Small journey

ছোট ছোট ঢেউ জুড়েই সুনামীর সৃষ্টি হয়

Showing posts with label রোবোকপ. Show all posts
Showing posts with label রোবোকপ. Show all posts

রোবোকপের ডায়রী

Friday, October 24, 2008 at 3:45pm
অন্ধকার কে সাথী করে ঘুমুতে গেলাম, ঘড়ির কাঁটা দুটো ছাড়িয়ে আর একটু বেশি। মনের ঘড়ির সময় আরো অনেক, অনেক টা ফেলে আসা পুরনো দিনের মত। আবছা অন্ধকারে আমার সাথে লুকোচুরি খেলে আমারই প্রিয় প্রিয় মুখ। আমি আবার আমার হারানো শৈশবে ফিরে যাই। চা গাছের পাতা ছুঁয়ে যায় সকালের নরম রোদ। কমলা রঙয়ের রোদ এসে ঘুম ভেঙ্গে দেয় তুলসী গাছের কচি কচি পাতা গুলোর।মমতাময়ী মায়ের কোমল হাত ছুঁয়ে যায় আমার কপাল ।মায়ের আচঁল, রান্নাঘরের টুংটাং শব্দ, খাবার ঘরে মায়ের নি:শব্দ প্রতীক্ষার দীর্ঘশ্বাস। পূজার ঘরে ধুপের মিষ্টি গন্ধ। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ।মাগো, কোথায় তুমি?

আচমকা জেগে উঠি।শরতের আকাশে এক টুকরো মেঘ ঝাপসা করে দেয় চশমার নিরেট বুক........হয়তো ফিরে আসবো কোন দিন, কাল অথবা পরশু,হয়তো বা কথনো নয়, হয়তোবা দূরের আকাশ হয়ে রয়ে যাবো তোমাদের কাছে। কোন এক অজানা রাতে প্রিয় কোন তারা হয়ে উঁকি দিয়ে যাবো তোমাদের মনের জানালায়। আবেগী তোমরা আমাকে স্বার্থপর ভেবে গালমন্দ করবে। তারপরও তোমাদের তৃষিত হৃদযটা আবারো স্বপ্ন দেখবে আমার প্রর্ত্যাবর্তনের।নিরুপায় এই আমি ভাগ্যকে মেনে নেব , যেমনটা নিয়েছি সবসময়। স্বাতী তারার কোঁল ঘেঁষে আর এক তারা হয়ে দুর থেকে ভালবেসে যাবো তোমাদের।ভালবাসা'কে যে আমার বড্ড ভয়..........চশমার কাচঁগুলো ঝাপসা থেকে আরো ঝাপসা হয়ে ওঠে, আর আমি অন্ধকারকে আরো নিবিড় করে জড়িয়ে ধরে আরেকটা সকালের অপেক্ষায় থাকি।

( জীবনে যত কিছুই লিখিনা কেন এটাই আমার সবথেকে সার্থক লেখা। আমার ভাবনা কোনএকটা মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। মূর্হুতের জন্য হলেও আমাকে খুঁজে পেতে চেয়েছে। তারচেয়েও আশ্চর্য্য লাগে যা আমি কল্পনায় ভেবেছি তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে যা ছিল আমার অগোচরে। কি করে সম্ভব জানা নেই । শুধু যতদূর মনে পড়ে যখন আমি লিখছিলাম আমার মনে হচ্ছিল আমি রোবোকপের মাথার ভেতরে ঢুকে গেছি। ওর চেয়ার, ওর বুকের কাঁপন, কি-বোর্ডের উপর আঙুলের ছড়াছড়ি সব যেন আমার ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। কয়েকটা মূর্হুতের জন্য আমিই হয়েগিয়েছিলাম রোবোকপ।

