দীর্ঘশ্বাসেরও প্রতিচ্ছবি আছে
অনেকটা সাদাকালো মেঘের মত
তাদের চোখনেই, মুখনেই
শুধু অন্ধকারে বুক থেকে বুকে হাতড়ে বেড়ায়।
দীর্ঘশ্বাসেরও প্রতিকৃতি আছে
তাতে জমে থাকা কষ্ট, না বলা কথা,
বর্ণহীন গান, স্নিগ্ধতা সবই আছে,
শুধু অন্তরালে থেকে থেকে বিস্তৃতি কুড়ায়।
দীর্ঘশ্বাসেরও পরিস্থিতি আছে
কারণ সময়ের সাথে সেও সুযোগের অপেক্ষায় থাকে
তারপর সুযোগ বুঝে এক সময় দৌড়ে পালায়।
তাহাদের কথা
Labels: আমার কবিতা
প্রেসক্রিপশন
মা গো শুনছো তুমি ? আমি তোমার খোকা।
ভাবছো বুঝি ভুল শুনেছো , এতই কি আর সোজা !
খোকা আমি , তোমার খোকা, আসছি তোমার কোলে
রাত ছাড়িয়ে দুই প্রহরে ভাসবো বুকের জলে।
কুয়োর পাড়ে যেওনা কো তুলতে স্নানের জল
পেটটাতে ঠিক চালান দিয়ো রঙিন যত ফল।
আরো খেয়ো শাক-সবজী, মাছ-মাংস, ডিম
মুখের হাসি চাই ই চাই, হয়না যেন মলিন।
নিয়মিত চেক আপ করো হয়না যেন ভুল,
টিকাগুলো না নাও যদি সব হবে ভন্ডুল।
ভারী জিনিস তুলবে না মা, থাকবে নাকো বসে,
ছোট ছোট ব্যস্ততায় সময় কাটাও শেষে।
নিয়ম মেনে ঠিক মত সব করো যদি কাজ.
তবেই আমি আসবো জেনো কাল অথবা আজ।
হাত-পা ছেড়ে খেলবো আমি তোমার আচঁল ছুয়েঁ
এই যা আসল কথাই বলতে গেছি ভুলে,
প্রশিক্ষিত দাই-মা আর রক্ত রেডি চাই,
লক্ষী ঘরটায় পয়সাগুলোয় একটু দিও ঠাঁই।
ওমা তুমি আস্তে চলো, নয়তো বিপদ হবে
কাদায়-জলে পড়লে মাগো তখন কি হবে?
( মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমাদের মেয়েদের অবনতির জন্য , নির্যাতনের জন্য পুরুষের পাশাপাশি আমরাও সমান ভাবে দায়ী। কাল একটা ঘটনা শুনলাম। প্রসব ব্যাথা শুরু হয়েছে চারদিন আগে। হাসপাতালে তো নেয়নি উল্টো প্রসবের পর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছে। ফলস্রুতিতে জীবন থেকে অকালে ছুটি নিতে এতটুকুও দেরী হয়নি। পৃথিবীতে জন্ম হলো আরেকটা মাতৃহীন শিশুর। এ অপরাধের দায়ভার কে নেবে ?
কবি হবার জন্য কবিতা লেখা নয়, মাথার মধ্যে যে কথারা ঘোরাফেরা করে তারা ঠিকমত ঘুমাতে দেয়না বলেই ঝেড়ে ফেলা। এর বেশি কিছু নয়। অতএব কারো চোখে যদি আচমকা পড়েই যায় নাক সিঁটকাবেন না। এটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত ব্লগ)
Labels: আমার কবিতা
ক্ষরণ
তুমি কি শুনতে পাও হৃদয়ের ক্ষরণ আমার?
