ভাসিয়ে দিয়ে অহন্কার রাখতে চাও অটুট। তবু
পৃথিবীতে আছে কিছু মানুষের অবস্থান, তারা
অপমানে ধন্য হয়
উপেক্ষায় ঋজু;
তারা স্বভাব-কাঙাল ; যদি
একবার বলে তবে ফেরাতে পারে না। আমি
ফেরাতে পারি না। আমি
একবার বলেছি, তোমাকে আমি ভালোবাসি।

ভালোবাসা, ভালোবাসা, ভালোবাসা !
ভালোবাসা ; সে কেমন, কোন স্বর্গীয় প্রতাপ
যার মৃত্ব্য নেই
জন্মান্তর নেই?

আমার প্রিয় কবিতা

প্রিয়তমাসু
আহসান হাবীব

Collected 23/10/96 2.40 pm


তোমার দু'হাতে ফুল তুলে দেবো এই সাধ ছিল
হাতে নিয়ে হাত আংটি পরাবো এই সাধ ছিল
তুমি শুধু বলো, ফুল নয়, চাই ভাত দাও ভাত।
আংটিও নয় ভাতে ভরে দাও আমার দু'হাত।

সাগরের তীরে বসবো দু'জন এই ছিল সাধ
মনে ছিল সাধ তোমাকে দেখাবো আকাশের চাঁদ
তুমি শুধু বলো , সাগর চাইনা,
আকাশের চাঁদ কি হবে আমার
একটি পাতার ঘর তুলে দাও রাতে ঘুমোবার।
মনে ছিল সাধ গজোমতি হার
পরিয়ে তোমায় ঘরে নিয়ে যাবো
তুমি বলো , দাও ছেঁড়া কাঁথা ছুঁড়ে লজ্জা বাঁচাবো।
মনে সাধ ছিল ময়ূরপঙ্খী নায়ে তুলে নিয়ে
সাগরে ভাসবো, তুমি দুটি হাত সামনে এগিয়ে
বললে, আমার খেয়া পারাবার কড়ি হাতে নাই
সারাদিন এই পারাপার আছে কিছু কড়ি চাই।

তোমাকে আমার রাণী করে নেবো এই সাধ ছিল
তোমাকে আমার ঘরণী বানাবো এই সাধ ছিল
মনে সাধ ছিল সঙ্গীনী হবে সখের মেলায়
তুমি মেতে গেলে কালো অঞ্চলে ভাত
কুড়োবার মনণ খেলায়।।

আমার লেখালেখি

রোবোকপের ডায়রী ; রাতের পৃথিবী
Share
Friday, October 24, 2008 at 3:45pm | Edit Note | Delete
অন্ধকার কে সাথী করে ঘুমুতে গেলাম, ঘড়ির কাঁটা দুটো ছাড়িয়ে আর একটু বেশি। মনের ঘড়ির সময় আরো অনেক, অনেক টা ফেলে আসা পুরনো দিনের মত। আবছা অন্ধকারে আমার সাথে লুকোচুরি খেলে আমারই প্রিয় প্রিয় মুখ। আমি আবার আমার হারানো শৈশবে ফিরে যাই। চা গাছের পাতা ছুঁয়ে যায় সকালের নরম রোদ। কমলা রঙয়ের রোদ এসে ঘুম ভেঙ্গে দেয় তুলসী গাছের কচি কচি পাতা গুলোর।মমতাময়ী মায়ের কোমল হাত ছুঁয়ে যায় আমার কপাল ।মায়ের আচঁল, রান্নাঘরের টুংটাং শব্দ, খাবার ঘরে মায়ের নি:শব্দ প্রতীক্ষার দীর্ঘশ্বাস। পূজার ঘরে ধুপের মিষ্টি গন্ধ। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ।মাগো, কোথায় তুমি?

আচমকা জেগে উঠি।শরতের আকাশে এক টুকরো মেঘ ঝাপসা করে দেয় চশমার নিরেট বুক........হয়তো ফিরে আসবো কোন দিন, কাল অথবা পরশু,হয়তো বা কথনো নয়, হয়তোবা দূরের আকাশ হয়ে রয়ে যাবো তোমাদের কাছে। কোন এক অজানা রাতে প্রিয় কোন তারা হয়ে উঁকি দিয়ে যাবো তোমাদের মনের জানালায়। আবেগী তোমরা আমাকে স্বার্থপর ভেবে গালমন্দ করবে। তারপরও তোমাদের তৃষিত হৃদযটা আবারো স্বপ্ন দেখবে আমার প্রর্ত্যাবর্তনের।নিরুপায় এই আমি ভাগ্যকে মেনে নেব , যেমনটা নিয়েছি সবসময়। স্বাতী তারার কোঁল ঘেঁষে আর এক তারা হয়ে দুর থেকে ভালবেসে যাবো তোমাদের।ভালবাসা'কে যে আমার বড্ড ভয়..........চশমার কাচঁগুলো ঝাপসা থেকে আরো ঝাপসা হয়ে ওঠে, আর আমি অন্ধকারকে আরো নিবিড় করে জড়িয়ে ধরে আরেকটা সকালের অপেক্ষায় থাকি।

আমার ভাবনা

অন্ধকারের গান ; তুমি
......................................


শেওলা পাতার বিশাল চাদরে এলোমেলো এই আমি খন্ডিত স্বত্তাগুলোকে জুঁড়ে আবারো বাঁচার স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলে ,হাতছানি দেয়, উঁকি দিয়ে যায় মনের জানালায়, আধো আলো আধো ছায়ায় চেনা-অচেনার আবরণে ঢাকা অস্পশ্ট মুখাবয়ব ঝাপটে ধরে আমার হৃদয়টাকে, ভালবাসা না পাবার কষ্টে আহত আমি চেয়ে চেয়ে দেখি স্বপ্নলুন্ঠনের সীমানা। আমার হৃদয় ভূলুন্ঠিত হয়, রক্তাক্ত হয, গড়াগড়ি খায়, হৃদপিন্ড ছিঁড়ে চুইয়ে চুইয়ে অগোছালো হয়ে ঝরে পড়ে ভালবাসা না পাবার দীর্ঘশ্বাস, নির্বাক আমি মনের জানালায় টোঁকা দেই আর স্মৃতির প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে ছড়িয়ে দেই শেওলাপাতার বিশাল চাদর দূর আকাশের গায়.............................