রোবোকপের ডায়রী

বিকেলের সূর্য ডোবা দেখতে দেখতে হঠাৎ মনে হলো সূর্যটা আকাশের বাড়ি বেড়াতে গেছে, যেখানে রোবোর বসবাস। রোবো নামটা আমার খুব প্রিয়।খোলসের ভেতর যে মানুষগুলো বড় হয় তাদের অন্ধকারটুকু বাইরে জমা থাকে।আর বুকের গহবর জুড়ে থাকে অবারিত শূণ্যতা। যেখানে কোন অপরিচ্ছন্নতা নেই, মিথ্যের বসবাস নেই। আবেগগুলোকে খোলসের ভেতর পুষে রেখে এ মানুষগুলো বড় হয়। খোলসের উপর not at desk স্ট্যাটাস টাঙ্গিয়ে নিজেকে আড়াল করে।মানুষের জন্য বাঁচে,মানুষের জন্য ভাবে, মানুষের জন্য কাঁদে। যখনই কেউ আমাকে কষ্ট দেয় আমি তার ছায়া পর্যন্ত এড়িয়ে চলি।কিন্তু যে মানুষটাকে আমি ভালবাসি, পছন্দ করি তার বুকের গভীরে লাঙ্গল চালিয়ে খুঁজে পাবার চেষ্টা করি কষ্টের বীজ টা ঠিক কোথায় বোনা হয়েছে।বোঝার চেষ্টা করি কি এই না বলা কষ্টের উৎস । কারণ আমি খুব ভাল করেই জানি যে হাতটা দূরে সরাবার চেষ্টায় আপ্রাণ নিমজ্জিত কষ্টের ব্যথায় সেও গুমরে গুমরে মরে।শুধু মুখ ফুটে বলতে পারেনা। কখনো কখনো আমি সেই না বলা হৃদয়ের ধ্বকধকানি শুনতে পাই। তাই যে কষ্টটুকু আমি পাই আমি জানি সেটুকু দ্বিগুন হয়ে আরেকটা বুকে বাজতে থাকে।তাকে আমি কেমন করে ছুঁই?

(রোবোকপের ডায়রী : অন্তসারশূণ্য)

সূর্য তার রাত্রিবাস ঝেড়ে ফেলেছে
কুয়াশার চাদরে ঢেকে সকালের সূর্যটাকে বিবস্ত্রহীনতার লজ্জা থেকে
অব্যাহতি দিয়েছে শীতের সকাল।
এখানে এখন রাত
ওখানে দিন,
এখানে সূর্য,ওখানে মলিন,
এখানে আলো, ওখানে চাদঁ
এখানে কুয়াশা, ওখানে রাত।
আকাশের তারাগুলো তুষারের কণা,
সবুজের সমাবেশে সাদাদের আনাগোনা।
এখানে জীবন, ওখানে ঘুমের দেশে বাস,
এখানে ক্লান্তি, ওখানে সময়ের অবকাশ।
কাঁচের দেয়ালে হেলান দিয়ে সূর্যটাকে ছোঁয়া,
রাতের আধাঁরে লুকিয়ে থেকে স্বপ্ন খুঁজে পাওয়া,
দূরের নদী সুর ভুলে যায়,স্বপ্নগুলো ভাসে
ভাবনাগুলো গুমরে মরে ধু ধু বালুচরে।
কান্না বুকে, উদাস চোখে আকাশ চেয়ে থাকে
শিশির হয়ে কান্নাগুলো মেঘের বুকে ভাসে।