বুক পকেটে মিয়োনো কাগজের নোট,
কাপড়ের প্রাচীর, মাটিতে মোড়ানো
ঘামে ভেজা শরীরের চামড়া ভেদ করে
আর একটু এগিয়ে গেলে হৃদপিন্ডের দেশ থেকে
বৃষ্টির মত টুপটাপ ঝরে পড়ে তোমার প্রত্যাখান,
নিলয়ের আকাঁবাকাঁ পথ বেয়ে দু:স্বপ্নের মত উবে যায়
গাংচিল ভালবাসা,
কাকেদের ধূসর ঈষৎ খয়েরী ডানায় ,
ঘাসেদের নরম বুকে, ধানগাছের মত রুক্ষ অবয়বে
খসখস করে বেজে চলে রাগ-ক্ষোভ-ঘৃণা,
নোনা জল আরো নোনা হয়,
চোখের নদী সাতঁরে দীর্ঘশ্বাসেরা
আঙ্গুলে, কব্জিতে, শিরায় শিরায় যেন ফিসফিস করে বলে যায় -
ক্ষুর্ধাতের গ্রাসের মূল্য অপরিসীম,
তারচেয়েও দুষ্পাপ্য নির্ভেজাল ভালবাসা,
পৃথিবীর সমস্ত ব্যাংক এ্যাকাউন্ট মর্টগেজ রেখেও
নিবৃত্ত হয়না ভালবাসার ক্ষুধা ।
আজকাল কোথাও লিখতে ইচ্ছে হয়না। তাই ফেসবুকে তুলে দিলাম। নইলে কথারা মাথার মধ্যে ঘুরছিলো :(
লিংক :http://www.facebook.com/inbox/?drop&ref=mb#/note.php?note_id=166610420999
Labels: আমার কবিতা
স্রোত
দাদা চলে গেল ভাবলাম এখনো ঢের পথ বাকি
বুড়ো মানুষ বেঁচে থেকেই বা কি হতো,
খামোখা পৃথিবীর জঞ্জাল বাড়ানো,
অপরের পিঠে বোঝা ।।
দাদী’কে চোখে দেখিনি, নানা নানী দুজনেই
পৃথিবীর বুকে আমার প্রথম আবির্ভাবের আগে হয়তো বা একআধবার
আকাশের ঠিকানায় কথা হয়েছে,
কি জানি মনে করতে পারিনা,
বড় হয়ে বুঝেছি তারা চলে যায়,
সময় হয়েছে যাবার।।
যেদিন বাবা চলে গেলেন, চোখ তুলে দেখলাম
মাথার উপর ছাদের মত মা আছে,
এখনো অনেক সময়,
তারপর সেও একদিন...............
কবরের উপর কান পেতে চুপিচুপি বলি,
মাগো, শুনতে কি পাও?
চারপাশে ফের দেখি কেউ যাবার অপেক্ষায় আছে কিনা।।
প্রিয় বন্ধু সজল, ভার্সিটির এক ইয়ার জুনিয়র সেই মেয়েটা
যার কালো চুলে আমার ভালবাসারা দোল খেতো বাতাসের মত,
দুজনে ছুটতে গিয়ে চাপা পড়লো ট্রাকের তলায়,
মনে মনে বললাম, অপরের ভালবাসা দু’পায়ে দললে এমনই হয়।।
মুদি দোকানের মালিকটা, পাশের বাড়ির ভদ্রলোক,
নতুন ভাড়াটের সদ্য জন্মানো শিশুটা সব একে একে
চলে গেলে ভাবলাম
জন্মিলেই মরিতে হইবে, অতি পুরাতন ফিলসফি,
যেদিন গিন্নীও যাই বলে আর ফিরলো না, বুঝলাম
এবার বুঝি সময় হলো,
যেদিন খোকা চলে গেল সেদিন বুঝলাম
অনেক আগেই যাওয়া উচিত ছিল, বড্ড দেরী করে ফেলেছি।।
(কিছুদিন আগে লাইনগুলো ঘুরে ফিরে মাথার মধ্যে আসছিল। ঝেড়ে ফেললাম )
Labels: আমার কবিতা
প্রেমহীনা
অত:পর যখন সে এলো
মনে হলো একশ দুশো সূর্য ওঠা শেষে
ছিন্ন ভিন্ন একশত শ্বেত পাঁপড়ি
ডানা মেলে উড়ে গেছে।
একটিও নয় , দুইটিও নয়
একশত সূর্যোদয়, একশত রাত্রি জাগা
সহস্র গোলাপের মরে যাওয়া
সহস্র নীলকন্ঠ পাখির না গাওয়া গানের কলি
ফাগুনের বাতাসে ভেসে মিশে গেছে
অত:পর যখন সে এলো
চাঁদগুলো ডুবে গেল,