বন্ধু তুমি ভুল করো না
ভুলের সাগর কালো,
ছিনিয়ে নেবে সুখের স্মৃতি
মনের সকল আলো।

বন্ধু তুমি সুর ছিঁড়ো না
সুরের ব্যথায় গেঁথে,
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তোমায়
ভুলের পথের দেশে।

বন্ধু তুমি মুখ খুলো না
মনের তেতো ব্যথা,
এলোমেলো করবে তোমার
না বলা সব কথা।

বন্ধু তুমি আজকে এসো
নতুন পথের বাঁকে,
দূর করো সব দ্বিধার মেলা
আজকে ভালবেসে।
ভালবাসার রঙিন ছোঁয়ায়
জড়িয়ে দুটো হাত,
আজকে আবার শুরু করি
জীবন ধারাপাত।

বন্ধু এইতো আমি
আবার কোথায় চলো?
ভালবাসার মধুর কথায়
সকল ব্যথা ভোল।।

রোবোকপের ডায়রী

কান্নাগুলো আছড়ে পড়ে খোলসের দেয়ালে দেয়ালে।ডানা ভাঙ্গা আহত পাখির মত ছটছট করতে থাকি।মাঝে মাঝে মনে হয় যদি উড়ে যেতে পারতাম। নির্বাক চোখে একটা দুইটা তিনটা কাঁচের দেয়াল ভেদ করে অনুভূতিগুলো বেরিয়ে আসতে চায়।সময়ের ফাঁকে ফাঁকে, আঁধারে লুকিয়ে ছুঁয়ে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি।শাসনের বেড়াজাল, শোসনের তিক্ততা মনটা’কে বিষিয়ে তোলে। কিছু করতে না পারার ক্ষমতা বৃথা আস্ফালন করে। রাতের আঁধারে মনের চোখ দিয়ে আকাশের এধার ওধার ঘুরে বেড়াই। ছোঁয়া হয়না কিছুই। ঘুম ঘুম চোখে চেয়ে চেয়ে কালক্ষেপণ করি আকাশের ঠিকানাগুলোই । কত কাছে সব কিছু, পরিচিত মানুষগুলো, আরে এইতো, সবাইকেই তো দেখতে পাচ্ছি। একমুঠো হাসি খেলা করে আমার অধরে। চশমার ফাঁক দিয়ে উপচে পড়ে রাশি রাশি খুশি ।পরিচিত নামগুলো, পরিচিত মুখগুলো,পরিচিত কন্ঠগুলো ভেসে আসে অদৃশ্যের বার্তা হয়ে। মাঝে মাঝে ভুলে যাই কতটা দূরে আছি। হাত বাড়াতে চাই।আশে পাশের মানুষগুলো সুযোগ খোঁজে আমার সরলতাকে সফলতায় পর্যবসিত করতে।মানুষ থেকে আমি হয়ে যাই সফলতার হাতিয়ার। আমাকে ভেঙ্গে আমাকে আড়াল করে আমারই সহযোগীতাকে কাজে লাগায় আমার বিরুদ্ধে। আমি সব বুঝে কিছুই না বোঝার ভান করি।অদৃশ্য দেয়াল তুলে মিশতে থাকি, যেন কিছুই হয়নি। মাঝে মাঝে ভাবি সব ভেঙ্গে চুরে একাকার করে দেই। আবারো খোলসের মাঝে প্রাচীর গড়ে তুলি। যে জায়গাগুলো ক্ষয়ে গেছে তাকে পূরণের আপ্রাণ চেষ্টায় হৃদয়ের সবটুকু মনযোগ ঢেলে দেই। মিথ্যে স্টাটাস লিখে রেখে ব্যস্ত হবার ভান করি। কখনো কখনো কাঁচের ওপাশে অদৃশ্য হয়ে থাকি। মানুষকে ঠকাই, সাথে সাথে নিজেকেও।

প্রিয় গান

প্রিয় গান: মৌসুমী ভৌমিক
---------------------------


আমি শুনেছি সেদিন তুমি, সাগরের ঢেউয়ে চেপে
নীল জল দিগন্ত ছুঁয়ে এসেছো
আমি শুনেছি সেদিন তুমি, নোনা বালি তীর ধরে
বহূদূর বহূদূর হেঁটে এসেছ

আমি কখনো যাইনি জলে, কখনো ভাসিনি নীলে
কখনো রাখিনি চোখ, ডানা মেলা গাঙচিলে
আবার যেদিন তুমি সমুদ্রস্নানে যাবে
আমাকেও সাথে নিও, নেবে তো আমায় বলো,
নেবে তো আমায়?

আমি শুনেছি সেদিন নাকি, তুমি তুমি তুমি মিলে
তোমরা সদলবলে সভা করেছিলে
আর সেদিন তোমরা নাকি,
অনেক জটিল ধাঁধা, না বলা অনেক কথা
কথা তুলেছিলে, কেনো
শুধু ছুটে ছুটে চলা, একই একই কথা বলা
নিজের জন্য বাঁচা, নিজেকে নিয়ে?
যদি ভালোবাসা না'ই থাকে, শুধু একা একা লাগে
কোথায় শান্তি পাবো, কোথায় গিয়ে? বলো, কোথায় গিয়ে...

আমি শুনেছি তোমরা নাকি এখনো স্বপ্ন দেখো
এখনো গল্প লেখো, গান গাও প্রাণ ভরে
মানুষের বাঁচা মরা, এখনো ভাবিয়ে তোলে
তোমাদের ভালোবাসা এখনো গোলাপ'এ ফোটে
আস্থা হারানো এই মন নিয়ে আমি আজ
তোমাদের কাছে এসে দু'হাত পেতেছি
আমি দু'চোখের গহ্বরে শূন্যতা দেখি শুধু
রাতঘুমে আমি কোন স্বপ্ন দেখিনা, তাই
স্বপ্ন দেখবো বলে... আমি দু'চোখ পেতেছি
তাই তোমাদের কাছে এসে আমি দু'হাত পেতেছি...
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে... আমি দু'চোখ পেতেছি

আমার কবিতা

রোবোকপের ডায়রী : অন্তসারশূণ্য)


