Small journey

ছোট ছোট ঢেউ জুড়েই সুনামীর সৃষ্টি হয়

অপরান্হে

তোমার মুখের পাশে কাঁটাঝোপ একটু সরে এসো
এ পাশে দেয়াল , এত মাকড়সার জাল!
অন্য দিকে নদী , নাকি ঈর্ষা ?
আসলে ব্যস্ততাময় অপরান্হে ছায়া ফেলে যায় বাল্যপ্রেম
মানুষের ভিড়ে কোন মানুষ থাকে না
অসম্ভব নির্জনতা, চৌরাস্তায় বিহবল কৈশোর
এলোমেলো পদক্ষেপ, এতদিন পর তুমি এলে ?
তোমার মুখের পাশে কাঁটাঝোপ, একটু সরে এসো!


সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়

ভাবছি


কেমন কেটেছিল ১৪১৬'র প্রথম দিন?

অনুষ্ঠানসূচি:

হাফ বিরিয়ানী
হাফ ডিম
হাফ মাছ
হাফ ফুসকা
ফুল আইসক্রীম
এবং অত:পর ঘড়ঘড় গড়গড় মেজাজের তীর...............

বৌশাখ শেষ :(

কেমন কাটবে ১৪১৭ এর প্রথম দিন :(

..............

মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে সব ভুলে যাই । খানিকক্ষণ চোখ মেলে আশেপাশে তাকাই সিনেমার নায়িকার মত। আমি কে, কোথায় ছিলাম, এখানে কেন ইত্যাদী প্রশ্নগুলো একে একে বিনেসুতোর মালার মত মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। তারপর অনেকটা সময় পার করে স্মৃতিরা বেড়ানো শেষ করে ক্লান্ত হয়ে মাথার বিছানায় শুয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে সব মনে পড়তে থাকে। কখনো কখনো ভুল বাংলা বলি। উদাহরণের ফুল ফোটালেই গণধোলাই খেতে হবে। তবুও চুপিচুপি একটু লিখে যাই " হালেদা-খাসিনা, মুড়-গুড়ি, আশাক,বাশিল " ইত্যাদী তদ্যাতী। বেশকিছুদিন আগে টিভিতে একটা এ্যাড দেখলাম। ফেয়ার এ্যান্ড লাভলীর এ্যাড, আমি বলি হাই । এ্যাড দেখেতো আমি হেসেই কুটি কুটি। হাই' এর ঠেলায় উপর তলার ভুঁড়ি ভূগর্ভে বিলীন হয়ে গেলো। আমি ভাবি শক্তিটা আসলে কোথায় সৌন্দর্য্যে নাকি সৌন্দর্য্যের অধিকারিনীর? সুন্দর হলেও মানুষ অনেক সময় ভালবাসে না। আবার খুব পচা দেখতে কেউ তাকেও ভালবাসে মনপ্রাণ উজাড় করে। তাহলে শক্তি টা কোথায় সৌন্দর্য্যে না ভালবাসায়? না মনের জোর যা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়? কি সে? এতসব ভাবনার গাড়ি ছুটিয়ে অবশেষে ক্লান্ত হয়ে যাই। ক্লান্তিতে ভর করে Take care...........


কিছুদিন আগে আমার Take care রোগে ধরলো। সারাক্ষন কানের কাছে কে যেন ফিসফিস করে বলে Take care, Take care। আমি দৌড়ে ছুটে যাই, লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়িদের বুক ভাঙ্গি। কানের কাছে ফিসফিস শব্দ হয় Take care, Take care, Take care। এ্যাডের গল্পটা মনে পড়ে যায়। হয়তো কখনো পড়তে ভুলে গেছি, কে যেন বলে , মেঘলা, তুমি আজ পড়তে বসোনি। পরক্ষণেই এক মগ কফি খেয়ে পড়তে বসে যাই। দাতঁ ব্রাশ করতে দেরী হয়ে গেছে। কানের কানে বেজে ওঠে Take care, Take care, Take care। ছুটে ব্রাশ করে আসি। চিরুনীর সাথে চুলেদের খুব একটা দেখা হয় না। ভেজা চুলে এলোমেলো, এলোমেলো আবার ভিজে ওঠা। শুকিয়ে যায়, রোদ ওঠে ,বর্ষা নামে, আবার রোদ। তবুও চিরুনীর না আসা । এমনি করেই কাটে। চুলের নদীতে ঢেউ তোলে Take care। আমি আয়নায় নিজেকে দেখি চিরুনীর সাথে সখ্যতায়.........