ফুলগুলো ভুল হলো, মনপাখি উড়ে গেল
একশদুশো সূর্যের রাত্রিবাস শেষে
অপেক্ষার ক্লান্ত শরীরে শ্বাস ছুয়েঁ বুঝলাম
ক্ষুর্ধাতের গ্রাসের মূল্য অপরিসীম।
Labels: আমার কবিতা
অসারতা
বিবর্ণ প্রজাপতি পাখা মেলে উড়ে যায়
মনের নদী শুকিয়ে জেগে ওঠে বালুচর
রংধনু এক রংয়ে মিশে যায় আকাশের বুকে
নোনা জল আরো নোনা করে
ঝিনুকেরা সাগরে লুকায়।
শেওলার জল, মাছেদের বাসা ভেঙে
পায়ে পায়ে বড় হয় ইট, কাঠ, বালু
ঘাসের চাদরে শুয়ে থাকে মাছেদের শরীর,
আহত ভালবাসা মেঠো পথ ধরে
বাসা বাঁধে সিলিংয়ের কোণায়,
ঘুম ভেঙ্গে চেয়ে দেখি
কংক্রীটের দেয়ালে হেলান দিয়ে
বুক পকেটে ভালবাসা ঘুমায়।
Labels: আমার কবিতা
অন্তসারশূন্য
অন্তসারশূন্য
সূর্য তার রাত্রিবাস ঝেড়ে ফেলেছে
কুয়াশার চাদরে ঢেকে সকালের সূর্যটাকে বিবস্ত্রহীনতার লজ্জা থেকে
অব্যাহতি দিয়েছে শীতের সকাল।
এখানে এখন রাত
ওখানে দিন,
এখানে সূর্য,ওখানে মলিন,
এখানে আলো, ওখানে চাদঁ
এখানে কুয়াশা, ওখানে রাত।
আকাশের তারাগুলো তুষারের কণা,
সবুজের সমাবেশে সাদাদের আনাগোনা।
এখানে জীবন, ওখানে ঘুমের দেশে বাস,
এখানে ক্লান্তি, ওখানে সময়ের অবকাশ।
কাঁচের দেয়ালে হেলান দিয়ে সূর্যটাকে ছোঁয়া,
রাতের আধাঁরে লুকিয়ে থেকে স্বপ্ন খুঁজে পাওয়া,
দূরের নদী সুর ভুলে যায়,স্বপ্নগুলো ভাসে
ভাবনাগুলো গুমরে মরে ধু ধু বালুচরে।
কান্না বুকে, উদাস চোখে আকাশ চেয়ে থাকে
শিশির হয়ে কান্নাগুলো মেঘের বুকে ভাসে।
Labels: আমার কবিতা
ভুল কথন
"ভুল কথন"
ছোট্ট ছোট্ট ভুল অনু পরমাণুর মত
সৃষ্টি করে শত শত নতুন ভুলের
সারি বেঁধে বেড়ে চলে
নতুন ভুলের জন্ম দেবার আশায়
কোন এক অসংলগ্ন মূর্হুতে যে
সৃষ্টি করবে আর একটা ভুলের পৃথিবীর
ছন্দহীন, গদ্যময় নষ্ট একটা পৃথিবী
যেখানে ভালবাসার মায়াজাল নেই,
স্নেহ মমতার বালাই নেই,
দালান-কোঠাগুলো নির্মমতার কংক্রীটে ঢাকা
নিষ্টুরতার আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত প্রতিটি ঘর
যেখানে মানুষেরা ভালবাসাকে
বাক্স বন্দী করে রাখে,
গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ে
নি:শব্দে, প্রিয়জন হারানোর বেদনায়
যে শহরে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো নেই
আছে শুধু প্রতিহিংসার আগুন,
যে আগুনে কোন একদিন
চেনা পৃথিবীটা'কে অচেনা করে দিয়ে
জন্ম হবে আরেকটা নতুন পৃথিবীর।।
Labels: আমার কবিতা
কবিতা
কবিতা
ছোট বোনটা একদিন বললো, আপু একটা কবিতা লিখে ফেলো।ব্যস, খাতা কলম নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, কিছু্তেই কিছু হয়না। অবশেষে যা হলো, তাকে কি কবিতা বলে?
" কবিতা শুনবে, কবিতা?
রাতের কবিতা, দিনের কবিতা
ঝরে যাওয়া দিনের কবিতা,
কবিতা শুনবে,কবিতা?