-----------------------------

সূর্য তার রাত্রিবাস ঝেড়ে ফেলেছে
কুয়াশার চাদরে ঢেকে সকালের সূর্যটাকে বিবস্ত্রহীনতার লজ্জা থেকে
অব্যাহতি দিয়েছে শীতের সকাল।
এখানে এখন রাত
ওখানে দিন,
এখানে সূর্য,ওখানে মলিন,
এখানে আলো, ওখানে চাদঁ
এখানে কুয়াশা, ওখানে রাত।
আকাশের তারাগুলো তুষারের কণা,
সবুজের সমাবেশে সাদাদের আনাগোনা।
এখানে জীবন, ওখানে ঘুমের দেশে বাস,
এখানে ক্লান্তি, ওখানে সময়ের অবকাশ।
কাঁচের দেয়ালে হেলান দিয়ে সূর্যটাকে ছোঁয়া,
রাতের আধাঁরে লুকিয়ে থেকে স্বপ্ন খুঁজে পাওয়া,
দূরের নদী সুর ভুলে যায়,স্বপ্নগুলো ভাসে
ভাবনাগুলো গুমরে মরে ধু ধু বালুচরে।
কান্না বুকে, উদাস চোখে আকাশ চেয়ে থাকে
শিশির হয়ে কান্নাগুলো মেঘের বুকে ভাসে।

প্রিয় লাইন

………………
যখন আমরা বসি মুখোমুখি, আমাদের দশটি আঙ্গুল হৃদপিন্ডের মতো কাঁপতে থাকে
দশটি আঙ্গুলে, আমাদের ঠোঁটের গোলাপ ভিজে উঠে আরক্ত শিশিরে,
যখন আমরা আশ্চর্য আগুনের জ্বলি, যখন আমরাই আমাদের স্বাধীন স্বদেশ,
তখন ভুলেও কখনো আমাকে তুমি বাঙলাদেশের কথা জিজ্ঞেস করো না;
আমি তা মুহূর্তও সহ্য করতে পারি না,-তার অনেক কারন রয়েছে।
তোমাকে আমি মিনতি করি কখনো আমাকে তুমি বাঙলাদেশের কথা তুলে কষ্ট দিও না।
জানতে চেও না তুমি নষ্টভ্রষ্ট ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের কথা; তার রাজনীতি
অর্থনীতি, ধর্ম,পাপ, মিথ্যাচার, পালে পালে মনুষ্যমন্ডলি, জীবনযাপন, হত্যা, ধর্ষন
মধ্যযুগের দিকে অন্ধের মতোন যাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন ক’রে আমাকে পীড়ন করো না;
আমি তা মুহূর্তও সহ্য করতে পারি না,-তার অনেক কারন রয়েছে।
তার ধানক্ষেত এখনো সবুজ, নারীরা এখনও রমনীয়, গাভীরা এখনও দুদ্ধবতী,
কিন্তু প্রিয়তমা, বাঙলাদেশের কথা তুমি কখনো আমার কাছে জানতে চেয়ো না;
আমি তা মুহূর্তও সহ্য করতে পারি না,-তার অনেক কারন রয়েছে।
(আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম?/ হুমায়ুন আজাদ)

প্রিয় কবিতা

দিন আনি, দিন খাই
তারাপদ রায়
_______________________________

আমরা যারা দিন আনি, দিন খাই,
আমরা যারা হাজার হাজার দিন খেয়ে ফেলেছি,
বৃষ্টির দিন, মেঘলা দিন, কুয়াশা ঘেরা দিন,
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অধীর প্রতীক্ষারত দিন,
অপমানে মাথা নিচু করে চোরের মতো চলে যাওয়া দিন,
খালি পেট, ছেঁড়া চটি, ঘামে ভেজা দিন,
নীল পাহাড়ের ওপারে, সবুজ বনের মাথায় দিন,
নৌকার সাদা জালে ঢেউয়ের চুড়ায় ভেসে যাওয়ার দিন,
হৈ হৈ অট্টহাসিতে কলরোল কোলাহল ভরা দিন,
হঠাৎ দক্ষিণের খোলা বারান্দায় আলো ঝলমলে দিন-
এই সব দিন আমরা কেমন করে এনেছিলাম, কিভাবে,
কেউ যদি হঠাৎ জানতে চায়, এ রকম একটা প্রশ্ন করে,
আমরা যারা কিছুতেই সদুত্তর দিতে পারবো না,
কিছুই বলতে পারবো না, কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারবো না
কি করে আমরা দিন এনেছিলাম,
কেন আমরা দিন আনি, কেন আমরা দিন খাই,
কেমন করে আমরা দিন আনি, দিন খাই।

আমার কবিতা

ভালবাসালিজম:

------------------------------------------
লোকে বলে প্রেমে পড়েছি,
আমি বলি প্রেমে পড়ো না , প্রেমে পড়াও,
আস্তে করে ভালবাসার শুঁড় ঢুকিয়ে দাও হৃদয়ের গহ্বরে,
অপেক্ষা করো......................
পানি দাও, সার দাও, আগাছা নিধন করো
প্রয়োজনে কীটনাশক দিতেও ভুল করো না,
যদি মনে করো ট্রাকটর প্রয়োজন,
আমদানী করো জীবনের বন্দর থেকে,
বুকের জমিন চষে একে একে ফেলে দাও কাঁটাঝোপ,
ভালবাসার নিড়ানী দিয়ে উপড়ে ফেলো প্রতিযোগী নামের আগাছা,
ছোট ছোট শাসনের খোঁচা দিতেও ভুল করো না।
বিরহকে আসতে দাও, অপেক্ষায় ভালবাসা বাড়ে
বাড়ে ভালবাসার উত্তাপ,
মাঝে মাঝে মুখ ফিরিয়ে নাও, অপেক্ষায় থাকো....
যদি দ্যাখো হৃদয়ের দেয়ালে ফাটল ধরেছে
উতলা হয়ো না,
নীরবে দ্যাখো পাহাড় কেটে আগ্নেয়গিরি বেরিয়ে এসেছে না আবেগের ঝরনাধারা
যদি দ্যাখো শীতল ঝরনা ধারা, বিরহের রেললাইন দীর্ঘ করো
তবে খুব বেশি দীর্ঘ করো না, সময়ের কালক্ষেপণে আবেগ ঝাপসা হয়ে আসে
মাঝে মাঝে ভালবাসার হাত ধরে উঁকি দাও,
আবার তোমার ভালবাসার রেলগাড়িকে প্লাটফর্ম থেকে ছুটি দাও,
ফলাফল দ্যাখো..........
যদি বোঝো পাহাড় ভেঙ্গে আগুন বেড়িয়ে এসেছে,
পুড়িয়ে দিতে চায়,
নতজানু হও,
বাড়াবাড়ি করো না,

