বিকেলের শেষ আলোয় চেয়ে দেখি কমলা রঙের নরম রোদ ছুঁয়েছে আকাশ। বির্সজনের অপেক্ষায় দিনের ছায়া ছড়িয়ে দিয়েছে তার মনের না বলা কথা। মিলনের রং রাঙিয়ে দিয়েছে কাকেদের ঠোঁটে, ধুসর রঙের ঠোঁটে লেগেছে তাই জাফরানী রং। সেদিন অবাক চোখে দেখেছি আমি কালো রঙয়ের ঠোঁটগুলো তার অন্ধকার কে ছুঁড়ে ফেলে জাফরানী রং ধারণ করেছে। ধূসর রঙের পাখনাগুলো হয়েছে হাল্কা রঙয়ের জাফরান শাবক। অবাক চোখকে আরো অবাক করে দেখলাম আমি ঝাউগাছের নরম ডালে দুটি পাখি উড়ে এসে পাশাপাশি বসে রইল অনেকক্ষণ, একজন আরেকজন থেকে মুখ ফিরিয়ে। নি:শ্চুপ, শব্দহীন। আড়চোখে চেয়ে থাকা। শুধু থেকে থেকে ডানা ঝাপটানোর খসখসানি। যেন এই নীরবতায় বুকের ধ্বকধ্বকানি বেড়িয়ে না পড়ে। কত কাছাকাছি, অথচ কতটা দূরে। এই স্বেচ্ছা নীরবতায় কথা নেই, বোঝানোর ব্যথা নেই, তবুও জানে পাশে আছে। ক্যামেরাটা অন করতেই উড়ে চলে গেল।তারপর প্রায় প্রতিদিনই দেখেছি আমি পাখিদুটো উড়ে এসে বসে সেই একই গাছে, পাশাপাশি বসে থাকে । কেউ কারো সাথে কথা বলে না। তারপর একসময় বিদায় জানিয়ে চলে যায়। কি অদ্ভূত........চাবিরগোছাটা’কে শূন্য ছুঁড়ে দিতে দিতে ভাবলাম এই পার্থিব জীবনে কেউই কারো নয়।প্রতিটি মানুষই স্বতন্ত্র, নিজের পৃথিবীতে সে সবসময়ই একা।
আজ আমি ফিরিয়ে এনেছি আমার ফকিরের খাতা, আমার বন্ধু কাঁচপোকা, প্রজাপতি, জোনাকি , ঘাসফড়িং।মেতেছি ভবিষ্যতের সাথে চড়ুইভাতির খেলায়। মিলেছি দুর আকাশের সাথে। করেছি কফির কাপের সাথে মিতালি, আর হৃদয়ে তুলেছি প্রণয়ের ঝড়.................
প্রথম ফকির: নাম:সৌমত্ত খান , মহিলা, দুই ছেলে এক মেয়ে, স্বামী, সন্তান, জামাই সবাই বউ পেটাতে ওস্তাদ।
ফার্স্ট ইন ফার্স্ট আউট FIFO, মনটা’ই খারাপ হয়ে গেল।
দ্বিতীয় ফকির: সোহরাব আলী সর্দার। একছেলে, বউ পেটানোর কথা মনে করতে পারেনা। এটা কি কোন ব্যাপার হলো যে মনে রাখতে হবে? বউ পেটানো জায়েজ।
তৃতীয় জন: কথা বলতে পারেনা, নাম এস.কুমার। এস এর Abbreviation টা জানা হলো না। সেই সাথে জানা হলো না বউ ছিল কি নেই, তার সাথে পেটানোর ইতিহাস।
চর্তুথ জন মহিলা, আমি নামায পড়ছিলাম বলে দ্যাখা হয়নি তার দীর্ঘশ্বাস।
আজ রোবো'র সাথে মনে মনে কথা বললাম, অনেকক্ষণ.....................................
কথোপকথন:
- তুমি আছো?
-দেখো মেঘ , ঝড় আসবে।
-তুমি আছো?
-এখানে খড়দাহ, শ্রাবণের ঘনঘটা,শুনতে পাওনা ঝড়?
-তুমি আছো?