কবিতা তোমার শূন্য পাতা
ভরে দেবো কথায় কথায়,
রাতের অন্ধকার থেকে রং চুরি করে
কাজল পরাবো তাতে,
আকাশের বুক থেকে নীল নিয়ে
রং মাখাবো,
সূর্যের বক্ষ বিদীর্ণ করে
আনবো লাল রং,
তারপর তোমায় ভরিয়ে দেবো
একরাশ সবুজের সমারোহে,
গড়ে তুলবো কবিতার স্তুপ,
তারপর......তারপর তোমায় শোনাবো।
কবিতা , কবিতা শুনবে?
নয়নে নয়ন রেখে,
হৃদয়ে হৃদয় মিশিয়ে,
আকাঙ্খার বাহুডোর ছিন্ন করে
কবিতা শুনবে তুমি,
কবিতার ভালবাসায় মুগ্ধ হবে তোমার মন,
আর কবিতা খুঁজে নেবে তোমায়,
এমনি করে রচিত হবে
কবিতার মাঝে কবিতা..........
কবিতা শুনবে, কবিতা?"
২৩/১/৯৭( সন্ধ্যা ৭টা ৩২মি.)
Labels: আমার কবিতা
পথভ্রষ্ট
পথভ্রষ্ট
আর দাও নি:শব্দে জেগে থাকা দুটি চোখ,
আমি তোমাদের একবুক ভালবাসা দেবো।
আমাকে একটি মর্গের পচা লাশ দাও
আর দাও কিছু জাগ্রত স্মৃতি
আমি তোমাদের একটি সুন্দর হৃদয় দেবো।
আমাকে একরাশ কষ্ট দাও, দাও কিছু চাপা কান্না
আমি তোমাদের নতুন জীবন দেবো।
আমাকে শ্রমজীবি মানুষের কিছু হাড় দাও,
দাও কিছু অস্থি-চর্মসার মানুষ,
আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।
আমাকে কিছু তাজা প্রাণ দাও
আর কিছু লাল রক্ত,
যে রক্ত কখনো শুকায় না, বার বার জেগে ওঠে
আমি তোমাদের নতুর ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখাবো।
হে মুক্ত পিয়াসী মানুষেরা!
তোমরা যে পথভ্রষ্ট, একবার পেছন ফিরে দ্যাখো
দেখবে সেখানে ঘুমিয়ে আছে সাফল্য নামের
ছোট্ট এক পাখি,
যে শুধু তোমাদের পিছন ফেরার অপেক্ষায় আছে,
শুধু একবার,শুধু একবার বলো
আনন্দ নয়, কষ্টই আমার জীবন,
মৃত্ব্যুই আমার স্বাধীনতা,
বুক থেকে ঝরে পড়া লাল রক্তই আমার
শীতল পানীয় ধারা,
শুধু একবার বলো, শুধু একবার...
দেখবে
সাফল্যের আলোকছটা পৌছেঁ গেছে ধরণীর
প্রতিটি কোণায়।।
Labels: আমার কবিতা
শুধু মনে পড়ে
শুধু মনে পড়ে
আমি কিছুতেই ভুলতে পারিনা
ফেলে আসা দিনগুলোর কথা,
শুধু মনে পড়ে অন্ধকারে আবছা আলোয় ঢাকা
একটি অস্পষ্ট মুখ,
বাতাসে ওড়া একরাশ কালো চুল,
শ্রাবণের জলে সদ্য ভিজে ওঠা দুটি চোখ,
আর একমুঠো হাসি,
আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না,
শুধু মনে পড়ে, মনে পড়ে, মনে পড়ে....
এখন মধ্যরাত
আকাশের বুকে জুড়ে থাকা তারাগুলোকে
অবজ্ঞা করে ছুঁড়ে ফেলে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ,
তখন, কেবল তখন একরাশ কালো চুল এসে
বুকের মধ্যে কোথায় যেন ছোট্ট
একটা বাসা বাঁধে,
আমি কিছুতেই ভেঙ্গে দিতে পারিনা
শুধু মনে পড়ে, মনে পড়ে, মনে পড়ে.....
