Small journey

ছোট ছোট ঢেউ জুড়েই সুনামীর সৃষ্টি হয়

Showing posts with label ইসলামী শরীয়তের পরিভাষা. Show all posts
Showing posts with label ইসলামী শরীয়তের পরিভাষা. Show all posts

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এর ব্যাথ্যা

পবিত্র কোরআন শরীফের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা তওবা বাদে অন্য বাকি ১১৩টি সূরা শুরু করা হয়েছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দিয়ে যার অর্থ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। এছাড়া হাদীস থেকে জানা যায়, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলে শুরু করতেন।
বিসমিল্লাহ বাক্যটি তিনটি শব্দ দ্বারা গঠিত। প্রথমত: "বা " বর্ণ দ্বিতীয়ত: ইসম ও তৃতীয়ত: আল্লাহ। আরবী ভাষায় "বা "বর্ণটি অনেক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তন্মধ্যে তিনটি এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে এবং তিনটির যে কোন ‌একটি এ ক্ষেত্রে গ্রহণ করা যেতে পারে। এক, সংযোজন অর্থ্যাৎ এক বস্তুকে অপর বস্তুর সাথে মিলানো বা সংযোগ ঘটানো অর্থে । দুই ,এস্তেয়ানাত অর্থ্যাৎ কোন বন্তুর সাহায্য নেয়া । তিন, কোন বস্তু থেকে বরকত হাসিল করা।

ইসম শব্দের ব্যাখ্যা অত্যন্ত ব্যাপক। ইসম নামকে বলা হয়। আল্লাহ শব্দটি সৃষ্টিকর্তার নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মহত্তর ও তাঁর যাবতীয় গুনাবলীর সম্মিলিত রুপ।এ নামটি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য নয়। কেননা আল্লাহ এক, তাঁর শরীক নেই। আল্লাহ এমন এক সত্ত্বার নাম যে সত্ত্বা পালনর্কতার সমস্ত গুনাবলীর এক অসাধারণ প্রকাশবাচক। তিনি অদ্বিতীয় ও নজীরবিহীন । এজন্য বিসমিল্লাহ শব্দের মধ্যে "বা" এর তিনটি অর্থের সামঞ্জস্য হচ্ছে , আল্লাহর নামের সাথে, তাঁর নামের সাহায্যে এবং তাঁর নামের বরকতে।

সূত্র : মাআরেফুল কোরআন

রি'বা

সুদের আরবী শব্দ রি'বা । এর আভিধানিক অর্থ বৃদ্ধি, আধিক্য, পরিবর্ধন, বেশি , স্ফীত , বিকাশ ইত্যাদী। সুদ ফার্সী ও উর্দু শব্দ যা আরবী রি'বার প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাভাষায় বলা হয় কুসীদ। সুদ শব্দটিও বাংলাভাষায় আরবী রি'বার প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।ইসলামী শরীয়ায় লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরীয়াহ সম্মত কোনরুপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলে।

তাফসীরবিদ ইবনে জরীর মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন :" জাহেলিয়াত আমলে প্রচলিত ও কোরআনে নিষিদ্ধ রি'বা হলো কাউকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ঋণ দিয়ে মূলধনের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ গ্রহন করা। আরবরা তাই করতো এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে সুদ বাড়িয়ে দেবার শর্তে মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া হতো।"
( তাফসীরে ইবনে জরীর , ৩য় খন্ড, ৬২ পৃষ্ঠা )

রসূল ( সা ) বলেন, "যে ঋণ কোন মুনাফা টানে তাই রি'বা ।"
( জামে-সগীর )

সুদের শর্ত : ১. লেনদেন ঋণ সংক্রান্ত বিষয় হওয়া।
২. মূলধনের পরিমান নির্দিষ্ট থাকা।
৩. ঋন পরিশোধের সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকা।
৪. ঋন দানের শর্ত হিসেবে অতিরিক্ত কোন কিছু আদায় করা।
৫. অতিরিক্ত যা কিছু আদায় করা হয় তার শরীয়াহ সম্মত কোন বিনিময় না থাকা।
৬. অতিরিক্ত অংশের পরিমান পূর্ব নির্ধারিত হারে আদায় করা।
৭. সময়ের অনুপাতে মূলধনের অতিরিক্ত অংশের পরিমান নির্ধারিত হওয়া।
৮. উপরের বিষয়গুলোকে লেনদেনের শর্ত হিসেবে গণ্য করা।


Me

Me

About this blog

Hello

This is Fahmida. You may imagine me as a five feet white ball. Completed MBA in Management . ভাললাগে গ্রাফিক্সের টুকিটাকি। শখ ছিল ফটোগ্রাফার হবো কিংবা সাংবাদিক। হইনি কিছুই। পেশায় ব্যাংকার। জন্ম উত্তর বঙ্গে। বসবাস দক্ষিণে। মাঝে মাঝে এক আধটু প্যাঁচাই। যদিও আমার লেখালেখির হাতেখড়ি আপ্র (http://forum.amaderprojukti.com/memberlist.php?mode=viewprofile&u=1094) থেকে তারপরও মাঝে মাঝে প্রথম আলো ব্লগেও মাঝেমাঝে ঢুঁ মারি। নিক আঁধার http://prothom-aloblog.com/users/base/adhar/p1 । আজকাল সচলদের অতিথি হতে ভাল লাগে। নিক অমাবস্যা। ইদানীং টিউরোটিয়াল বিডি'তে লেখার চেষ্টা করছি। গান শোনা, কবিতা পড়তে ভালবাসি। ভালবাসি ব্লাক কফি আর সিলেটের চা-পাতা । এক কথায় Im busy for nothing :)


লাইসেন্স:Licence
by-nc-nd (Creative Commons)

My Blog List