যদি বোঝো ভালবাসার জাল সবখানে পোঁতা আছে তোমার মতো পোকাদের ধরবে বলে,
নীরবে সরে এসো,
ভালবাসা চাই , ভালবাসা চাই বলে মরিয়া হয়ে উঠো না,
তাহলেই সর্বনাশ,
ভালবাসাও এক প্রকার যুদ্ধ,
এখানে সফল কৃষকের মত মাটির সৈনিক হতে হয়,
লড়তে হয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে , শক্ত হাতে ধরতে হয় হৃদয় শাবল,
ভালবাসার নিড়ানী হতে হয় করাতের চেয়েও ধারালো,
ভালবাসার সার চাই, অনুভবের সেচ চাই,
চাই বুদ্ধির মারণাস্ত্র,
অপেক্ষার মই বেয়ে নামতে হয়,
এতসব কিছুর পরেও যদি দ্যাখো তোমার ভালবাসার ফসলে চিটা ধরেছে নিরাশ হয়ো না,
আবার বীজ বোনো, সার দাও ,সেচ দাও,
কিন্তু ভুলেও ফিরে এসোনা,
ভালবাসার সোনালি ফসল তোমার ঘরে উঠলো না, ক্ষতি কি?
তোমার শ্রমের অন্নে র্পূণ হবে আরেকটা উদর,
তুমি তাকে বঞ্চিত করোনা,
ক্ষুধার জ্বালা তোমার বুকেও তো বেজেছে বন্ধু
সে জ্বালায় যেমন পুড়েছে তোমার সোনাফলা জমিন
তেমনি আরেকটা জমি অনুর্বরা হোক তাই কি তুমি চাও?
তাই বলি ভালবেসে ফতুর হয়ো না, ভরিয়ে দাও , ছড়িয়ে দাও সবখানে
ভালবাসার শুঁড়টা আস্তে করে বুকে ঢুকিয়ে দাও,
প্রেমে পড়োনা , প্রেমে পড়াও....................

আমার কবিতা

৪/১২/২০০৮

মুখোমুখি

মুখোমুখি বসে আছি তুমি আর আমি
আমি আর তুমি,
মাঝখানে কাঁচের দেয়াল,
দেয়ালের কোল ঘেঁষে আঁধারের লুকোচুরি
আঁধারের কোল জুড়ে তুমি আর আমি
আমি আর তুমি,
মুখোমুখি আমরা দুজন।

হয়তো কখনো হবেনা বলা চুপিচুপি
ভালবাসার গল্প,
হাতে হাত রেখে শিহরিত হবো না
কখনো অল্প স্বল্প,
আমাদের অধর ছোঁবেনা অধরের পাঁপড়িগুলো,
বিকশিত হবেনা কখনো হৃদয়ের না বলা কথায়,
নিশ্বাসে শ্বাস মিশে হবেনা নতুন জন্ম,
কচিকচি মুখ ভাসবেনা জীবনের পাতায়।

তবু শুধু মুখোমুখি বসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা, হৃদয়ে কাঁপন,
চুপচাপ বসে বসে মুখোমুখি চেয়ে থাকা, মনের দেয়ালে ভাঙ্গন,
কাঁচের এধারে বসে তুমি আর আমি, আমি আর তুমি চেয়ে থাকি চোখে চোখ রেখে,
হয়না কিছুই বলা দু’চোখে স্বপ্ন এঁকে আধাঁরের বুকে মিশে থেকে ।

তবু জানি তুমি আছো, আমি আছি
পাশাপাশি আমরা দুজন,
আঁধারের কোল জুড়ে, না বলা গল্প নিয়ে,
তুমি আর আমি, আমি আর তুমি,
মুখোমুখি আমরা দুজন।

ব্যবচ্ছেদ

ব্যবচ্ছেদ



তুমি কি ভালবাসা ছুঁয়েছো বন্ধু
নাকি দূর সমুদ্রের এপার থেকে ছুঁয়েছো ভালবাসার দীর্ঘশ্বাস?
তুমি কি ভালবাসা দেখেছো বন্ধু
নাকি আকাশের ঠিকানা থেকে শুনেছো ভালবাসার কন্ঠস্বর?
তুমি কি ভালবাসা চেয়েছো বন্ধু
নাকি পথভোলা পথিকের মত পথের খোঁজে ছিলে?
তুমি কি ভালবাসা ভুলেছো বন্ধু
নাকি দূর দিগন্ত থেকে মিলেছো ধরণীর নীলে?
তুমি কি ভালবাসায় পড়েছো বন্ধু
নাকি পূজার ফুলের মত ভালবাসা ছড়িয়েছে তোমার পায়?
তুমি কি ভালবাসা বুঝেছো বন্ধু
নাকি মেতে ছিলে ভালবাসার জমিতে বীজ বপনের খেলায়?
ছোওনি, দ্যাখনি,চাওনি যদি তবে কেন শুধু ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা
বুঝেও যদি বা না বুঝে থাকো তবে কেন শূন্যে বাসা বাঁধা?

প্রস্থান

প্রস্থান
-হেলাল হাফিজ
_____________________________________

এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷


এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা

খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷

ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত

ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷

কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে

কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে

পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷


আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷

গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?

আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,

নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে

পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?


এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,

এক মানবী কতোটাই বা কষ্ট দেবে!