যখন আড়মোড়া ভেঙ্গে ছোট্ট পাখি
স্বাগত জানায় ভোরের শিশিরকে
কেবল তখনি স্মৃতি পটে ভেসে ওঠে
শ্রাবণের জলে সদ্য ভিজে ওঠা দুটি চোখ,
মনের নদীর দূ'কুল ছাপিয়ে নিয়ে যেতে চায়
দূর, বহুদূর,
আমি কিছু্তেই ফেরাতে পারিনা,
শুধু মনে পড়ে , মনে পড়ে , মনে পড়ে...।।
(১/১/৯৮)
Labels: আমার কবিতা
বলদ
বদলের মাঝে বলদ হয়ো না
এ দেবো তা দেবো অনেক বলেছো
অনেক দেখেছি দেবার বহর,
এবার শোন নতুন খবর.......
অস্ত্র নাকি অস্ত্র ডেকে আনে,
আমাদেরও অস্ত্র আছে,
পরির্বতনের অস্ত্র,সচেতনতার অস্ত্র,
না হয় তোমাদের অস্ত্র বারুদের খোলসে জড়ানো
আমাদের অস্ত্রে আছে ঘৃণা আর পরিবর্তনের ঝনঝনানি,
তোমাদের ঘুনে ধরা হাড়ে আছে
ক্ষমতার শেকড় বিছানো,
আমাদের হাড়ে আছে পরিবর্তনের জোয়ার,
সময়ের স্রোতে তোমাদের দেহ ঘরে বাসা বাঁধছে
বার্ধক্য নামের উঁইপোকা,
আমরা এখন জ্বলন্ত উনুন,
যখন তোমরা ঘুনে ধরা টেবিলের মত ছিটকে পড়বে সাজানো ঘরের বাগান থেকে
তখন আমরাই হবো ভিসুভিয়াস, ফুজিয়ামা,
আজ তোমরা পোড়াচ্ছো আমাদের সবুজ পৃথিবী,
সেদিন আমরা পোড়াবো তোমাদের শোষণের দেয়াল,
আজ পুড়ছে আমাদের অস্তিত্বের দলিল,
সেদিন তোমরা পুড়বে আমাদের পরির্বতনের আগুনে,
না হয় আরেকটা '৭১ লাগবে,
কিংবা আরেকটা '৫২ অথবা '৬৯,
লাগুকনা, আমাদের পরির্বতনের জোয়ারে তোমাদের বুকে ধ্বস নামাতেই হবে,
আমরা বদলের মাঝে বলদ নই,
প্রয়োজনে আবারো আমাদের বুকের রক্তে ভাসবে
সবুজ বাংলাদেশ,
একদিন তোমাদের আমরা টেনে নামাবোই ...
Labels: আমার কবিতা
ঘুম ভাঙ্গানোর গান
ঘুম ভাঙ্গানোর গান
কইরে তোরা বাংলা মায়ের দামাল ছেলে,
আয় না ফিরে,
সবুজ বুকে বান ডেকেছে,
রাত জেগেছে, ভোর হয়েছে,
নবীন বুকে চর জেগেছে,
বালুচরের বাঁধ ভেঙ্গেছে,
দ্যাখ না ফিরে , রাখ না দূরে
নিয়মনীতির শিকলগুলো
দূরের কোন কাজল গাঁয়ে।
পরিবর্তনের লাঙ্গল কাঁধে আয় না ছুটে
নির্বাচনের কৃষিক্ষেতে,
শক্ত হাতে ধ্বস নামা আজ
বাংলা মায়ের মঙ্গা বুকে,
আয় ছুটে যাই লাগিয়ে বুকে
বাংলা মায়ের লাল পতাকা,
সবুজ গুলো রাখ না দূরে ,
এক্ষুণি ছাই পুড়বে মরে
আমার মায়ের নীল শাড়িটা,
কইরে তোরা বন্ধু আমার, একটা কিছু কর এখনি,
বর্গীরা সব আজ লুটেছে
সবুজ মায়ের কোমল বুকের পরিবর্তনের পত্রখানি,
হয়তো পুড়ে ছাই হবে তোর
কৃষক বাবার সোনার জমিন,
হয়তো পচে মরবে রে তোর
ক্যারিয়ারের স্বপ্ন রঙীন,
ভয় কি রে ভাই, লড়তে হবে, এখন সময়
বীজবুনি চল বন্ধ্যা ক্ষেতে,
শাবল দিয়ে ভীত কাটি চল
দূর্নীতির ঐ কালো পেটে,
আয় না তোরা , আয় ছুটে আয়
কই গেলি সব, সময় ডাকে,
ভয় কি রে তোর বুকে আছে পরিবর্তনের দীপ্ত শিখা,
বাঁধ ভেঙ্গে আজ আননা ডেকে
বাংলা মায়ের সবুজ ক্ষেতে
পরিবর্তনের বলয় শিখা,
হয়তো ফসল উঠবে না তোর কাঁচা হাতের গোলা ঘরে,
ভয় কি তাতে, ভীত টা নাড়া বাংলামায়ের সবুজ পটে।।
Labels: আমার কবিতা
ব্যবচ্ছেদ
তুমি কি ভালবাসা ছুঁয়েছো বন্ধু
নাকি দূর সমুদ্রের এপার থেকে ছুঁয়েছো ভালবাসার দীর্ঘশ্বাস?
