( প্রতিটি মানুষের জীবনেই বোধহয় এমন কিছু সময় আসে যখন অতিপ্রিয় জীবনটাও অর্থহীন মনে হয়।বি.বি.এ পড়ার সময়ে একদিন এক ইয়ারমেট প্রশ্ন করেছিল ," কেন দীপ জ্বেলে রাখি? কেন আশায় বুক বেঁধে রাখি ?" কোন সদুত্তর দিতে পারিনি। জীবনের অনেক অধ্যায় আছে যার পরিসমাপ্তি নেই। জীবনের অনেক চাওয়া আছে যার বাস্তবতা নেই। জীবনের অনেক গল্প আছে যার পরিণতি নেই। তবুও সময় তার মত করেই বয়ে যায় আর অনেকের মত আমিও কাল হবে এই প্রতীক্ষায় আরেকটা কালের অপেক্ষায় থাকি।৩৬৫ সূর্যডোবা মানে অনেকটা সময়। এক একটা সূর্যস্নানের সাথে স্রষ্টা চাইলে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু সব জীবনে গতি আসেনা। সব স্বপ্ন সূর্যওঠা দেখতে পায়না ।মাঝরাতে আচমকা জেগে উঠেই এলোমেলো লাগছে। কবির কথার রেশ ধরে নিজেকেই প্রশ্ন করি ,বলো, কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী, ঘুমহীন? )
বলো, কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী?
আমার ভেতরে নিশিদিন অগণিত শিশু
পাঠশালা যায় আসে বানায় রঙিন স্বপ্ন কবিতার বই
নিপুণ বাঁধাই জরিমোড়া।
নিশিদিন আমার ভেতরে শব্দ নিয়ে লুফোলুফি হয়
কৌতুক জলসায় মাতে গ্রাম্যবধুরা লোকালয়ে, স্বার্থপর
পারিনি তাদের আমি পরাতে এখনো কোনো
সুনিপুন পোশাক-আশাক, পারিনি দুলাতে আজো
কর্ণমূলে লোভনীয় কোনো মণিহার।
কার প্রতীক্ষায় কাটে বেলা? আমার আকাশে ওঠে
অগণিত জ্বলজ্বলে তারা, ওঠে চাঁদ মধ্য-রজনীতে
কোনোদিন ঢেলে দেয় জোৎস্না ঘরময়,
কুয়াশায় ভিজে বুক নাভিমূলে কোমল-কোমল পেলবতা
আড়ষ্ট কপোল-জোড় ভেজাই আদরে নির্দ্বিধায়,
বুলাতে পারিনি তবু পরিত্যক্ত শিয়রে তাদের
কোনোদিনও মোমের আঙুল।
বলো কার প্রতীক্ষায় হে আমার শব্দাবলী গনগনে
জাগ্রত শিশুর কান্না শুনে কাটাও রজনী অবিশ্রাম?
ভেতরে আমার নিশিদিন পদধ্বনি বেজে ওঠে কার,
কার নিত্য আগমন আমাকে ভুলিয়ে রেখে বেশ
নিয়মিত ঘর-গেরস্থালী সাজায় আদরে,বলো
কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী
ঘুমহীন?
বিমল গুহ
Colou illusion
-
আমাদের চারপাশের সবকিছুই রঙিন, কিন্তু কখনো কখনো আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে
একই দৃশ্য কারো কাছে মনে হয় রঙিন, কারো কাছে ধূসর আবার কারো কারো কাছে সেই
একই...
15 years ago
0 comments:
Post a Comment