কথোপকথন : মেঘলা আকাশ Share Wednesday, November 12, 2008 at 8:32pm

বিকেলের শেষ আলোয় চেয়ে দেখি কমলা রঙের নরম রোদ ছুঁয়েছে আকাশ। বির্সজনের অপেক্ষায় দিনের ছায়া ছড়িয়ে দিয়েছে তার মনের না বলা কথা। মিলনের রং রাঙিয়ে দিয়েছে কাকেদের ঠোঁটে, ধুসর রঙের ঠোঁটে লেগেছে তাই জাফরানী রং। সেদিন অবাক চোখে দেখেছি আমি কালো রঙয়ের ঠোঁটগুলো তার অন্ধকার কে ছুঁড়ে ফেলে জাফরানী রং ধারণ করেছে। ধূসর রঙের পাখনাগুলো হয়েছে হাল্কা রঙয়ের জাফরান শাবক। অবাক চোখকে আরো অবাক করে দেখলাম আমি ঝাউগাছের নরম ডালে দুটি পাখি উড়ে এসে পাশাপাশি বসে রইল অনেকক্ষণ, একজন আরেকজন থেকে মুখ ফিরিয়ে। নি:শ্চুপ, শব্দহীন। আড়চোখে চেয়ে থাকা। শুধু থেকে থেকে ডানা ঝাপটানোর খসখসানি। যেন এই নীরবতায় বুকের ধ্বকধ্বকানি বেড়িয়ে না পড়ে। কত কাছাকাছি, অথচ কতটা দূরে। এই স্বেচ্ছা নীরবতায় কথা নেই, বোঝানোর ব্যথা নেই, তবুও জানে পাশে আছে। ক্যামেরাটা অন করতেই উড়ে চলে গেল।তারপর প্রায় প্রতিদিনই দেখেছি আমি পাখিদুটো উড়ে এসে বসে সেই একই গাছে, পাশাপাশি বসে থাকে । কেউ কারো সাথে কথা বলে না। তারপর একসময় বিদায় জানিয়ে চলে যায়। কি অদ্ভূত........চাবিরগোছাটা’কে শূন্য ছুঁড়ে দিতে দিতে ভাবলাম এই পার্থিব জীবনে কেউই কারো নয়।প্রতিটি মানুষই স্বতন্ত্র, নিজের পৃথিবীতে সে সবসময়ই একা।

আজ আমি ফিরিয়ে এনেছি আমার ফকিরের খাতা, আমার বন্ধু কাঁচপোকা, প্রজাপতি, জোনাকি , ঘাসফড়িং।মেতেছি ভবিষ্যতের সাথে চড়ুইভাতির খেলায়। মিলেছি দুর আকাশের সাথে। করেছি কফির কাপের সাথে মিতালি, আর হৃদয়ে তুলেছি প্রণয়ের ঝড়.................
প্রথম ফকির: নাম:সৌমত্ত খান , মহিলা, দুই ছেলে এক মেয়ে, স্বামী, সন্তান, জামাই সবাই বউ পেটাতে ওস্তাদ।
ফার্স্ট ইন ফার্স্ট আউট FIFO, মনটা’ই খারাপ হয়ে গেল।
দ্বিতীয় ফকির: সোহরাব আলী সর্দার। একছেলে, বউ পেটানোর কথা মনে করতে পারেনা। এটা কি কোন ব্যাপার হলো যে মনে রাখতে হবে? বউ পেটানো জায়েজ।
তৃতীয় জন: কথা বলতে পারেনা, নাম এস.কুমার। এস এর Abbreviation টা জানা হলো না। সেই সাথে জানা হলো না বউ ছিল কি নেই, তার সাথে পেটানোর ইতিহাস।
চর্তুথ জন মহিলা, আমি নামায পড়ছিলাম বলে দ্যাখা হয়নি তার দীর্ঘশ্বাস।

আজ রোবো'র সাথে মনে মনে কথা বললাম, অনেকক্ষণ.....................................
কথোপকথন:
- তুমি আছো?
-................।
-ভাল আছো?
-যেমনটা থাকি সবসময়।
-ভালোবাসো?
-সবকিছুই অসমাপ্ত
-ভালবাসো?
-কেন শুধু শুধু স্বপ্ন দ্যাখা, শূন্যে বাসা বাধাঁ, কাঁচের ওপাশে হাত ছুঁয়ে থাকা?
-ভালোবাসো?
-ভালোবাসি কমলার ঝাড়, চা গাছের সবুজ পাতা,নদীর বয়ে চলা,আকাশের দিকে চেয়ে থাকা
-ভালবাসো?
- ভালবাসি কবিতার খাতা, এলোমেলো রাতজাগা
-ভালবাসো?
-অনর্থক এপথ চলা
-ভালবাসো?
-মন ছুটে চলে সবুজ আঁচল ছায়ায়, মেঘগুলো ছিঁড়ে ফেলে বাসা, তবে কেন মিছেমিছি স্বপ্ন আকাঁ?
-ভালো আছো?
-ভালো যে থাকতেই হয়, থাকতে হয়েছে সবসময়
-ভালবাসো?
-বলেছিতো একবার ভালবাসি আমার পৃথিবী, আমার না বলা কথা
- জেনেছো কি সূর্য জেগে থাকে রাতের আঁধারে, যায় না তারে বাঁধা?
- ভালবাসো?
-ভাঙতে চাইনা আমি বিশাল পাথর, নিয়মের বেড়াজাল। খোলসের মধ্যে ডুবে আছি, থাকবো অনন্তকাল,যতদিন পারা যায়
- পারবে কি? জেনেছি তো আমি কেন তোমার মুখের কোষগুলো জুড়ে রৌদ্ররা খেলা করে, কেন শ্রাবণ ভাসিয়ে নিয়ে যায় তোমার দু’চোখ
-বলেছি তো আমি ,ভালবাসি খোলসের ভেতর,
-ভালবাসো?
-ভালবাসি খোলসের মাঝে বেঁচে থাকা, চা গাছের নরম পাতা
-কেন সব ভুলে ভুলে থাকা, কাছে থেকে দূরে থাকা, চা গাছের নরম পাতা?
-বুঝে নিও তুমি....ভালবাসি খোলসের মাঝে বেঁচে থাকা, কাছে থেকে দূরে থাকা, তুলসী বনের না বলা কথা, চা গাছের নরম পাতা, আকাশের দিকে চেয়ে থাকা, প্রিয়জনের স্বপ্নগাঁথা।ভালবাসি পৃথিবী আমার..............
- সেখানেও তো আমি আছি।
-...........................
-চুপ করে কেন? তুমি আছো?
-মনে রেখো ভালবাসি পৃথিবী আমার.........