তুমি কি ভালবাসা দেখেছো বন্ধু
নাকি আকাশের ঠিকানা থেকে শুনেছো ভালবাসার কন্ঠস্বর?
তুমি কি ভালবাসা চেয়েছো বন্ধু
নাকি পথভোলা পথিকের মত পথের খোঁজে ছিলে?
তুমি কি ভালবাসা ভুলেছো বন্ধু
নাকি দূর দিগন্ত থেকে মিলেছো ধরণীর নীলে?
তুমি কি ভালবাসায় পড়েছো বন্ধু
নাকি পূজার ফুলের মত ভালবাসা ছড়িয়েছে তোমার পায়?
তুমি কি ভালবাসা বুঝেছো বন্ধু
নাকি মেতে ছিলে ভালবাসার জমিতে বীজ বপনের খেলায়?
ছোঁওনি, দ্যাখনি,চাওনি যদি তবে কেন শুধু ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা?
বুঝেও যদি বা না বুঝে থাকো তবে কেন শূন্যে বাসা বাঁধা?
লিংক http://prothom-aloblog.com/users/base/adhar/11
Labels: আমার কবিতা
এই আমি
এই আমি
আমি তোমাদের ঝাঁকের কেউ নই,
তাই বুঝি দু'পায়ে মাড়িয়ে যেতে চাও?
আমার ভালবাসা'কে তোমাদের কাছে মনে হয়
আবেগের বিলাসিতা,
যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাওয়া এই আমি
প্রতিদিন জন্ম নেই শত শত
নীল অপরাজিতার বুকে,
আমার বেদনার রঙে নীল হয় আকাশ,
তার ছায়া পড়ে সাগরের নোনা জলে,
এলোমেলো হয়ে ওঠা আগুনের নীল শিখাগুলো
হুন্কার দেয় নীরব অভিমানের।
গর্বোদ্ধত তোমাদের পদধ্বনি ছিন্ন করে
আমার চিন্তার জাল,
তবুও সব কিছুর পরে নতুন করে স্বপ্ন বুনি,
নতুন ফসল ঘরে তোলার আশায়
নতুনের মাঝে...........
তোমাদের জন্মদিনে আমি উপহার দেই বুক ভরা ভালবাসা,
আমার ভালবাসার উষ্ণতায় ভিজে যায় তোমাদের নীড়পাতা ,
বিনিময়ে তোমরা দাও অবহেলার
বিশাল আস্তরণ,
বিশালতার চাপে নিষ্পেসিত আমি
উপড়ে ফেলি স্বপ্নের শিকড়,
তবুও স্বপ্নেরা উঁকিঝুঁকি মারে,
স্মৃতির প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে
খুলে দেই মনের জানালা,
আমি চাইনি কখনো হতে
তোমাদের ঝাঁকের মাঝে নতুন কোন আপদ।
Labels: আমার কবিতা
গন্তব্যে
গন্তব্যে
"যেতে জানি থেমে যেতে হবে একদিন
সাথে করে সাথী কোন এক অজানারে,
দ্বারে দ্বারে খুঁজে ফিরি সেই অচেনারে
নিয়ে যাবে যে আমার করে আয়ুহীন।।
নামহীন ফুল আমি ফুটেছিলাম হয়ে আগাছা
দলিত করেছে মোরে সবে,
নেয়নি টেনে কেউ কভু কাছে
রাখেনি হাত দুটি নিয়ে বুক ভরা ভালবাসা।।
পেয়েছি অবহেলা তবু চাইনি প্রতিদান
দিতে দিতে হয়ে গেছি নি:শেষ,
জীবন সায়ান্হে এসে করি গন্ডুষ ভরে পান