তিনদিন পর পরীক্ষা। কিছুতেই মন বসছে না। তপ্ত দুপুরেও ঘুমে জড়িয়ে আসে দু'চোখ। বইয়ের পাতারা ছুটির দরখাস্ত নিয়ে বসে থাকে। আমি মাথাটাকে বালিশে এলিয়ে সে দরখাস্তে দস্তখত দেই। ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যাই। ঘুম ভেঙ্গে মনে পড়ে না কিছুই। কানের কাছ থেকে প্রিয় শব্দটা দূরে, অনেক দূরে সরে যায়। কোথায় আছে Take care?

প্রিয় পংক্তিমালা

এখন দিন গিয়েছে। অন্ধকার হয়ে আসে। একদিন এই পথকে মনে হয়েছিল আমারই পথ, একান্তই আমার ; এখন দেখিছি , কেবল একটি বার মাত্র এই পথ দিয়ে চলার হুকুম নিয়ে এসেছি, আর নয়।
নেবুতলা উজিয়ে সেই পুকুরপাড়, দ্বাদশ দেউলের ঘাট, নদীর চর, গোয়ালবাড়ি, ধানের গোলা পেরিয়ে- সেই চেনা চাউনি, চেনা কথা, চেনা মুখের মহলে আর একটি বারও ফিরে গিয়ে বলা হবে না" এইযে ! এ পথ যে চলার পথ, ফেরার পথ নয়।"

আজ ধূসর সন্ধ্যায় একবার পিছন ফিরে তাকালুম ; দেখলুম, এই পথটি বহু বিস্মৃত পদচিন্হের পদাবলী, ভৈরবীর সুরে বাঁধা।
যতকাল যত পথিক চলে গেছে তাদের জীবনের সমস্ত কথাকেই এই পথ আপনার একটি মাত্র ধূলি রেখায় সংক্ষিপ্ত করে একেঁছে ; সে একটি রেখা চলেছে সূর্যোদয়ের দিক থেক সূর্যাস্তের দিকে এক সোনার সিংহদ্বার থেকে আর এক সোনার সিংহদ্বারে।

( লেখক লুৎফর রহমান না ফজলুল করিম ঠিক মনে নেই। তবে দুজনের একজন অবশ্যই।কথাগুলো আমার খুব প্রিয়। পড়তে পড়তে মন ভাল হয়ে যায়। আর একটা প্রশ্ন জাগে, জীবন-মৃত্ব্যুর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আমরা কে , কতটুকু এর সঠিক বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরেছি । ধ্বংসের জন্যেই কি সৃষ্টি ?)

প্রিয় পংক্তিমালা

তুমি প্রতিবার আমাকে দাও আগের বারের চেয়েও বেশী। যত বেদনা নিয়েই বিদায়ের সময়টা আসুক না কেন, পথে যেতে যেতে ভাবি তুমি যে আনন্দ দিয়েছ এর বেশী আসছে বার কি দেবে ? তবু তুমি দাও, প্রতিবারেই দাও, বেশী করে দাও, উজাড় করে দাও। কি দাও তুমি? আমি অনেক বার ভেবেছি। উত্তর পাইনি।

"কত না হস্ত চুমিলাম আমি অক্ষমালার মত,
কেউ খুলিল না কিস্মতে ছিল আমার গ্রন্থি যত ।"