কথোপকথন : মেঘলা আকাশ Share Wednesday, November 12, 2008 at 8:32pm

বিকেলের শেষ আলোয় চেয়ে দেখি কমলা রঙের নরম রোদ ছুঁয়েছে আকাশ। বির্সজনের অপেক্ষায় দিনের ছায়া ছড়িয়ে দিয়েছে তার মনের না বলা কথা। মিলনের রং রাঙিয়ে দিয়েছে কাকেদের ঠোঁটে, ধুসর রঙের ঠোঁটে লেগেছে তাই জাফরানী রং। সেদিন অবাক চোখে দেখেছি আমি কালো রঙয়ের ঠোঁটগুলো তার অন্ধকার কে ছুঁড়ে ফেলে জাফরানী রং ধারণ করেছে। ধূসর রঙের পাখনাগুলো হয়েছে হাল্কা রঙয়ের জাফরান শাবক। অবাক চোখকে আরো অবাক করে দেখলাম আমি ঝাউগাছের নরম ডালে দুটি পাখি উড়ে এসে পাশাপাশি বসে রইল অনেকক্ষণ, একজন আরেকজন থেকে মুখ ফিরিয়ে। নি:শ্চুপ, শব্দহীন। আড়চোখে চেয়ে থাকা। শুধু থেকে থেকে ডানা ঝাপটানোর খসখসানি। যেন এই নীরবতায় বুকের ধ্বকধ্বকানি বেড়িয়ে না পড়ে। কত কাছাকাছি, অথচ কতটা দূরে। এই স্বেচ্ছা নীরবতায় কথা নেই, বোঝানোর ব্যথা নেই, তবুও জানে পাশে আছে। ক্যামেরাটা অন করতেই উড়ে চলে গেল।তারপর প্রায় প্রতিদিনই দেখেছি আমি পাখিদুটো উড়ে এসে বসে সেই একই গাছে, পাশাপাশি বসে থাকে । কেউ কারো সাথে কথা বলে না। তারপর একসময় বিদায় জানিয়ে চলে যায়। কি অদ্ভূত........চাবিরগোছাটা’কে শূন্য ছুঁড়ে দিতে দিতে ভাবলাম এই পার্থিব জীবনে কেউই কারো নয়।প্রতিটি মানুষই স্বতন্ত্র, নিজের পৃথিবীতে সে সবসময়ই একা।

আজ আমি ফিরিয়ে এনেছি আমার ফকিরের খাতা, আমার বন্ধু কাঁচপোকা, প্রজাপতি, জোনাকি , ঘাসফড়িং।মেতেছি ভবিষ্যতের সাথে চড়ুইভাতির খেলায়। মিলেছি দুর আকাশের সাথে। করেছি কফির কাপের সাথে মিতালি, আর হৃদয়ে তুলেছি প্রণয়ের ঝড়.................
প্রথম ফকির: নাম:সৌমত্ত খান , মহিলা, দুই ছেলে এক মেয়ে, স্বামী, সন্তান, জামাই সবাই বউ পেটাতে ওস্তাদ।
ফার্স্ট ইন ফার্স্ট আউট FIFO, মনটা’ই খারাপ হয়ে গেল।
দ্বিতীয় ফকির: সোহরাব আলী সর্দার। একছেলে, বউ পেটানোর কথা মনে করতে পারেনা। এটা কি কোন ব্যাপার হলো যে মনে রাখতে হবে? বউ পেটানো জায়েজ।
তৃতীয় জন: কথা বলতে পারেনা, নাম এস.কুমার। এস এর Abbreviation টা জানা হলো না। সেই সাথে জানা হলো না বউ ছিল কি নেই, তার সাথে পেটানোর ইতিহাস।
চর্তুথ জন মহিলা, আমি নামায পড়ছিলাম বলে দ্যাখা হয়নি তার দীর্ঘশ্বাস।

আজ রোবো'র সাথে মনে মনে কথা বললাম, অনেকক্ষণ.....................................
কথোপকথন:
- তুমি আছো?
-দেখো মেঘ , ঝড় আসবে।
-তুমি আছো?
-এখানে খড়দাহ, শ্রাবণের ঘনঘটা,শুনতে পাওনা ঝড়?
-তুমি আছো?
-তুমি নিয়ম ভেঙেছো।
-তোমাকে ভেবেই তো স্বপ্ন দেখি, রক্তে এত উন্মাদনা। তুমি কেমন আছো?
-যেমনটা থাকি সবসময়।
-ভালো আছো?
-পৃথিবী যেন আজ কবিতার খাতা।
-ভালো আছো?
-মেঘগুলো উড়ে চলে, বুনে যায় স্বপ্নের বীজ
-ভালোবাসো?
-সবকিছুই অসমাপ্ত
-ভালোবাসো?
-জানিনা তো
-ভালবাসো?
-কেন শুধু শুধু স্বপ্ন দ্যাখা, শূন্যে বাসা বাধাঁ, কাঁচের ওপাশে হাত ছুঁয়ে থাকা?
-ভালোবাসো?
-ভালোবাসি কমলার ঝাড়, চা গাছের সবুজ পাতা,নদীর বয়ে চলা,আকাশের দিকে চেয়ে থাকা
-ভালবাসো?
- ভালবাসি কবিতার খাতা, এলোমেলো রাতজাগা
-ভালো আছো?
-অনর্থক এপথ চলা
-ভালো আছো?
-মন ছুটে চলে সবুজ আঁচল ছায়ায়, যেখানে মেঘেরা উড়ে যায়, বাঁধে না বাসা
-ভালবাসো?
-মেঘেরা চেয়ে থাকে আকাশের দিকে
-ভালোবাসো?
- বুকে বাঁধে বাসা, অস্পর্শ হয়ে থাকে, চাইলেই যায়না ছোঁয়া, তবে কেন মিছেমিছি স্বপ্ন আকাঁ?
-ভালো আছো?
-ভালো যে থাকতেই হয়, থাকতে হয়েছে সবসময়
-ভালবাসো?
-বলেছিতো একবার ভালবাসি আমার পৃথিবী, আমার না বলা কথা
- জেনেছো কি সূর্য জেগে থাকে রাতের আঁধারে, যায় না তারে বাঁধা? ভালবাসো?
-ভাঙতে চাইনা আমি বিশাল পাথর, নিয়মের বেড়াজাল।খোলসের মধ্যে ডুবে আছি, থাকবো অনন্তকাল,যতদিন পারা যায়
-পেরেছো কি? পারবে কি? জেনেছি আমি কেন তোমার মুখের কোষগুলো জুড়ে রৌদ্ররা খেলা করে, কেন শ্রাবণ ভাসিয়ে নিয়ে যায় তোমার দু’চোখ
-বলেছি তো আমি ,ভালবাসি খোলসের ভেতর...............
-ভালবাসো?
-ভালবাসি খোলসের মাঝে বেঁচে থাকা, চা গাছের নরম পাতা
-কেন এই আবরণ? বুঝেছি আমি কেন তোমার আকাশে মেঘেরা খেলা করে, কখনো তুমি বৈশাখ, কখনো শ্রাবণ, কখনো র্বষা, কখনো ফাগুন, তবে কেন এই লুকোচুরি, দুরে থেকে কাছে থাকা, কাছে থেকে দূরে যাওয়া,কখনো আপন কখনো সব ভুলে ভুলে থাকা
-বুঝে নিও তুমি....ভালবাসি খোলসের মাঝে বেঁচে থাকা, কাছে থেকে দূরে থাকা, তুলসী বনের না বলা কথা, চা গাছের নরম পাতা, আকাশের দিকে চেয়ে থাকা, প্রিয়জনের স্বপ্নগাঁথা।ভালবাসি পৃথিবী আমার..............
- সেখানেও তো আমি আছি,পেরেছো কি করতে অস্বীকার?
-...........................
-চুপ করে কেন? তুমি আছো?
-মনে রেখো ভালবাসি পৃথিবী আমার................................