-তুমি নিয়ম ভেঙেছো।
-তোমাকে ভেবেই তো স্বপ্ন দেখি, রক্তে এত উন্মাদনা। তুমি কেমন আছো?
-যেমনটা থাকি সবসময়।
-ভালো আছো?
-পৃথিবী যেন আজ কবিতার খাতা।
-ভালো আছো?
-মেঘগুলো উড়ে চলে, বুনে যায় স্বপ্নের বীজ
-ভালোবাসো?
-সবকিছুই অসমাপ্ত
-ভালোবাসো?
-জানিনা তো
-ভালবাসো?
-কেন শুধু শুধু স্বপ্ন দ্যাখা, শূন্যে বাসা বাধাঁ, কাঁচের ওপাশে হাত ছুঁয়ে থাকা?
-ভালোবাসো?
-ভালোবাসি কমলার ঝাড়, চা গাছের সবুজ পাতা,নদীর বয়ে চলা,আকাশের দিকে চেয়ে থাকা
-ভালবাসো?
- ভালবাসি কবিতার খাতা, এলোমেলো রাতজাগা
-ভালো আছো?
-অনর্থক এপথ চলা
-ভালো আছো?
-মন ছুটে চলে সবুজ আঁচল ছায়ায়, যেখানে মেঘেরা উড়ে যায়, বাঁধে না বাসা
-ভালবাসো?
-মেঘেরা চেয়ে থাকে আকাশের দিকে
-ভালোবাসো?
- বুকে বাঁধে বাসা, অস্পর্শ হয়ে থাকে, চাইলেই যায়না ছোঁয়া, তবে কেন মিছেমিছি স্বপ্ন আকাঁ?
-ভালো আছো?
-ভালো যে থাকতেই হয়, থাকতে হয়েছে সবসময়
-ভালবাসো?
-বলেছিতো একবার ভালবাসি আমার পৃথিবী, আমার না বলা কথা
- জেনেছো কি সূর্য জেগে থাকে রাতের আঁধারে, যায় না তারে বাঁধা? ভালবাসো?
-ভাঙতে চাইনা আমি বিশাল পাথর, নিয়মের বেড়াজাল।খোলসের মধ্যে ডুবে আছি, থাকবো অনন্তকাল,যতদিন পারা যায়
-পেরেছো কি? পারবে কি? জেনেছি আমি কেন তোমার মুখের কোষগুলো জুড়ে রৌদ্ররা খেলা করে, কেন শ্রাবণ ভাসিয়ে নিয়ে যায় তোমার দু’চোখ
-বলেছি তো আমি ,ভালবাসি খোলসের ভেতর...............
-ভালবাসো?
-ভালবাসি খোলসের মাঝে বেঁচে থাকা, চা গাছের নরম পাতা
-কেন এই আবরণ? বুঝেছি আমি কেন তোমার আকাশে মেঘেরা খেলা করে, কখনো তুমি বৈশাখ, কখনো শ্রাবণ, কখনো র্বষা, কখনো ফাগুন, তবে কেন এই লুকোচুরি, দুরে থেকে কাছে থাকা, কাছে থেকে দূরে যাওয়া,কখনো আপন কখনো সব ভুলে ভুলে থাকা
-বুঝে নিও তুমি....ভালবাসি খোলসের মাঝে বেঁচে থাকা, কাছে থেকে দূরে থাকা, তুলসী বনের না বলা কথা, চা গাছের নরম পাতা, আকাশের দিকে চেয়ে থাকা, প্রিয়জনের স্বপ্নগাঁথা।ভালবাসি পৃথিবী আমার..............
- সেখানেও তো আমি আছি,পেরেছো কি করতে অস্বীকার?
-...........................
-চুপ করে কেন? তুমি আছো?
-মনে রেখো ভালবাসি পৃথিবী আমার................................
Colou illusion
-
আমাদের চারপাশের সবকিছুই রঙিন, কিন্তু কখনো কখনো আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে
একই দৃশ্য কারো কাছে মনে হয় রঙিন, কারো কাছে ধূসর আবার কারো কারো কাছে সেই
একই...
15 years ago
0 comments:
Post a Comment