(দস্ত-ই-হর্-কসরা ব্ সানে সবহৎ বুসীদম্ চি সূদ
হীচ্ কস্ ন্ কশওদ আখির অক্ দয়ে কারে মরা )

ইরানী শের ।

( হৃদয় আকুল করা এই কথার বৃষ্টি যার মনের আকাশ কাঁপিয়ে ঝরেছিল সে শবনম এর। জানি না সে কখনো বাস্তবে ছিল কি না কিন্তু কল্পনার জাল বুনে সৈয়দ মুজতবা আলী যা সৃষ্টি করেছিলেন তা সত্যিই অতুলনীয় )

জন্ম হয়না মৃত্ব্যু হয়না

আমার ভালবাসার কোন জন্ম হয়না
মৃত্ব্যু হয়না
কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়না
শরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম ,
আমার কেউ নাম রাখেনি, তিনটে
চারটে ছদ্মনামে
আমার ভ্রমণ মর্ত্যধীমে
আগুন দেখে আলো ভেবেছি, আলোয় আমার
হাত পুড়ে যায়
অন্ধকারে মানুষ দেখা সহজ ভেবে ঘূর্ণিমায়ায়
অন্ধকারে মিশে থেকেছি
কেউ আমাকে শিরোপা দেয়, কেউ দু’চোখে হাজার ছি ছি
তবুও আমার জন্ম-কবচ ভালোবাসাকে ভালোবেসেছি
আমার কোন ভয় হয় না
আমার ভালোবাসার কোন জন্ম হয় না, মৃত্ব্যু হয় না।

সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কাল হবে

দিন যায়, রাত যায়। রাত যায়, দিন যায়।
আবার নতুন করে দিন আসে, রাত আসে।
আমি সময়ের চরের উপরে পা রেখে দাঁড়াই ।
কাল হবে, এই স্বপ্নিল বিশ্বাস ছড়াই বীজের মতো,
শষ্যরিক্ত উষর মাটিতে নবায়ন করি ভালবাসা।
ঘুমোতে যাবার আগে জানালার পর্দা তুলে দিয়ে
আকাশের মুখখানি দেখি । বড় মায়া জাগে বুকে ।
কে কাকে সান্ত্বনা দেবে ? আকাশও কি সুখী ?
মধ্যাকর্ষণ ভেদ করে আমাদের ব্যথা ও বেদনা
মহাশূন্যে মেশে, যেন দুটি দু:তপ্ত ব্যথিত হৃদয়।
আজ তো কিছুই হলো না, কাল হবে এই ভেবে
আমি ও আকাশ জড়াজড়ি করে সুখে নিদ্রা যাই।

নির্মলেন্দু গুণ


Me

Me

About this blog

Hello

This is Fahmida. You may imagine me as a five feet white ball. Completed MBA in Management . ভাললাগে গ্রাফিক্সের টুকিটাকি। শখ ছিল ফটোগ্রাফার হবো কিংবা সাংবাদিক। হইনি কিছুই। পেশায় ব্যাংকার। জন্ম উত্তর বঙ্গে। বসবাস দক্ষিণে। মাঝে মাঝে এক আধটু প্যাঁচাই। যদিও আমার লেখালেখির হাতেখড়ি আপ্র (http://forum.amaderprojukti.com/memberlist.php?mode=viewprofile&u=1094) থেকে তারপরও মাঝে মাঝে প্রথম আলো ব্লগেও মাঝেমাঝে ঢুঁ মারি। নিক আঁধার http://prothom-aloblog.com/users/base/adhar/p1 । আজকাল সচলদের অতিথি হতে ভাল লাগে। নিক অমাবস্যা। ইদানীং টিউরোটিয়াল বিডি'তে লেখার চেষ্টা করছি। গান শোনা, কবিতা পড়তে ভালবাসি। ভালবাসি ব্লাক কফি আর সিলেটের চা-পাতা । এক কথায় Im busy for nothing :)


লাইসেন্স:Licence
by-nc-nd (Creative Commons)

My Blog List