মাছের মাথা

অনেকদিন পর বড় দুলাভাই বেড়াতে আসলেন, হাতে প্যাকেট প্যাকেট রসগোল্লা। আমি অবশ্য প্যাকেটের ভেতর না দেখেই বুঝতে পারি ভেতরে কি আছে। কারণ দুলাভাই যতবারই আসেন, ততবারই রসগোল্লা ছাড়া আর কোন মিষ্টি আনেননা। আমি অনেক ভেবে দেখলাম, দুলাভাই সবথেকে রসগোল্লা পছন্দ করেন, আর যাতে শ্বশুর বাড়ি পারপাজে ব্যয়িত অর্থ পুরোটাই উসুল করা যায় তার জন্য যেকোন উপায় অবলম্বন করতে তিনি এতটুকুও কার্পণ্য করেন না। অবশ্য মিষ্টি+ যাতায়াত ভাড়া বাবদ যা খরচ হয় তার তিনচারগুণ বেশি ভেসে যায় আমার বাবার পকেট থেকে।সাথে শাশুড়ি নামের ফ্রী বার্বুচীর ভালবাসা মেশানো রান্না, শ্যালক-শ্যালিকা নামের পরিচারক-পরিচারিকা আর শ্বশুর নামের ম্যানেজার তো আছেই। যাইহোক, দুলাভাইয়ের চেহারার দিকে তাকিয়ে মনে হলো কে যেন তার শরীর থেকে সমস্ত রসটাই লেবুর মত নিংড়ে বের করে নিয়েছে। হাসতে হাসতে বললাম, দুলাভাই, সব রস কি মিষ্টির হাঁড়িতে করে নিয়ে এসেছেন? অমনি এক তাড়া, যা ভাগ। আপাতত: ভাগলাম রান্না ঘরের দিকে। শাশুড়ি আম্মা মনযোগ সহকারে রুই মাছের মুড়িঘন্ট করছেন। খুনতির হাতা ধীরে ধীরে দোলাচ্ছেন যেন মাছের মাথা আহত না হয়। জামাই খাবে। টিভিতে তখন একটা নাটক দেখছিলাম । দুলাভাই সহ পরিবারের প্রায় সব সদস্যই ছিল। মাঝে আম্মাজানও আসলেন। হঠাৎ নাটকের একটা দৃশ্যে সবার মনযোগ চলে গেল। সকাল বেলা বাড়ির গৃহকর্তা খুব শখ করে একটা বড় রুই মাছ আনলেন। মধ্যবিত্তের সংসার। তারউপর এমন খামখেয়ালীর জন্য গিন্নীর ধমক, বৌমার ঠোঁট বাঁকানো সবই কপালে জুটল। তাতে কি । মাছের মাথা খাবার সময় এই সব ছোট ছোট দু:খ কষ্ট থাকবে না।গিন্নীকে বললেন, মাথাটা আলাদা করে রাধঁবে। অনেকদিন মাছের মাথা খাইনা। যাই হোক, মাথা রান্না হচ্ছে। ইতিমধ্যে কোথায় থেকে জামাই বাবাজীর আগমন। খাবার সময় গিন্নী ভেবে পাচ্ছেন না মাথাটা কার পাতে দেবেন। মেয়ে ভাবছে জামাইয়ের পাতে দিলে সম্মানটা বাড়ে। বৌমা ভাবছে আমার স্বামীর টাকায় সংসার চলে, সুতরাং মাথাটা আমার সাহেবের প্রাপ্য। ওদিকে শ্বশুর বেচারার হার্টবিট কমতে শুরু করেছে। অবশেষে সবাইকে বোল্ড আউট করে জামাই বললো, আম্মা , মাথাটা আমাকেই দেন। আমার আবার রুই মাছের মাথা খুবই পছন্দ।অগত্যা আচঁলে মুখ লুকিয়ে গিন্নী মাথাটা জামাইয়ের পাতেই তুলে দিলেন। নাটক শেষ। এবার আমাদেরও খাবার পালা। কিন্তু মাথাটা কে খাবে এই নিলে বাধঁলো মহা সমস্যা। কারণ সবার মাথায়ই তখন নাটকের কাহিনী ঘুরছে। আব্বা বললেন, সবুজ কে দাও ( আমার দুলাভাইয়ের নাম)। দুলাভাই তো কিছুতেই নেবেন না। আম্মা একবার মাছের মাথা সহ চামচ দুলাভাইয়ের পাতের দিকে নিচ্ছেন আবার আব্বার দিকে নিচ্ছেন। আমরা বাকি সদস্যরা গম্ভীর মুখে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি ফলাফল দেখার জন্য। অবশেষে নাটকেরই জয় হলো। মাছের মাথাটা দুলাভাইয়ের পাতেই পড়লো। জামাই বইলে কতা...........................