ঘৃণা আর অপমানের জ্বালা নি:শেষ।।"
(৩/১/৯৮)
অনেকটা দিন কষ্টগুলো বড্ড বেশি ভারী মনে হতো। মৃত্ব্যুর চিন্তাটাকে এত সুখের কেন মনে হতো কে জানে।
Labels: আমার কবিতা
আকাশ
আকাশ
"আকাশ, হৃদয় আমার
তোমার বুকেতে আমি মেঘ হবো,
শ্রাবণের বারিধারা হয়ে ভেজাবো
তৃষিত পৃথিবীকে,
স্বপ্নের দ্যুতি হয়ে ছড়াবো আলোর মেলা।
আকাশ, নীলাম্বর আমার,
স্বপ্নেরা ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাবে, ভিজে যাবে সাদা বকের উষ্ণ রোমশ,
তবুও আমি বলবো,
আকাশ,তোমার
আকাশে আমি নদী/তারা হবো,
মেঘ হয়ে ভেসে যাবো অনন্ত নীলিমায়।"
(১৮/৩/৯৭)
Labels: আমার কবিতা
নি:সঙ্গতা
নি:সঙ্গতা
"কাটেনা সময়
তাই বসে আছি একা
সঙ্গিনী আজ শুধু নীরবতা।
মাথার উপরে ছাদ নেই কোন
আছে শুধু নীলাকাশ।
প্রিয়ার বদলে তরুলতা তাই
সঙ্গী হয়েছে আজ।
বাতাসে ছোঁয়া ঘাসের পরশ
নেচে নেচে ওঠে বলি,
একেলা এই উদাস দুপুর
কাটে না বলো কি করি?
তোমার ছোঁয়া নেই আজ মোর
তবুতো সময় যায়,
ভালবাসো বা নাই বা বাসো
তবুও বাসিতে চাই।
হিয়া চাইনা, অশ্রু চাইনা
চাই শুধু তোমায়,
চাই শুধু একটু সময়
তোমায় ভালবাসিবার।।"
১৮/১২/৯৬
শেষটা বড্ড এলোমেলো। কৈশরের সবকিছুই বোধহয় অগোছালো থাকে।
Labels: আমার কবিতা
কিছু কথা
কিছু কথা
কিছু কথা, কিছু ব্যথা জমে
আছে মনে,
তাই লিখতে বসেছি।
কিছু আশা, কিছু ভাষা
গাঁথে মালা মনে,
তাই বলতে এসেছি।
কিছু দিন , কিছু ক্ষণ
ছিল অবসরে,
তাই জানাতে চেয়েছি।
কিছু রাত, কিছু স্মৃতি
আশা যুগিয়েছে,
তাই বলতে গিয়েছি।
কিছু ছবি, কিছু চাওয়া
হয়েছে পূরণ,
তাই হৃদয়ে একেঁছি।
এখন আমার বুকে অখন্ড অবসর,
তাই নি:সঙ্গ কাটছে এই নিস্তব্ধ প্রহর।।
২৬/১২/৯৬
Labels: আমার কবিতা
কে তুমি?
কে তুমি?
"কে তুমি চেয়ে আছো আমার দিকে
এমন বিষন্ন ভরা দৃষ্টি নিয়ে?
ক্লান্ত ঐ চাহনীতে আছে শুধু ব্যথা,
কিছু গান, কিছু কথা ,কিছু ব্যাকুলতা।
হৃদয়ের বন্ধ দুয়ারে আঘাত হানতে চাও বার বার,
কে তুমি?তাকাতে চাও আমার দিকে কৌতুহলী বার বার।
ক্লান্ত দুটি হাত, থেকে থেকে শুধু করে
করাঘাত,
মাঝে মাঝে শুধু চেয়ে চেয়ে দ্যাখে
করে নাকো প্রতিবাদ।
আশন্কা আর অবিশ্বাসে বন্ধ হৃদয় পাট,
কে তুমি, দ্বন্দহীন, শঙ্কাহীন, করতে চাও আঘাত?"
১৬/১১/৯৬...
Labels: আমার কবিতা