দু:খবিলাস
দিনের শুরুটাই দু:খবিলাস দিয়ে।কাক ডাকা ভোরে কুয়াশায ভিজে ভিজে মনটাকে ভরিয়ে দিলাম একরাশ কষ্ট বিলাসে।কালো রংয়ের দাঁড় কাকগুলো কা কা করে বলে গেল "এসেছো কি? আজ মেঘের মন ভাল নেই"।আজ প্রথম আমি জানলাম কাক আর দাঁড়কাকের ভেতর পার্থক্যটা কোথায়।দাঁড় কাক গুলো আকারে বড়, বেশ কালচে, রাতের আঁধারের মত।অন্য কাকগুলো তাদের সম্মান করে চলে।পৃথিবীর ইতিহাসে যারাই ক্ষমতাহীন,তারাই অবহেলিত।দাঁড়কাকের কাছে কাকগুলোও তাই।
স্বভাবত:ই মন ভাল নেই।নাটকের সংলাপের পাতায় এখনো যোগ করা হয়নি নতুন কিছু।ভাবছি.........কত শত অকাজের ভাবনা আমার,আদ্যিখ্যেতা, ন্যাকামীর এলোমেলো শব্দগাঁথন।ইতিহাস তার পুনরাবৃত্তি করতে আমার বেলায় এতটুকু ও কার্পণ্য করে না।কাল আপু ফোন করে জানতে চাইলো আমার জন্মদিন। অনেক দু:খেও হাসি না এসে পারল না।বললাম.....পৃথিবীর সবদিনই আমার জন্মদিন, আমি প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছি নতুন করে।তারপর তাকে আমার কলাপাতা মোড়া বয়সটাকে বললাম। আইসিএসবি'র জন্য দরকার।অস্ত্রপাতির কারখানা সুতরাং সাবধান। লোহার মানুষগুলো যদি বুঝতে পারে ছোট বোনের চেয়ে বড় বোন ছোট তাহলে গোড়ায় কর্তন।ম্যাডাম বললো, ঠিক আছে আমি ঠিক করে নেবো। এই ঠিকটা যদি অনেক বছর আগে করতে।আমি মনে মনে হাসলাম,এখন গিনিপিগের দিন.......................
গত দিনের ফকিরগুলো:
১.রিজিয়া খাতুন-জানতে চাইলাম নির্যাতনের ইতিহাসের। বললো, খুব মিল ছিল আমাদের ।ছোট বেলায় বিয়ে হয়েছিল।আদর করে খাইয়ে দিতো, কখনো গায়ে হাত তোলেনি।একদিনের জন্যও না? হ্যাঁ, একদিন মেরেছিল, একটা লাঠি দিয়ে একটা আঘাত , মাথায় বারটা সেলাই, মুখে দুই-তিনটা। আমি বললাম,একদিনেই সারা জীবনের কাজ হয়ে গেছে।
২.সফুরা খাতুন, স্বামী শয্যাশায়ী, তাই তার সব অপরাধ চাপা পড়ে গেছে।হায়রে মেয়েমানুষ.................
৩.রেশমা........ভাষ্য সব স্বামীরাই বউ পেটায়,এটা দোষের কিছু না।কোন কোন ছেলেদের মেজাজ গরম থাকে। আর দুইএকটা চড়থাপ্পর কোন ব্যাপার না।Very very interesting.
৪.দিলজান বিবি: স্বামী-মরহুম সোহরাব আলী সর্দার।জীবনে কখনোই ভুল করেও একটা চড় বসায়নি।শ্রদ্ধা তার প্রতি।মানুষটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। চেয়েছিলাম তাকে পুরষ্কৃত করতে। হবেনা। তাতে কি, প্রার্থনার তালিকায় তাকে সংযোজন করে নিলাম।হাসবুনাল্লাহ ওয়া নে'মাল ওয়াকিল।
0 comments:
Post a Comment