কান্নাগুলো আছড়ে পড়ে খোলসের দেয়ালে দেয়ালে।ডানা ভাঙ্গা আহত পাখির মত ছটছট করতে থাকি।মাঝে মাঝে মনে হয় যদি উড়ে যেতে পারতাম। নির্বাক চোখে একটা দুইটা তিনটা কাঁচের দেয়াল ভেদ করে অনুভূতিগুলো বেরিয়ে আসতে চায়।সময়ের ফাঁকে ফাঁকে, আঁধারে লুকিয়ে ছুঁয়ে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি।শাসনের বেড়াজাল, শোসনের তিক্ততা মনটা’কে বিষিয়ে তোলে। কিছু করতে না পারার ক্ষমতা বৃথা আস্ফালন করে। রাতের আঁধারে মনের চোখ দিয়ে আকাশের এধার ওধার ঘুরে বেড়াই। ছোঁয়া হয়না কিছুই। ঘুম ঘুম চোখে চেয়ে চেয়ে কালক্ষেপণ করি আকাশের ঠিকানাগুলোই । কত কাছে সব কিছু, পরিচিত মানুষগুলো, আরে এইতো, সবাইকেই তো দেখতে পাচ্ছি। একমুঠো হাসি খেলা করে আমার অধরে। চশমার ফাঁক দিয়ে উপচে পড়ে রাশি রাশি খুশি ।পরিচিত নামগুলো, পরিচিত মুখগুলো,পরিচিত কন্ঠগুলো ভেসে আসে অদৃশ্যের বার্তা হয়ে। মাঝে মাঝে ভুলে যাই কতটা দূরে আছি। হাত বাড়াতে চাই।আশে পাশের মানুষগুলো সুযোগ খোঁজে আমার সরলতাকে সফলতায় পর্যবসিত করতে।মানুষ থেকে আমি হয়ে যাই সফলতার হাতিয়ার। আমাকে ভেঙ্গে আমাকে আড়াল করে আমারই সহযোগীতাকে কাজে লাগায় আমার বিরুদ্ধে। আমি সব বুঝে কিছুই না বোঝার ভান করি।অদৃশ্য দেয়াল তুলে মিশতে থাকি, যেন কিছুই হয়নি। মাঝে মাঝে ভাবি সব ভেঙ্গে চুরে একাকার করে দেই। আবারো খোলসের মাঝে প্রাচীর গড়ে তুলি। যে জায়গাগুলো ক্ষয়ে গেছে তাকে পূরণের আপ্রাণ চেষ্টায় হৃদয়ের সবটুকু মনযোগ ঢেলে দেই। মিথ্যে স্টাটাস লিখে রেখে ব্যস্ত হবার ভান করি। কখনো কখনো কাঁচের ওপাশে অদৃশ্য হয়ে থাকি। মানুষকে ঠকাই, সাথে সাথে নিজেকেও।"
দুপুর বেলা কেন জানিনা মাথার মধ্যে লাইনগুলো ঘুরে ফিরে আসছিল, লিখে ফেললাম।কোন শিরোনাম টা দিলে ঠিক হবে বুঝতে পারলাম না।থাকনা কিছু শিরোনামহীন ভাবনা।

Me

Me

About this blog

Hello

This is Fahmida. You may imagine me as a five feet white ball. Completed MBA in Management . ভাললাগে গ্রাফিক্সের টুকিটাকি। শখ ছিল ফটোগ্রাফার হবো কিংবা সাংবাদিক। হইনি কিছুই। পেশায় ব্যাংকার। জন্ম উত্তর বঙ্গে। বসবাস দক্ষিণে। মাঝে মাঝে এক আধটু প্যাঁচাই। যদিও আমার লেখালেখির হাতেখড়ি আপ্র (http://forum.amaderprojukti.com/memberlist.php?mode=viewprofile&u=1094) থেকে তারপরও মাঝে মাঝে প্রথম আলো ব্লগেও মাঝেমাঝে ঢুঁ মারি। নিক আঁধার http://prothom-aloblog.com/users/base/adhar/p1 । আজকাল সচলদের অতিথি হতে ভাল লাগে। নিক অমাবস্যা। ইদানীং টিউরোটিয়াল বিডি'তে লেখার চেষ্টা করছি। গান শোনা, কবিতা পড়তে ভালবাসি। ভালবাসি ব্লাক কফি আর সিলেটের চা-পাতা । এক কথায় Im busy for nothing :)


লাইসেন্স:Licence
by-nc-nd (Creative Commons)

My Blog List