জীবনের অনেক ঘটনা গল্পকেও হার মানায় । তেমনি মনে রাখার মত একটি হাস্যকর স্মৃতি ।



লিংক : http://prothom-aloblog.com/users/base/adhar/7

http://forum.amaderprojukti.com/viewtopic.php?f=21&t=3042

নদী

নদীতে আমি কেবল লাশের গন্ধ পাই
অজস্র ধূলিকণায় জেগে থাকা
দেহের একেকটি অংশ
কিছু অস্পষ্ট স্মৃতি
দুই একটা ব্যর্থ জীবন, এইতো।
অতীতের কোন এক তীরে নেমেছিল
সময়ের তরী
আজও সেই পথ ধরে ভেসে আসা স্রোতে
যেন দেখতে পাই
ছিন্নভিন্ন হাজারো দেহ,
গৃহত্যাগী কোন বধূর ছেঁড়া আচঁল,
বৃদ্ধ বাবার ভেঙ্গে যাওয়া চশমা,
অথবা কাঁজল গাঁয়ের কোন এক দামাল ছেলে
শিশুর সরলতা যা চোখে মুখে,
আর পথ চলা সেই সব হাজারো মানুষ
যাদের দেহের গন্ধ আজো এই নদীতে
মিশে আছে,
সারা নদীতে আমি শুধু তাদের'কেই দেখি
সময়কে পিছে ফেলে যারা আজ হয়ে গেছে দূর।

নদী (১৮/২/৯৯)

এলোমেলো

মাটিতো মা , মেয়ে নয় কেন?
মেয়েরাই তো মা হয়,
জন্ম দেয়, বড় করে.....
জননী জন্মভূমি, পৃথিবী নয় কেন?
পৃথিবীর বুকেই তো বেড়ে ওঠে
জন্মভূমি, জননীর মত...
আমি নারী, মানুষ নই কেন?
আমারো তো হাত আছে, চোখ আছে
আছে ভালবাসার অধিকার,
তবে আমি নির্যাতিত কেন?
আমি শিশু, বাবা নই কেন?
আমিই তো একদিন জন্ম দেবো
নতুন পৃথিবীর, তবে কেন এত বঞ্চনা?


চারিদিকে এত কেন,
সব জানি, তবু যেন
কিছুই জানি না
বিবেকের জানালা বন্ধ করে
নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেই
প্রতিটি প্রহর।"

পোকা

পোকারা পাতা খায়
আমরাও পাতা খাই,
তবে কি আমরা পোকা?
কেঁচো মাটি খুঁড়ে চলে
আমরা খুঁড়ে চলি সততার আবরণ,
ঘুষের পাত্রে হাত ধুয়ে
সততাকে খুঁড়ে চলি অনবরত,
পৃথিবী অনুর্বরা হয়,
আমরা ফুলে ফেঁপে দ্বিগুণ হয়ে উঠি।
কীটনাশক খেয়ে খেয়ে
পোকারা আরো শক্তিশালী হয়,
আর আমরা ধীরে ধীরে পরিণত হই
পোকাতে.........

দু:খবিলাস

শরতের মেঘ খেলা করে আমার দু'চোখে
গলে যায়, ঝরে যায়, পড়ে যায়...
ভেসে যায়, আসে যায়, নিভে যায়,
দু:খ বিলাসী আমি...........................।।

আজ আমার চোখ ভেসে যায়, বুক ভেসে যায়, মুখ ভেসে যায়,
আজ আমার মন ভেসে যায়, গান ভেসে যায়, প্রাণ ভেসে যায়,
আজ আমার হৃদয় হাওয়ায় পাল তুলে যায় ঘাটের মাঝি,
আজ আমি রিক্ত হাতে , শূন্য ঘাটে শুধুই চেয়ে থাকি,
আজ আমি নি:স্ব বুকে , স্বপ্ন চোখে ভোরের পাতা আঁকি,
আজ আমার মনের কোণের গহীন বনে শুধুই মাতামাতি,
আজ আমি হাওয়ার দোলা, খেলার মেলা,অভিনয়ের গান,
তাই কি বুঝি ছিনিয়ে নিলে আমার শূণ্য প্রাণ?"

ভুল কথন

ছোট্ট ছোট্ট ভুল অনু পরমাণুর মত
সৃষ্টি করে শত শত নতুন ভুলের
সারি বেঁধে বেড়ে চলে
নতুন ভুলের জন্ম দেবার আশায়
কোন এক অসংলগ্ন মূর্হুতে যে
সৃষ্টি করবে আর একটা ভুলের পৃথিবীর
ছন্দহীন, গদ্যময় নষ্ট একটা পৃথিবী
যেখানে ভালবাসার মায়াজাল নেই,
স্নেহ মমতার বালাই নেই,
দালান-কোঠাগুলো নির্মমতার কংক্রীটে ঢাকা
নিষ্টুরতার আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত প্রতিটি ঘর
যেখানে মানুষেরা ভালবাসাকে
বাক্স বন্দী করে রাখে,
গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ে
নি:শব্দে, প্রিয়জন হারানোর বেদনায়
যে শহরে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো নেই
আছে শুধু প্রতিহিংসার আগুন,
যে আগুনে কোন একদিন
চেনা পৃথিবীটা'কে অচেনা করে দিয়ে
জন্ম হবে আরেকটা নতুন পৃথিবীর।।

Me

Me

About this blog

Hello

This is Fahmida. You may imagine me as a five feet white ball. Completed MBA in Management . ভাললাগে গ্রাফিক্সের টুকিটাকি। শখ ছিল ফটোগ্রাফার হবো কিংবা সাংবাদিক। হইনি কিছুই। পেশায় ব্যাংকার। জন্ম উত্তর বঙ্গে। বসবাস দক্ষিণে। মাঝে মাঝে এক আধটু প্যাঁচাই। যদিও আমার লেখালেখির হাতেখড়ি আপ্র (http://forum.amaderprojukti.com/memberlist.php?mode=viewprofile&u=1094) থেকে তারপরও মাঝে মাঝে প্রথম আলো ব্লগেও মাঝেমাঝে ঢুঁ মারি। নিক আঁধার http://prothom-aloblog.com/users/base/adhar/p1 । আজকাল সচলদের অতিথি হতে ভাল লাগে। নিক অমাবস্যা। ইদানীং টিউরোটিয়াল বিডি'তে লেখার চেষ্টা করছি। গান শোনা, কবিতা পড়তে ভালবাসি। ভালবাসি ব্লাক কফি আর সিলেটের চা-পাতা । এক কথায় Im busy for nothing :)


লাইসেন্স:Licence
by-nc-nd (Creative Commons)

My Blog List